
সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আর আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের মধ্যে আমির।কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে বিরোধ দেখাদিলে উহা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসুলের নিকট। ওটা উত্তম এবং পরিনামে ভাল।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি তোমাদের অন্তরে প্রীতি সঞ্চার করেছেন, ফলে তাঁর দয়ায় তোমরা পরস্পর ভাই হয়ে গেলে।তোমরাতো অগ্নি কুন্ডের প্রান্তে ছিলে, আল্লাহ উহা হতে তোমাদেরকে রক্ষা করেছেন। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর নিদর্শনসমূহ স্পষ্টভাবে বিবৃতকরেন যাতে তোমরা সৎপথ পেতে পার।
সূরাঃ ১০১ কারিয়া, ৬ নং ও ৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬। তখন যার পাল্লা ভারী হবে
৭। সেতো লাভ করবে সন্তোষ জনক জীবন।
* পাল্লাভারী জামায়াতের মাধ্যমে রাসূলের (সা.) অনুসরন শুরু হয়। এটা ছিলো রাসূলের (সা.) নেতৃত্বে তাঁর সাহাবায়ে কেরামের (রা.) জামায়াত। তখন পাল্লা হালকা জামায়াত ছিলো আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইয়ের মোনাফেক জামায়াত। রাসূলের (সা.) পর পাল্লা ভারী জামায়াত ছিলো আমিরুল মুমিনিন হযরত আবুবকরের (রা.) নেতৃত্তাধীন মুসলিম জামায়াত। তখন পাল্লা হালকা জামায়াত ছিলো জাকাত অস্বীকারকারী জামায়াত এবং শিয়া জামায়াত। হযরত আবু বকরের (রা.) পর পাল্লা ভারী জামায়াত ছিলো আমিরুল মুমিনিন হযরত ওমরের (রা.) নেতৃত্তাধীন মুসলিম জামায়াত। তখন পাল্লা হালকা জামায়াত ছিলো উত্তম বিদয়াত বিরোধী সালাফী জামায়াত। হযরত ওমরের (রা.) পর পাল্লা ভারী জামায়াত ছিলো আমিরুল মুমিনিন হযরত ওসমানের (রা.)নেতৃত্তাধীন মুসলিম জামায়াত। তখন পাল্লা হালকা জামায়াত ছিলো কোরআনে জাল-যঈফ থাকায় বিশ্বাসী মোরতাদ জামায়াত। হযরত ওসমানের (রা.) পর পাল্লা ভারী জামায়াত ছিলো আমিরুল মুমিনিন হযরত আলীর (রা.) নেতৃত্তাধীন মুসলিম জামায়াত। তখন পাল্লা হালকা জামায়াত ছিলো কবিরা গুনাহ করলে কাফের হয় এমন আকিদায় বিশ্বাসী খারেজী জামায়ত।
সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আর আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের মধ্যে আমির।কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে বিরোধ দেখাদিলে উহা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসুলের নিকট। ওটা উত্তম এবং পরিনামে ভাল।
সহিহ মুসলিম, ৪৬১৪ নং হাদিসের (কিতাবুল ইমারাহ) অনুবাদ-
৪৬১৪। আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে নবি করিম (সা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করল, সে আল্লাহর আনুগত্য করল। আর যে ব্যক্তি আমার অবাধ্যতা করল সে আল্লাহর অবাধ্যতা করল। যে ব্যক্তি আমিরের আনুগত্য করে সে আমারই আনুগত্য করল। আর যে ব্যক্তি আমিরের অবাধ্যতা করল সে আমারই অবাধ্যতা করল।
সহিহ মুসলিম, ৪৪৫৬ নং হাদিসের (কিতাবুল জিহাদ) অনুবাদ-
৪৪৫৬। হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি তার আমিরের মধ্যে এমন কোন ব্যাপার দেখে, যা সে অপছন্দকরে তবে সে যেন ধৈর্য্য অবলম্বন করে। কেননা, যে লোক জামায়াত থেকে কিঞ্চিত পরিমাণ সরে গেল এবং এ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করল সে জাহেলিয়াতের মুত্যুই বরণ করল।
মেশকাত ২২৪ নং হাদিসের (ইলম অধ্যায়) অনুবাদ-
২২৪। হযরত আওফ ইবনে মালেক আশজায়ী (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, স্বয়ং আমির অথবা আমীরের পক্ষ থেকে নির্দেশ প্রাপ্ত ব্যক্তি অথবা কোন অহংকারী ব্যতীত অপর কেউ ওয়াজ করতে পারে না।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ১৩৭ নং হাদিসের (অবতরনিকা অধ্যায়) অনুবাদ-
১৩৭। হযরত আলী (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমি যদি পরামর্শ ছাড়াই কাউকে আমার প্রতিনিধি নিযুক্ত করতাম তাহলে ইবনে উম্মে আবদ (রা.) কেই (আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ) আমার প্রতিনিধি নিযুক্ত করতাম।
সহিহ মুসলিম, ৪৫৭৬ নং হাদিসের (কিতাবুল ইমারাহ) অনুবাদ-
৪৫৭৬। হযরত জাবির ইবনে সামুরা কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে বলতে শুনেছি, বারজন খলিফা অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত ইসলাম পরাক্রান্ত অবস্থায় চলতে থাকবে। তারপর তিনি যে কি বললেন, তা’ আমি বুঝতে পারিনি। তখন আমি আমার পিতার নিকট জিজ্ঞাস করলাম তিনি কি বলেছেন? তিনি বললেন নবি করিম (সা.) বলেছেন, তাঁদের সকলেই হবে কোরাইশ বংশোদ্ভুত।
* সঠিক জামায়াত হতে তা’ আমির অনুমোদীত হতে হয়। রাসূলের (সা.) পর পাল্লাভারী সকল জামায়াত আমির অনুমোদীত ছিলো। চতুর্থ আমিরুল মুমিনিন হযরত আলীর (রা.) পর তাঁর জামায়াত হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদের (রা.) মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে যা পরে হানাফী জামায়াতে পরিনত হয়। যা পরাক্রান্ত খলিফা হারুনুর রশিদ কর্তৃক অনুমোদীত হয়। তারপর আর কোন জামায়াত আমির কর্তৃক অনুমোদীত হয়নি। এখন পর্যন্ত পাল্লাভারী জামায়াত হানাফী জামায়াত। সুতরাং কোন লিখিত হাদিস দিয়ে এ জামায়াতের বিরোধীতার কোন সুযোগ নাই। কারণ কোন লিখিত হাদিসের কিতাব কোন আমির অনুমোদীত নয়।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) কেড়ে নাও। তুমি যাকে ইচ্ছা ইজ্জত দান কর, আর যাকে ইচ্ছা বেইজ্জতি কর।তোমার হাতেই মঙ্গল।নিশ্চয়ই তুমি সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান।
মেশকাত ২২৪ নং হাদিসের (ইলম অধ্যায়) অনুবাদ-
২২৪। হযরত আওফ ইবনে মালেক আশজায়ী (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, স্বয়ং আমির অথবা আমীরের পক্ষ থেকে নির্দেশ প্রাপ্ত ব্যক্তি অথবা কোন অহংকারী ব্যতীত অপর কেউ ওয়াজ করতে পারে না।
* হাদিসের কিতাব সংকলনের সমগ্র সময় আল্লাহ আমির ব্যবস্থা বিদ্যমাণ রেখেছেন। তথাপি কোন হাদিসের কিতাবে আমিরের অনুমোদন গ্রহণ করা হয়নি। সুতরাং এসব কিতাবের সবগুলোই বাতিল কিতাব। এসব কিতাবের হাদিস হানাফী মাযহাবের গরমিল হলে তা’ আমলযোগ্য হবে না। কারণ এসব হাদিসের কিতাব আমিরের অনুমোদীত নয়, কিন্তু হানাফী মাযহাব আমিরের অনুমদীত। এমনকি হানাফী জামায়াত অনুমোদীত হওয়ার পরের সকল আমির এর অনুসারী ছিলেন। সুতরাং ইমাম মাহদী আসার পূর্ব পর্যন্ত এটি মুসলিমদর সঠিক জামায়াত হিসাবে বিদ্যমাণ থাকবে।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে।
* পাল্লাভারী জামায়াত সমূহ একটি আরেকটির অনুসরনের মাধ্যমে বিস্তৃত। এক্ষেত্রে লিখিত হাদিস অনুসারিত বিবেচিত হয়নি। সুতরাং লিখিত হাদিস পাল্লাভারী জামায়াতের গরমিল হলে তা’ বাতিল সাব্যস্ত হবে। আর পাল্লাভারী জামায়াতের বিরোধীরা মতভেদ ও বিভেদকারী সাব্যস্ত হয়ে মহাশাস্তি ভোগ করবে। আর এটা হতে পারে দায়েমী জাহান্নামী হওয়া। কারণ যারা জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে জান্নাতে যায় তাদের শাস্তি দায়েমী জাহান্নামী থেকে কম। হতে পারে এসব মতভেদকারীদেরকে আল্লাহ মৃত্যুর সময় ঈমান হারা করে মৃত্যু দেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ভোর ৪:০১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



