
গণসম্মান বলতে জনগণের দুই তৃতীয়াংশের সম্মান বুঝায়। বাকশাল গঠন করার পর বঙ্গবন্ধু সেটা হারিয়েছেন।নয় বছর জোর পূর্বক ক্ষমতা দখল করে রেখে এরশাদ গণসম্মান হারিয়েছে। খালেদা জোর পূর্বক ক্ষমতা দখল করে রাখতে পারেনি তবে জোর পূর্বক ক্ষমতা দখল করে রাখার চেষ্টা করে গণসম্মান হারিয়েছে।হাসিনা দশ বছর জোর পূর্বক ক্ষমতা দখল করে রেখে গণসম্মান হারিয়েছে।বঙ্গবন্ধু, এরশাদ, খালেদা ও হাসিনার দলের কারো প্রতিও গণসম্মান নাই। এদের প্রতি যারা গণসম্মানের প্রস্তাব করে তারা আস্ত বেকুব, তারা ডেোডো পাখি, তারা লিলিপুটিয়ান। সোহরাওয়ার্দী, শেরে বাংলা ও মাওলানা ভাসানী বাংলাদেশে গণসম্মানে আছেন। আগামীতে বাংলাদেশে কেউ গণসম্মান পেতে হলে তাকে সবার আগে গণতন্ত্রী হতে হবে।
বাংলাদেশে অনেকে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অনেক কথা বলে। তাদের প্রতি আমাদের সাফ কথা হলো, আমরা যেমন হই না কেন যারা গণতন্ত্রী নয় আমাদের গণসম্মান তারা পাবে না।আমাদের কেউ পাকিস্তানী, কেউ ভারতীয়, কেউ নৃ-তাত্ত্বিক। আমাদের গণ হয়ে উঠা মুশকিল।তবে গণতন্ত্র চাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা এখনো গণহয়ে আছি। সেজন্য আমাদের এখানে গণতন্ত্রের পক্ষে গণঅভ্যুত্থান হয়। ২০২৪ সালে সেটা আরেকবার হলো। যাদের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান হয় তাদের প্রতি জাতীয় ঘৃণা থাকে।আওয়ামী লীগকে জাতি একবার ক্ষমা করেছে তারা এর মূল্য দেয়নি। ২০২৪ এরপর জামায়াত ও বিএনপি ক্ষমার আশা করছে। কোন দণকে জনগণ ক্ষমা করে সেটা সামনের নির্বাচনে বুঝা যাবে।
ঘৃণিত দল সমূহকে জাতি ক্ষমা করতে চায়। কিন্তু ক্ষমা করলেই তারা গাতির ঘাড়ে চেপে বসে। এরা সবাই হনুমানের পুজারীর বংশধর। হনুমানি পুজারী থেকে এ জাতীর উদ্ভব বিধায় এদের হুনুমান হয়ে উঠায় অবাক হওয়ার মত কিছু নাই। এ জাতি নিয়ে আশা থেকে হতাশাই বেশী। এ জাতি গণতন্ত্র প্রিয় জাতি। এদের ঘাড়ে গণতন্ত্র পরিপন্থী কোন কিছু চাপানো কি দরকার? এদের ঘাড়ে জোর করে অগণতান্ত্রিক কিছু চাপাতে গেলে কি হয় হনুমাণের বংশধরেরা বার বার দেখার পরেও তা’ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে না।
আমাদের প্রতিবেশী উল্লুকেরা একদল হনুমানকে মগডালে উঠিয়ে রাখায় জাতির তাদেরকে সেখান থেকে নামাতে কষ্ট হয়েছে। এখন তারা রনে রনে বনে বনে ঘুরে বেড়িয়ে জাতিকে খামচি দিতে প্রতি নিয়ত ভেংচি কাটছে। এখনো পরিস্থিতি ঘোলাটে। দেখা যাক কি হয়। একজন বলছিলো আপনার অসুবিধা কি? জবাবে অন্য জন বলেছে, আপনে সুবিধা দেখলেন কোন জায়গায়? যে জাতির সবটাই অসুবিধা তারা আর সুবিধার কথা কিভাবে ভাবতে পারে? তথাপি কিঞ্চিত আশা সবাই করে। কারণ মানুষ আশায় খাকতে ভালোবাসে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


