
সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত জন্তু, শৃংগাঘাতে মৃত জন্তু এবং হিংস্র পশুতে খাওয়া জন্তু, তবে যা তোমরা যবেহ করতে পেরেছ তা’ ব্যতীত, আর যা মূর্তি পুজার বেদির উপর বলি দেওয়া হয় তা এবং জুয়ার তীরদ্বারা ভাগ্য নির্ণয় করা, এ সব পাপ কাজ। আজ কাফেরগণ তোমাদের দীনের বিরুদ্ধাচরণে হতাশ হয়েছে; সুতরাং তাদেরকে ভয় করবে না, শুধু আমাকে ভয় কর। আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দীন পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দীন মনোনীত করলাম। তবে কেহ পাপের দিকে না ঝুঁকে ক্ষুধার তাড়নায় বাধ্য হলে তখন আল্লাহ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
সূরাঃ ৫৩ নাজম, ৩ নং ও ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। আর সে মনগড়া কথা বলে না।
৪। এটাতো ওহি যা তার প্রতি ওহি হিসেবেই পাঠানো হয়।
সূরা: ৯ তাওবা, ১২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২২। আর মু’মিনদের এটাও উচিৎ নয় যে (জিহাদের জন্য) সবাই একত্রে বের হয়ে পড়বে। সুতরাং এমন কেন করা হয় না যে, তাদের প্রত্যেক বড় দল হতে এক একটি ছোট দল (জিহাদে) বের হয় যাতে অবশিষ্ট লোক ফিকাহ (দীনের গভীর জ্ঞান) অর্জন করতে থাকে। আর যাতে তারা নিজ কওমকে ভয় প্রদর্শন করে, যাতে তারা সাবধান হয়।
সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
সূরা: ৪৫ জাছিয়া, ৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬। এগুলি আল্লাহর আয়াত, যা আমি তোমার নিকট যথাযথভাবে তিলাওয়াত করছি। সুতরাং আল্লাহর এবং তাঁর আয়াতের পরিবর্তে তারা কোন হাদিসে বিশ্বাস করবে?
* কোরআন বলছে ইসলাম পূর্ণাঙ্গ হয়েগেছে। কোরআন বলছে রাসূল (সা.) ওহীর বাইরে কোন কথা বলেন না। ওহীর গরমিল হাদিস আবার আল্লাহ বাতিল করেছেন। তিনি মানতে বলেছেন ফিকাহ। রাসূল (সা.) তাঁর সাহাবায়ে কেরামকে (রা.) ফিকাহ শিক্ষা দেওয়ার কথাও কোরআন বলে দিয়েছে। তাহলে আর বাকী রইলো কি? উত্তর হলো, কিচ্ছু না।সেজন্য মৃত্যূ সজ্জায় রাসূল (সা.) যখন কিছু লিখিয়ে দেওয়ার জন্য খাতা কলম নিয়ে আসতে বললেন, লোকেরাও খাতা-কলমের জন্য ছুটাছুটি করতে লাগলো, তখন হযরত ওমর (রা.) বললেন, রাসূলের (সা.) কষ্ট হচ্ছে। তোমরা এমন গন্ডগোল করবে না। আমাদের নিকট কোরআন আছে। কোরআন আমাদের জন্য যথেষ্ট।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি তোমাদের অন্তরে প্রীতি সঞ্চার করেছেন, ফলে তাঁর দয়ায় তোমরা পরস্পর ভাই হয়ে গেলে।তোমরাতো অগ্নি কুন্ডের প্রান্তে ছিলে, আল্লাহ উহা হতে তোমাদেরকে রক্ষা করেছেন। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর নিদর্শনসমূহ স্পষ্টভাবে বিবৃতকরেন যাতে তোমরা সৎপথ পেতে পার।
সূরাঃ ১০১ কারিয়া, ৬ নং থেকে ৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬। তখন যার পাল্লা ভারী হবে
৭। সেতো লাভ করবে সন্তোষ জনক জীবন।
৮। কিন্তু যার পাল্লাহ হালকা হবে
৯। তার স্থান হবে হাবিয়া।
সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা (ইতায়াত) আনুগত্য কর আল্লাহর, আর (ইতায়াত) আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের মধ্যে আমির।কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে বিরোধ দেখাদিলে উহা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসুলের নিকট। ওটা উত্তম এবং পরিনামে ভাল।
সূরাঃ ৯ তাওবা, ১০১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০১। মরুবাসীদের মধ্যে যারা তোমাদের আশেপাশে আছে তাদের কেউ কেউ মুনাফিক। মদীনাবাসীদের মধ্যেও কেউ কেউ মোনাফেকী রোগে আক্রান্ত। তুমি তাদের সম্পর্কে জান না। আমরা তাদের সম্পর্কে জানি।আমারা সিগ্র তাদেরকে দু’বার শাস্তি দেব। এরপর তারা মহা শাস্তির দিকে যাত্রা করবে।
* আল্লাহর ঘোষণা অনুযায়ী পাল্লাভারী জামায়াত নাজাতের কারণ। সেজন্য রাসূলের (সা.) ইন্তেকালের পর আমির নির্বাচনে হযরত ওমর (রা.) হযরত আবু বকরের (রা.) নাম প্রস্তাব করলেন। কারণ রাসূলের (সা.) পর আমিরের মান্যতার কথা কোরআনে আছে। আমির নির্বাচনে হযরত ওমরের (রা.) প্রস্তাবে পাল্লাভারী জামায়াত সমর্থন দান করলে হযরত আবু বকর (রা.) আমির নির্বাচিত বলে ঘোষিত হলো। তখন হযরত আলী (রা.) হযরত আবু বকরকে (রা.) আমির মানতে অস্বীকার করলেন। কারণ কিছু লোক বলল, রাসূলের (সা.) গাদির খুমের ভাষণ অনুযায়ী আমির হযরত আলী (রা.)। কিন্তু গাদির খুমের ভাষণ কেউ শুনেছে কেউ শুনেনি। তাহলে সিদ্ধান্ত কি? গাদির খুমের ভাষণ অনুযায়ী পাল্লাভারী জামায়াত হযরত আলীর (রা.) আমির হওয়ার বিষয়টি সমর্থন করেননি। সেজন্য হযরত আবু বকরের (রা.) আমির হওয়ার বিষয়টি হযরত আলী (রা.) মেনে নিলেন। তখন থেকে ফিকাহের বিপরীতে হাদিস বাতিল হওয়ার বিষয়টি কার্যকর হওয়া শুরু হলো। কোরআনের দাবী অনুযায়ী মোনাফেক ফিকাহ প্রাপ্ত নয়। পরবর্তীতে তারা গাদির খুমের হাদিস অনুযায়ী হযরত আলীর (রা.) আমির হওয়া বিষয়ে ফিতনা শুরু করে। তারা হযরত ওসমানকে (রা.) শহীদ করে। তারপর হযরত আলী (রা.) আমির হলে তারা শান্ত হয়। তাদের কেউ সাহাবা ছিলো না। তাদের বিচারের জন্য সাহাবায়ে কেরামের (রা.) দু’টি দল হযরত আলীর (রা.) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। তাদের অভিযোগ হযরত আলী (রা.) হযরত ওসমান হত্যার বিচারে বিলম্ব করছেন। পাল্লাভারী জামা্য়াত তাঁদের অভিযোগ স্বীকার করেননি। সুতরাং ফিকাহ অনুযায়ী তখন হযরত আলী (রা.) সঠিক ছিলেন।
সূরাঃ ৮ আনফাল, ৩৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩৯। আর তোমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকবে যতক্ষণ না ফিতনা দূরীভূত হয় এবং আল্লাহর দীন সর্বত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।অতঃপর যদি তারা বিরত হয় তবে তারা যা করে আল্লাহতো এর দর্শক।
সূরাঃ ৪৯ হুজরাত, ১০ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০। মু’মিনগণ পরস্পর ভাই ভাই; সুতরাং তোমরা ভাইদের মাঝে ইসলাহ (শান্তি স্থাপন) কর, আর আল্লাহকে ভয় কর যাতে তোমরা অনুগ্রহ প্রাপ্ত হও।
* খারেজীরা বলল, হযরত মুয়াবিয়ার (রা.) বিরুদ্ধে হযরত আলী (রা.) যুদ্ধ থামিয়ে কোরআন অমান্য করে কাফের হয়েছেন। সেজন্য তারা তাঁকে শহীদ করে ফেলে। কিন্তু আসলে তিনি কোরআন অনুযায়ী হযরত মুয়াবিয়ার (রা.) সাথে ইসলাহ করতে যুদ্ধ থামিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে পাল্লাভারী সহাবা জমায়াত হযরত আলীর (রা.) পক্ষে থাকায় ফিকাহ অনুযায়ী তিনি সঠিক ছিলেন। আর খারেজী পক্ষে কোন সাহাবা (রা.) ছিলো না। ফিকাহ মানে গভীর জ্ঞান। খারেজীরা একটি আয়াত দ্বারা হযরত আলীকে (রা.) কাফের বললেও সেই আয়াতের সাথে আরেকটি আয়াত যোগ করলে ফিকাহ তথা গভীর জ্ঞানে হযরত আলী মুসলিহ সাব্যস্ত হন। সুতরাং ফিকাহ কোরআন ও হাদিস উভয় ক্ষেত্রে শক্তিশালী। কারণ এটি ইসলামের গভীর জ্ঞান। আল্লাহও ফিকাহ শিখে সে অনুযায়ী লোকদেরকে ভয় দেখাতে বলেছেন।
সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং থেকে ৪ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
৩। আর তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনো তাদের সহিত মিলিত হয়নি। আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।
৪। ওটা আল্লাহরই অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তিনি ওটা দান করেন। আর আল্লাহ তো মহা অনুগ্রহশীল।
# সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ৩ নং আয়াতের তাফসির- তাফসিরে ইবনে কাছির
৩। এ আয়াতের তাফসিরে আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহর পার্শ্বে বসে ছিলাম, এমন সময় তাঁর উপর সূরা জুমুয়া অবতীর্ণ হয়। জনগণ জিজ্ঞাস করেন হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! ‘ওয়া আখারিনা মিনহুম লাম্মা ইয়ালহাকু বিহিম’ দ্বারা কাদেরকে বুঝানো হয়েছে? কিন্তু তিনি কোন উত্তর দিলেন না। তিন বার এ প্রশ্ন করা হয়। আমাদের মধ্যে সালমান ফারসীও (রা.) ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর হাতখানা সালমান ফারসীর (রা.) উপর রেখে বললেন, ঈমান যদি সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থাকত তাহলেও এই লোকগুলোর মধ্যে এক কিংবা একাধিক ব্যক্তি এটা পেয়ে যেত।(ফাতহুলবারী ৮/৫১০, মুসলিম ৪/১৯৭২, তিরমিযী ৯/২০৯, ১০/৪৩৩, নাসাঈ ৫/৭৫, ৬/৪৯০, তাবারী ২৩/৩৭৫)।
সহিহ বোখারী ৪৯৯ নং হাদিসের (সালাতের ওয়াক্ত সমূহ অধ্যায়) অনুবাদ-
৪৯৯। হযরত যুহুরী (র.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি দামেশকে আনাস ইবনে মালেকের (রা.) নিকট গিয়ে দেখতে পেলাম, তিনি কাঁদছেন। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কাঁদছেন কেন? তিনি বললেন, আমি যা যা দেখেছি তার মধ্যে এ নামাযই আজ পর্যন্ত অবশিষ্ট ছিল। কিন্তু এখন নামাজও নষ্ট হতে চলেছে।
* লোকেরা আল্লাহকে ভয় পায়নি। ফিকাহ পরিত্যাগ করে খারেজীরা কোরআন নিয়ে এবং শিয়া ও সালাফীরা হাদিস নিয়ে বাড়াবাড়ী শুরু করে।অথচ ফিকাহের কথা কোরআনে সুস্পষ্টভাবে বিবৃত রয়েছে। ঈমানকে সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট পাঠিয়ে দিয়ে ফিকাহ অস্বীকারকারীরা ইসলাম বিনষ্ট করে। অবশেষে ইসলাম মেরামত করতে পারসিক ফকিহ ইমাম আবু হানিফা (র.) চার হাজার তাবেঈ থেকে ফিকাহ সংগ্রহ করেন।
সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ২৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮। এভাবে রং বেরং- এর মানুষ, জন্তু ও আন’আম রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে (ওলামা) আলেমরাই তাঁকে ভয় করে।নিশ্চয়্ই আল্লাহ পরাক্রমশালী ক্ষমাশীল।
সহিহ মুসলিম, ৪৫৭৬ নং হাদিসের (কিতাবুল ইমারাহ) অনুবাদ-
৪৫৭৬। হযরত জাবির ইবনে সামুরা (রা.)কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, বারজন খলিফা অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত ইসলাম পরাক্রান্ত অবস্থায় চলতে থাকবে। তারপর তিনি যে কি বললেন, তা’ আমি বুঝতে পারিনি। তখন আমি আমার পিতার নিকট জিজ্ঞাস করলাম তিনি কি বলেছেন? তিনি বললেন নবি করিম (সা.) বলেছেন, তাঁদের সকলেই হবে কোরাইশ বংশোদ্ভুত।
* সবচেয়ে পরাক্রান্ত আমির হারুনুর রশিদ ওলামা পরিষদ গঠন করে ইমাম আবু হানিফা (র.) সংগৃহিত ফিকাহ পরিশোধন করে হানাফী মাযহাব নামে অনুমোদন করে। এখন এক দল বলছে তারা ইমাম আবু হানিফাকে (রা.) মানে তারা হানাফী মাযহাব মানে না। তিন দল বলল, তারা ফিকাহ মানে তবে হানাফী মাযহাব মানে না। কিন্তু তারা তাদের ফিকাহ আমির কর্তৃক অনুমোদন করেনি। শিয়া, সালাফী ও খারেজীদের দলও বলল, তারা হানাফী মাযহাব মানে না। কিন্তু তারা যা মানে তা’ আমির অনুমোদীত নয়। অথচ কোরআন ও হাদিস উভয় আমির মানতে বলেছে। পাল্লাভারী জামায়াত বলল, এ ক্ষেত্রে আমির মানতে হবে। সুতরাং ফিকাহ অনুযায়ী এ ক্ষেত্রে আমির মেনে হানাফী মাযহাব মানতেই হবে।
সূরাঃ ২ বাকারা, ১২৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৪। আর যখন তোমার প্রতিপালক ইব্রাহীমকে কয়েকটি বাক্য (কালিমাত) দ্বারা পরীক্ষা করেছিলেন, পরে সে তা পূর্ণ করেছিল; তিনি বললেন নিশ্চয়ই আমি তোমাকে মানব জাতির ইমাম বানাব; সে বলেছিল আমার বংশধরগণ হতেও; তিনি বলেছিলেন, আমার প্রতিশ্রুতি জালেমদের প্রতি প্রযোজ্য হবে না।
সূরাঃ ২২ হাজ্জ, ৭৮ নং আয়াতের অনুবাদ
৭৮। আর জিহাদ কর আল্লাহর পথে যেভাবে জিহাদ করা উচিত। তিনি তোমাদেরকে (জিহাদের জন্য) মনোনীত করেছেন।তিনি দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের উপর কোন কঠোরতা আরোপ করেননি। এটা তোমাদের পিতা ইব্রাহীমের মিল্লাত বা জাতি।তিনি পূর্বে তোমাদের ‘মুসলিম’ নাম করণ করেছেন। আর এতে (এ কোরআনেও তোমাদের ‘মুসলিম’ নাম করণ করা হয়েছে) যেন রাসুল তোমাদের জন্য সাক্ষ্যি হন এবং তোমরা স্বাক্ষী হও মানব জাতির জন্য। অতএব তোমরা সালাত বা নামাজ কায়েম কর, যাকাত দাও এবং আল্লাহর সাথে যুক্ত থাক। তিনি তোমাদের অভিভাবক। কত উত্তম অভিভাবক এবং কত উত্তম সাহায্যকারী তিনি।
সূরাঃ ২৫ ফুরকান, ৭৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৭৪। আর যারা প্রার্থনা করে, হে আমাদের প্রতি পালক! আমাদের জন্য এমন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান কর যারা হবে আমাদের জন্য নয়ন প্রীতিকর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্য ইমাম কর।
সহিহ আবুদাউদ, ৬০১ নং হাদিসের (নামায অধ্যায়) অনুবাদ-
৬০১। হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ঘোড়ায় চড়েন। তিনি তার পিঠ থেকে পড়ে যাওয়ায় তাঁর শরীরের ডান দিকে আঘাত পান। এমতাবস্থায় তিনি বসে নামাজে ইমামতি করেন এবং আমরাও তাঁর পেছনে বসে নামাজ পড়ি। নামাজ শেষে মহানবি (সা.) বলেন, ইমামকে এ জন্যই নিযুক্ত করা হয়, যেন তার অনুসরন করা হয়। সুতরাং ইমাম যখন দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করবে তখন তোমরাও দাঁড়াবে। এরপর ইমাম যখন রুকু করবে তখন তোমারও রুকু করবে এবং ইমাম যখন মাথা উঠাবে তখন তোমরাও মাথা উঠাবে। এরপর ইমাম যখন ‘সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলবে তখন তোমরা বলবে ‘রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ’। ইমাম যখন বসে নামাজ পড়বে তখন তোমরাও বসে নামাজ পড়বে।
সহিহ তিরমিযী, ১৯৮ নং হাদিসের (নামাজ অধ্যায়) অনুবাদ-
১৯৮। হযরত আবু হোরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ইমাম হচ্ছে যামিন এবং মোয়াজ্জিন হলো আমানতদার। হে আল্লাহ! ইমামকে সৎপথ দেখাও এবং মুয়াযযিনকে ক্ষমা কর।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।
* মুসলিম জাতির পিতা ইব্রাহীম (আ.)। সে হিসাবে গোটা মুসলিম জাতি তাঁর বংশধর। কোরআন অনুযায়ী ইমামগণ তাঁর সেরা বংশধর। কারণ তাঁরা আল্লাহর নিকট তাঁর প্রার্থনার ফসল। আর অনুসরনের জন্য মুত্তাকীদের দীনের যামিনদার ইমাম নিযুক্ত করা হয়। সুতরাং তাঁদের সর্ববৃহৎ দল অবশ্যই উম্মত এবং হেদায়াত প্রাপ্ত। তাঁরা হানাফী বিধায় হানাফী মাযহাব সঠিক। এটা কোরআনে বর্ণিত পাল্লাভারী জামায়াতের মতে সঠিক। সুতরাং কেউ যদি কোরআন মেনে হানাফী হয় তবে কোরআন সতার হেদায়াতের জন্য যথেষ্ট হবে। সুতরাং হযরত ওমরের (রা.) কথা সঠিক। কেউ যদি কোরআন মেনে হানাফী হয় তবে কোরআন তার হেদায়াতের জন্য যথেষ্ট হবে।
সূরাঃ ৬ আনআম, ১৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৫৩। আর এপথই আমার সিরাতাম মুসতাকিম (সরল পথ)। সুতরাং তোমরা এর অনুসরন করবে, এবং বিভিন্ন পথ অনুসরন করবে না, করলে তা’ তোমাদেরকে তাঁর পথ হতে বিচ্ছিন্ন করবে। এভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিলেন যেন তোমরা সাবধান হও।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে।
সূরাঃ ৪ নিসা, আয়াত নং ১১৫ এর অনুবাদ-
১১৫। কারো নিকট সৎপথ প্রকাশ হওয়ার পর সে যদি রাসুলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মু’মিনদের পথ ব্যতিত অন্যপথ অনুসরন করে, তবে সে যে দিকে ফিরে যায় সে দিকেই তাকে ফিরিয়ে দেব এবং জাহান্নামে তাকে দগ্ধ করব, আর উহা কত মন্দ আবাস।
* হানাফী মাযহাব অভিন্ন পথ দেখায় বিধায় এটা সিরাতাম মুসতাকিম। এর বিরোধীরা বিভিন্ন পথ দেখায় বিধায় তাদের পথ সিরাতাম মুসতাকিম নয়। তারা মুমিন হানাফীদের পথ ছেড়ে অন্য পথে চলে যায়। আল্লাহ তাদেরকে জাহান্নামে দগ্ধ করবেন। তারা হবে দায়েমী জাহান্নামী। তবে হানাফীদের কারো নেকের পাল্লা হালকা হলে তারা হাবিয়ার শাস্তি ভোগের পর জান্নাতে যাবে।
# ফিকাহ হলো কোরআন ও হাদিসের সমম্বিত অবস্থা। সেটা বাদ দিয়ে আলাদাভাবে কোরআন বা হাদিস নিয়ে ছুটা-ছুটি করলে ইসলাম থেকে ছুটে গিয়ে খারেজী হয়ে জাহান্নামে যেতে হবে। আর খারেজীরা হবে জাহান্নামের কুকুর।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


