
মেয়েরা এসে বলল, অফিস বিল্ডিং দারুণভাবে সাজানো হয়েছে। গিয়ে দেখলাম সাথে একটা চাঁদও দেখা যাচ্ছে। তবে এবারের রাত নিস্তব্ধ। এক ব্যক্তি ও দলের কীর্তি গাঁথা শুনা যাচ্ছে না। যারা মনে করতো তারাই এদেশের সব। তাদের অতি চেতনায় জাতি যখন অতিমাত্রায় জেগে উঠলো তখন তারা কোথায় যেন হারিয়ে গেল। ফেসবুকে তাদের যথেষ্ট হুংকার দেখা গেলেও বাস্তবে একটি শব্দও শুনা যাচ্ছে না। কিসে তাদের এত ভয়? কে তাদের কি করবে? তাদের একাত্তরের হাতিয়ার আরেকবার গর্জে উঠছে না কেন? জাতি নাকি কিছুই করেনি, তারা একাই নাকি সব করেছে? তবে তারা আরেক বার একা কিছু একটা করে দেখাক।
ছাত্রদের কথায় আমি অবাক হয়ে ছিলাম।চব্বিশের বিজয়ের পর তারা বলতে শুরু করে ছিল তারাই সব কিছু করেছে। তারপর যারা তাদের সাথে ছিল তারা তাদেরকে একা রেখে কেটে পড়লো। শ্লোগানটা হয়ে গেল নেতা তুমি এগিয়ে চল আমরা নাই তোমার পিছে। তারপর তাদের কথায় আর কিছু হচ্ছে না। সেজন্যই কথায় বলে অতি বাড় বাড়তে নেই।
দেশে যা হয়েছে সেটা হলো একটা দল বিস্ময়করভাবে পালিয়ে গেছে। তারপর যেসব হচ্ছে সেসব তেমন আশা বেঞ্জক কিছু নয়। অনেকে বলছে আশার বাস্তবায়নে অপেক্ষায় থাকতে হবে। আমাদের দেশে আবার কোন অপেক্ষার অবসান হয় না। শেখ হাসিনা টুক করে দেশে ঢুকে পড়ার অপেক্ষায় আছেন। তাঁর এ অপেক্ষার অবসান হবে কি? এ বিষয়ে জেনারেশন একাত্তরের একটা মন্তব্য কাম্য ছিল। কিন্তু তার মন্তব্য এখন ডুমুরের ফুল হয়ে গেছে। জানি না জটিল আংকেল একটা জটিল মন্তব্য করবেন কিনা।
অতি লোভ ভালো নয়। এটা আবার আমাদের অনেকের বিশ্বাস হয় না। গত নির্বাচনটা সঠিক হলে এরাত হয়ত এমন নিরব থাকতো না। কিছু শব্দ হয়ত হতই। আমি সঠিক নির্বাচনের কথা বলে ছিলাম। কিন্তু সেপক্ষ তখন আমার কথা যোক্তিক মনে করেনি।সব দলের সব মিলেই একটা বৈচিত্র তৈরী হয়। আমাদের দেশে এক দল অন্য দলের টুটি চেপে তাদেরকে নিরব করে রাখে। তারপর যা বলার এক দলই বলে। তাদের কীর্তি গাঁথা শুনতে শুনতে সবাই ত্যাক্ত বিরক্ত হয়ে পড়ে। সবার মাঝে শুভবোধের উদয় হোক। এগিয়ে যাক প্রিয় দেশ ও প্রিয় জাতি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


