
ছাত্র-জনতার তাড়া খেয়ে নৌকা বহর এখন ছত্রভঙ্গ। নৌকা বহর যেন কুলে ভিড়তে না পারে সেজন্য কুলের পাহারায় আছে ছাত্র-জনতা। ছ’মাসেও ছত্রভঙ্গ নৌকা বহরের কোন উন্নতি নাই। পলাতক মাঝিদের ঘর-দোর এখন ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে। আগে তারা বলেছে মদি তাদেরকে কুলে ভিড়িয়ে দিবে। পরে তারা বলেছে ট্রাম্প তাদেরকে কুলে ভিড়িয়ে দিবে।সময়ের সাথে তাদের আশাগুলো কাল্পনিক মনে হচ্ছে।
১৯ বছর আগে লগি বৈঠার বীরত্ব দেখা গিয়েছিলো। তারপর থেকে তাদের বিরোধীরা মৃতপ্রায় অবস্থায় ছিল।লগি-বৈঠার লোকেরা খেলা হবে খেলা হবে বহুবার বললেও কেউ তাদের সাথে খেলতে আসেনি। তারপর ছাত্র-জনতা খেলতে আসলে তারা পালিয়ে প্রাণে বাঁচে। তাদেরকে গর্ত থেকে বের করতে তাদের ঘর-দোর ভাঙ্গা হচ্ছে। কিন্তু তারা তাদের বিরোধীদের মতই মৃত প্রায় অবস্থায় বিদ্যমাণ। এতকাল খেলার জন্য এত্ত হাঁকাহাঁকি করার পর এখন তারাই খেলতে আসছে না। সম্ভবত তাদের বীরত্বের সেই সব লগি-বৈঠা ঘুনেধরে নষ্ট হয়ে গেছে। সেই জন্য তারা এখন খেলতে আসতে সাহস পাচ্ছে না। সুতরাং সাহসী মাঝি এবং নতুন লগি-বৈঠা প্রয়োজন। তাহলে কুলে এসে ছাত্র-জনতার সাথে ফাইট করে কুলে উঠা যাবে।
কিছু সংখ্যক নৌকার মাঝি বস্তা বস্তা টাকা নিয়ে সরে পড়েছে। প্রধান মাইয়া মাঝি এখন ভারতে পলাতক। ছিঁচকাদুনে সে মাঝির চোখের জলে আগে অনেক কাজের কাজ হয়েছে। এখন ছাত্র-জনতার প্রচুর রক্ত ঝরার কারণে চোখের জলে আর কোন কাজ হচ্ছে না। এখন রক্তের বদলে রক্ত ঢালা দরকার। কিন্তু বস্তাভরা টাকার চোরেরা রক্ত ঢালতে নারাজ। তারা ভাবছে তারা রক্ত ঢাললে তাদের চোরাই টাকা কে খাবে? চোরাই টাকা ভাগ যারা পায়নি তারা ভাবছে তারা কেন রক্ত ঢালবে? সুতরাং ছাত্র-জনতার সাথে খেলায় তারা অবিরত গো-হারা হারছে।
তাদের হাতে বেসুমার টাকা। সেই টাকা দিয়ে তারা প্রচুর নতুন লগি-বৈঠা সংগ্রহ করে কিছু সাহসী মাঝির হাতে তুলে দিতে পারলে ছাত্র-জনতার সাথে তারা খেলায় সামিল হতে পারে। জয়-পরাজয় পরের হিসাব। মালেক উকিল একসময়ে নৌকার হাল ধরে ছিল। কিন্তু পরে তাঁর কথা কেউ মনে রাখেনি। এমন অবস্থার অবতারণা করা হয়েছিল যে যেন একজন একাই সব করেছে। কিন্তু নৌকা বহর একজন মাঝি দ্বারা সম্ভব নয়। দিনে দিনে জমেছে বহু দেনা এখন করতে হবে শোধ। পাওনা দারের হট্টগোলে পলাতক সকল মঝি। লগি-বৈঠার কোন খবর নাই। জনাব কাদের একবার বলে ছিলেন, এমন অবস্থা হলে একশত বছরেও উদ্ধার হবে না। পাশের দেশ নোয়াখালীতে জন্ম নেওয়া সেই মহামনিষীর কথাই কি অবশেষে ফলতে চলেছে? তাহলে এখন যারা পলাতক তারা আর কোন দিন সুদিন দেখবে না।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


