
৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান ছিল স্বৈরাচার বিরোধী গণঅভ্যুত্থান। ৭১ এর যুদ্ধ ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যুদ্ধ। কিন্তু যুদ্ধ জয়ের পর বঙ্গবন্ধু গণতন্ত্রের উল্টা পথে হেঁটেছেন।অবশেষে সেনাবিদ্রোহে তিনি নিহত হন।৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান সেনা শাসকের বিরুদ্ধে হয়ে ছিল, কিন্তু যে গণতন্ত্রের জন্য গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল সে গণতন্ত্র জনগণ পায়নি বলে সেনাবিদ্রোহ হয়। ৯০ পর্যন্ত সেনা শাসন চলার পর ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী গণঅভ্যুত্থান হয়ে গণতন্ত্রের মাধ্যমে খালেদা জিয়া ক্ষমতা প্রাপ্ত হন। ৯৬ সালে খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের উল্টা পথে হেঁটে ক্ষমতা থেকে উৎখাত হন। ২১ বছর পর ক্ষমতা পেয়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যা জনগণকে সন্তুষ্ট করতে না পারার কারণে আবার খালেদা জিয়া ২০০১ সালে ক্ষমতা পেয়ে যান। কিন্তু পুরাতন অভ্যাস ভুলতে না পারায় খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের উল্টা পথে হেঁটে ২০০৬ সালে আবার ক্ষমতা থেকে উৎখাত হন।আবার সেনা শাসন আসে। গণতন্ত্রের মাধ্যমে ২০০৯ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা আবার ক্ষমতা প্রাপ্ত হন। অবশেষে তিনি তাঁর বাবার মত গণতন্ত্রের উল্টা পথে হেঁটেছেন।২০২৪ সালে তিনি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতা থেকে উৎখাত হয়ে ভারতে পালিয়ে যান। এদিকে ছাত্র-জনতা স্বাধীনদেশের প্রথম স্বৈরাচার বঙ্গবন্ধুর বাড়ী ভেঙ্গে ফেলে। এখন দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলছে। সামনে দেশে গণতন্ত্র কতটুকু প্রতিষ্ঠিত থাকবে সেটা সামনে দেখা যাবে।
৭৫ এর সেনাবাহিনী বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও ২০২৪ এর সেনাবাহিনী বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যা করেনি। তারা তাঁকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন। তাদের সহায়তায় এখন দেশ চলছে।তবে ছয় মাস গত হলেও বঙ্গবন্ধুর কন্যার প্রতি ছাত্র-জনতার ক্ষোভ কমেনি।সেনাবাহিনী বিষয়টি দেখছে। তবে শান্তির পথে দেশ পরিচালিত হওয়ার জন্য দেশ গণতন্ত্রের পথে হাঁটা উচিত। সুষ্ঠ ভোটেও খালেদা জিয়ার দল আবার ক্ষমতা পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তবে আবার যদি তারা গণতন্ত্রের উল্টা পথে হাঁটে তাহলে তবে অতি দ্রুত তারা বিপদে পড়তে পারে। কারণ স্বৈরাচারের প্রতি জনতার অতিমাত্রায় অসহিষ্ণু মনভাব প্ররিলক্ষিত হচ্ছে।
গত জানুয়ারীর নির্বাচন সুষ্ঠ হওয়ার দরকার ছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা সে পথে না হেঁটে অতিঅল্প সময়ে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হলেন। তিনি মনে করেছেন পালিয়ে গিয়ে তিনি দ্রুত ক্ষমতায় ফিরতে পারবেন, কিন্তু তাঁর অপেক্ষা বেড়েই চলছে। আমি মনে করি এবার তাঁর রাজনীতি থেকে অবসরে যাওয়া উচিত। তারপর অনুকুল পরিস্থিতি না আসা পর্যন্ত তাঁর নিরাপদ স্থানে থাকা উচিত। কারণ দেশে আসলে তাঁর বিচার হয়ে তাঁর ফাঁসির সম্ভাবনা আছে। পাকিস্তানে ভূট্টোর ফাঁসি হয়ে ছিল। তারপর তাঁর কন্যা ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়েছেন। ফিলিফাইনেও উৎখাত হওয়া দলের ক্ষমতায় ফিরে আসার ঘটনা ঘটেছে। যারা আওয়ামী লীগের ফিরে আসা কামনা করে না, ক্ষমতা পাওয়ার পর তাদেরকে দেশ শাসনে অনেক বেশী দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে। নতুবা শেখ হাসিনা না হোক তাঁর দল আবারো ফিরে আসতে পারে।কারণ পরের দল পূর্বের দল থেকে বেশী মন্দ হলে পূর্বের দলের ফিরে আসার নিয়ম রয়েছে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


