
সূরাঃ ৪ নিসা, আয়াত নং ১১৫ এর অনুবাদ-
১১৫। কারো নিকট সৎপথ প্রকাশ হওয়ার পর সে যদি রাসুলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মু’মিনদের পথ ব্যতিত অন্যপথ অনুসরন করে, তবে সে যে দিকে ফিরে যায় সে দিকেই তাকে ফিরিয়ে দেব এবং জাহান্নামে তাকে দগ্ধ করব, আর উহা কত মন্দ আবাস।
সহিহ আবু দাউদ, ৩৬০২ নং হাদিসের (জ্ঞান-বিজ্ঞান অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৬০২। কাছীর ইবনে কায়েস (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমি দামেশকের মসজিদে আবু দারদার (রা.) কাছে বসে ছিলাম। এ সময় এক ব্যক্তি এসে বলে, হে আবু দারদা (রা.) আমি রাসূলুল্লাহর (সা.) শহর মদীনা থেকে আপনার কাছে একটা হাদিস শোনার জন্য এসেছি। আমি জানতে পেরেছি আপনি উক্ত হাদিসটি রাসূলুল্লাহ (সা.) হতে বর্ণনা করেন। এছাড়া আর কোন কারণে আমি এখানে আসিনি। তখন আবু দারদা (রা.) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি ইলম অর্জনের জন্য কোন পথ অতিক্রম করে, আল্লাহ তাকে জান্নাতের পথসমূহের একটি পথ অতিক্রম করান। আর ফেরেশতারা ত্বলেবে এলেম বা জ্ঞান অন্বেষণকারীর জন্য তাদের ডানা বিছিয়ে দেন এবং আলেমের জন্য আসমান ও জমিনের সব কিছুই ক্ষমা প্রার্থনা করে, এমনকি পানিতে বসবাসকারী মাছও তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আর আবেদের উপর আলেমের ফজিলত এরূপ যেমন পূর্ণিমার রাতে চাঁদের ফজিলত সকল তারকা রাজির উপর। আর আলেমগণ হলেন নবিদের ওয়ারিছ এবং নবিগণ দীনার ও দিরহাম মীরাছ হিসেবে রেখে যান না; বরং তাঁরা রেখে যান ইলম।কাজেই যে ব্যক্তি ইলম অর্জন করল সে প্রচুর সম্পদের মালিক হলো।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।
* রাসূলের (সা.) ওয়ারিছ ওলামার সর্ববৃহৎ দলের আমলে থাকলেই ইসলাম হবে রাসূলের (সা.) সেটা নিশ্চিত করেছেন। সুতরাং আহমাদুল্লাহ গং এটা হাদিসে নাই সেটা হাদিসে নাই বলে যা বলছে সেটা জঘণ্যতম মিথ্যা কথা। কারণ রাসূলের (সা.) সব হাদিস লিখিত হয় নাই। তো রাসূলের (সা.) যে হাদিস লিখিত হয় নাই সে হাদিসে কি ছিল কি ছিল না সেটা কিভাবে বলা যায়? আর লিখিত হাদিসে না থাকলে রাসূলের (সা.) ওয়ারিছ ওলামার অনুসরন করা যাবে না রাসূল (সা.) কি সেটা বলেছেন? তাহলে ওলামার সর্ববৃহৎ দলের আমলের বিরুদ্ধে আহমাদুল্লাহ গং মানুষকে উপদেশ দেয় কিভাবে?
সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ২৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮। এভাবে রং বেরং- এর মানুষ, জন্তু ও আন’আম রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে (ওলামা) আলেমরাই তাঁকে ভয় করে।নিশ্চয়্ই আল্লাহ পরাক্রমশালী ক্ষমাশীল।
সূরাঃ ২৯ আনকাবুত, ৪৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৩।এসব দৃষ্টান্ত আমি মানুষের জন্য পেশ করে থাকি, যেগুলো কেবল আলেমরাই বুঝে থাকে।
সূরাঃ ১০১ কারিয়া, ৬ নং ও ৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬। তখন যার পাল্লা ভারী হবে
৭। সেতো লাভ করবে সন্তোষ জনক জীবন।
* ওলামার পাল্লাভারী জামায়াত বা ওলামার সর্ববৃহৎ দলের সঠিকতা আল্লাহ নিশ্চিত করেছেন। আহমাদুল্লাহ গং এর বিরুদ্ধে কিভাবে কথা বলে?
সূরাঃ ২ বাকারা, ৩৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩৪। আর যখন আমি ফেরেশতাগণকে বলেছিলাম, তোমরা আদমকে সিজদা কর, তখন ইবলিশ ছাড়া সবাই সিজদা করেছিল; সে অমান্য করল ও অহংকার করল।সুতরাং সে কাফেরদের অন্তর্ভূক্ত হয়েগেল।
* ফেরেশতাদের দল তথা ওলামার প্রথম সর্ববৃহৎ দলের বিপক্ষে গিয়ে ইবলিশ অহংকারী ও কাফের হয়ে গেল। তাহলে আহমাদুল্লাহগং ওলামার সর্ববৃহৎ দলের বিপক্ষে গিয়ে মুসলিম রইলো কি? আহমাদুল্লাহ কি সব হাদিস জানে? তাহলে এ মিথ্যাবাদী কিভাবে বলে এটা হাদিসে নাই সেটা হাদিসে নাই? কেউ এটু খেয়াল করলেই বুঝতে পারে এরা কতটা মিথ্রাবাদী? সুতরাং এসব মিথ্যাবাদী নয়; মুসলিমকে রাসূলের (সা.) ওয়ারিশ ওলামার সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।
সূরাঃ ৫৪, কামার ১৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৭। কোরআন আমি সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহণের জন্য; অতএব উপদেশ গ্রহণকারী কেউ আছে কি?
সহিহ বোখারী ৬৯ নং হাদিসের (ইলম অধ্যায়) অনুবাদ-
৬৯। হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত। হযরত নবি করিম (সা.) বলেছেন, তোমরা সহজ পথ অবলম্বন কর, কঠিন করে তুলও না এবং সুখবর দাও। বিরক্তি-অস্বস্তি সৃষ্টি করও না।
* ইসলাম সহজ। দশ লক্ষ হাদিসে কোন কিছু তালাস করা সহজ নয়। ওলামার সর্ববৃহৎ দলের আমলে আছে কিনা সেইটা তালাস করা সহজ। আহমাদুল্লাহ গংদের কথা বিরক্তি-অস্বস্তি সৃষ্টি করছে বিধায় ওদের কথা অবশ্য পরিত্যাজ্য। ওরা নিজেদেরকে এলেমের জাহাজ মনে করলেও ওরা আসলে নিখাদ জাহেল।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মার্চ, ২০২৫ ভোর ৫:৩২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


