
বড় মেয়ে ঢাকা থেকে ঝালকাঠি বাপের বাড়ী আসতে সাথে করে তার পোষা বিড়াল মিলকিকে নিয়ে আসে। মিলকির গায়ে একটা লাভ চিহ্ন আছে।এটা সবার বালোবাসা পেতে চেষ্টা করে। আমি নামাজ পড়তে গেলে এটা আমার জায়নামাজে বসে থাকে। কোরআন তেলাওয়াত করতে গেলে আমার কোলে শুয়ে কোরআন তেলাওয়াত শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়ে। সেকালে আমার কোরআন তেলাওয়াত কালে আমাদের ঘরের জানালায় লোকজন জমে যেত। আর এখন বিড়াল কোলে বসে আমার কোরআন শুনে। কোরআনের মত আর কোন পুস্তক এত বেশী পাঠ করা হয় না। আমার পিতা রমজানে ছয় খতম কোরআন পাঠ করতেন। অনেকে হাফেজ দিয়ে নিজের ঘরে কোরআন পাঠ করিয়ে থাকেন। কোরআন পাঠ শুনেই হযরত ওমর (রা.) মুসলিম হয়ে ছিলেন। অস্কার জয়ী এ আর রাহমান কোরআনের ‘কুন ফাইয়া কুন’ আয়াতাংশে মুগ্ধ হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেছেন।
মনযোগ বিহীন কোরআন পাঠের কারণে কিছু লোক কোরআনের মর্ম বুঝতে না পেরে এর বদনাম করে।কোরআন দ্বারা এরা উপকৃত হয় না। এদের অনেকে বলে তারা কোরআন দ্বারা উপকৃত হতে চায় না। যারা কোরআন মানে এটা তাদের বিষয় না। কোরআন বিরোধীরা কোরআনের ভক্তদেরকে কোরআন ভক্তির পথ থেকে ফিরাতে চায়, কিন্তু তারা তাতে সফল হয় না। কারণ কোরআনের মর্ম যারা বুঝে তাদেরকে আর কোরআনের পথ থেকে ফিরানো যায় না। আরবের লোকেরা কোরআনের ভক্তদের উপর অনেক নির্যাতন করে সফল হতে পারেনি। উল্টা কোরআন ভক্তরা তাদেরকে পরাজিত করে একটা সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত করেছে যা সোয়া তেরশ বছর ঠিকে ছিল। এখনো তাদের সাতান্নটি রাষ্ট আছে। একমাত্র খ্রিস্টান ছাড়া আর সব গুষ্ঠির মানুষকে জনসংখ্যার দিক থেকে কোরআন ভক্তরা পিছনে ফেলে দিয়েছে। অনেকে বলছে আর কিছু কালের মধ্যে তারা খ্রিস্টানদেরকেও পিছনে ফেলে দিবে।
আমি অনেক কাল থেকে কোরআনের জ্ঞান হাসিল করে চলছি। তথাপি আমার মনে হচ্ছে এখনো আমার কোরআনের অতি সামান্য জ্ঞান হাসিল হয়েছে। যারা এর বদনাম করে তাদের কথা শুনলে আমার হাসি পায়। কারণ কোরআনের মাহাত্ম না বুঝে এর বদনাম করে। মিলকি কিন্তু কোরআন তেলাওয়াত ছাড়া অন্য সময় আমার কোলে আসে না। এমনকি জোর করেও তখন তাকে কোলে রাখা যায় না। শুনেছি পশু-পাখিরাও নাকি কোরআনের মাহাত্ম বুঝে। যদিও কিছু মানুষ অযথাই কোরআনের বদনাম করে।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১২:০৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



