
আওয়ামী লীগের দাবী তাদের উন্নয়নে দেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো আমার দুই মেয়ে এবং আমার ভাইয়ের এক মেয়ের বাচ্চা নষ্ট হয়েছে তাদের বানানো রাস্তায় চলতে গিয়ে। তাদের সময়ে দ্রব্য মূল্য ছিল অসহনীয় মাত্রায়। আর চাকুরী তাদের লোক ছাড়া কেউ পেত কিনা সেটা আমার জানা নাই। আর ভোটের সময় ভোটটাও তারাই দিত। জনগণ ভোট দিয়ে থাকলে সেটা ছিল আওয়ামী জনগণ। তাদের লোকও সবাই ভোট দেয় নাই, বরং কেউ কেউ দিয়েছে। অবশেষে ছাত্র জনতার ধাওয়া খেয়ে তারা তাদের উন্নয়ন রেখে পালিয়ে গেল। নিন্দুকেরা বলছে আওয়ামী উন্নয়নে তাদের কিছু লোকের পকেটের উন্নয়ন বেশী হয়েছে। নিজেদের পকেটের উন্নয়ন করতে গিয়ে যে সব উন্নয়ন করতে হয় তারা সেটা করেছে।
এখন বিএনপি উন্নয়ন করার জন্য মুখিয়ে আছে। তাদের আর তর সইছে না। ডক্টর ইউনুস চাচ্ছেন তিনি দেশকে উন্নয়নের উচ্চ শিখরে রেখে যাবেন। সেজন্য তিনি কিছু সময় চান। বিএনপি তাঁকে সে সময় দিতে রাজি নয়। আওয়ামী লীগ চাচ্ছে তাদের থেকে কেড়ে নেওয়া ক্ষমতা তাদেরকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। তাদের থেকে কেড়ে নেওয়া ক্ষমতায় বসানোর জন্য যে নির্বাচন তাতে তারা অংশ নিতে রাজি নয়। নতুন যারা ক্ষমতায় আসবে তাদের ব্যর্থতাকে পুঁজি করে আওয়ামী লীগ আবার ঘুরে দাঁড়াতে চায়। এখন যারা ক্ষমতা পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে সেই বিএনপিও একদা বিদ্যুৎ বিষয়ে জনতার ধাওয়া খেয়ে ছিল। জামায়াত এবার ক্ষমতা পাওয়ার বিষয়ে বেশ আশাবাদী। কিন্তু জনগণ তাদের একাত্তরের অপরাধ ক্ষমা করতে রাজি নয়। জাতীয় পার্টিকে কেউ কেউ যাত্রা পর্টি বলে থাকে। ছাত্রদের এনসিপিকে অনেকে অপরিপক্ক দল মনে করে। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে জনগণ বিএনপিকে আরেকটা সুযোগ দিতে চায়। বহু কালের রেষ্টের পর তাদের কিছুটা যোগ্যতা বৃদ্ধি হয়েছে কিনা সেটাও অবশ্য দেখা দরকার।
তারেক রহমানকে মিস্টার টেন পারসেন্ট বলা হতো। আওয়ামী লীগ মনে হয় তারচেয়ে বেশী খেয়েছে। সেজন্যই বিএনপিকে কিছুটা সমিহ করা মনে হয়। অন্যদের দোষ-গুন হিসাব করতে গেলে লম্বা সময় দরকার। ছাত্ররা আওয়ামী লীগ তাড়াতে পেরেছে এন্টি আওয়ামী লীগের সম্মিলিত শক্তিতে। সেজন্য নির্বাচনে তাদের খুববেশী সাফল্য আশা করা যায় না। রাজনৈতিক দল করে এখনি তাদের ধাওয়া খাওয়া শুরু হয়েছে। আমাদের দেশের রাজনীতিতে নীতি অনুপস্থিত থাকে এটা একটা বড় রকমের সমস্যা। আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়াতে পারলে যারা তাদেরকে ধাওয়া দিয়ে পালাতে বাধ্য করেছে তাদের অনেকের ঘর-বাড়ী থাকবে বলে মনে হয় না। জনগণ যেটাকে উন্নয়ন বলে সেটা এদেশে খুব সহজে হবে বলে আশা করা যায় না। এখানে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এটাই বেশী করে দেখা যায়।
আমার কথা একটাই- গণতন্ত্র ফিরিয়ে দাও। একাত্তরেই এর জন্য ত্রিশ লক্ষ নাগরিক প্রাণ দিয়েছে। এদেশে গণতন্ত্র কালেভদ্রে আসে। আপাতত এদেশে এটার উন্নয়ন হোক। পকেটের উন্নয়ন ঘটাতে যে উন্নয়ন হয় তা’ জনগণের বদ হজম হয়। সে ক্ষেত্রে কথা হলো যা করেছেন, যথেষ্ট হয়েছে। আর লাগবে না। কারো নিকট থেকেই এমন উন্নয়ন আর চাই না।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:২৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




