
সবাই মিলে দেশ স্বাধীন করলেও আওয়ামী লীগ সেটা স্বীকার করলো না। সেজন্য তারা বাকশাল নামে একদলীয় শাসন শুরু করে ছিল। কিন্তু সেনা বিদ্রোহে তাদের বাকশালী শাসনের অবসান ঘটে। এরশাদ, হাসিনা ও খালেদার সরকার দলীয় সরকার ছিল। এসব সরকারের কোনটি জনগণের সরকার হয়ে উঠতে পারেনি।সেজন্য যখনই কোন নির্দলীয় সরকার পেয়েছে জনগণ সেই সরকারকে ভালোবাসতে চেষ্টা করেছে। দলগুলোকে আবার দল বলা যাচ্ছে না পরিবার তন্ত্রের কারণে। পরিবার তান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় শেখ পরিবার ষোল বছর দেশ শাসন করার পর ছাত্র বিদ্রোহে তারা শাসন ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়। এখন জিয়া পরিবার আবার শাসন ক্ষমতা দখলে মরিয়া। ২০০৬ সালে এরা আওয়ামী লীগের লগি-বৈঠার কাছে হারমেনে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল।এন্টি আওয়ামী লীগের সবাই মিলে আওয়ামী লীগ তাড়ালেও এর উপকারটা বিএনপি একাই ভোগ করতে চায়। এবার বিএনপি কি জনগণের দল হয়ে উঠতে পারবে? নাকি আমারা ইতিহাসের পুণঃরাবৃত্তি দেখতে পাব?
জনতার একজন বললেন, বিএনপি পূর্বচরিত্রে ফিরেগেলে জনগণ এবার তাদেরকেও তাড়া করবে। বাংলাদেশের ত্যাক্ত-বিরক্ত জনগণ এখন বেশ উত্তেজিত। তারা এবার পুলিশকে যেভাবে ঠ্যাঁঙ্গানী দিয়েছে সেটা ছিল অভাবনীয়। সেনাবাহিনী ভাবলো জনতার ঠ্যাঁঙ্গানী খেলে তাদের ইজ্জত যাবে। সেজন্য তারা সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ইজ্জত ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে পুলিশের এখনো সক্ষমতা তৈরী হয়নি বলেই মনে হয়। চট জলদি নির্বাচন করলে কেন্দ্র দখলের ঘটনায় নির্বাচন প্রশ্নবিঁদ্ধ হলে সেটা জাতির জন্য মঙ্গলজনক হবে না। সুতরাং ইউনুস সরকারকে আগামী জুন পর্যন্ত সময় দেওয়াকে দরকারী মনে করি।সেদিন অফিসে অতিরিক্ত সচিব মহোদয় এসে আমাদেরকে সরকারের পাশে থাকতে বলেছেন। জনগণও সরকারের পাশে থাকলে সরকার তাদের পরিকল্পণা অনুযায়ী কাজ করতে সক্ষম হবে। পুলিশ আস্তে আস্তে তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হচ্ছে। তাদের তৎপরতায় সঠিক নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠিত হলে জনগণের মাঝে স্বস্তি তৈরী হবে।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ছাড়া জনগণের অন্য অংশ সরকারের উপর সন্তোষ প্রকাশ করছে। কারণ তারা এখন দলীয় সরকারের দলকানা স্বভাব থেকে নিরাপদ আছে। এ সরকার স্থানিয় সরকার নির্বাচন করতে পারলে দলকানা সরকারের বাইরের কিছু লোক স্থানীয় সরকারে স্থান পাবে বলে মনে হয়। কিন্তু দলকানা সরকার স্থানিয়সরকার নির্বাচন করলে তাদের দলিয় লোকেরা স্থানিয় সরকারের সব পদ দখলের আশংকা রয়েছে। এদেরকে নিয়ে সমস্যা হলো এরা দলীয় লোকের বাইরে সাধারণ জনতাকে সরকারী সেবা সঠিকভাবে প্রদান করে না। নির্দলীয় সরকারের সময় সাধারণ জনতা সরকারী সেবা তুলনামূলক বেশী পায় বলেই নির্দলীয় সরকারের বিষয়ে তাদের আগ্রহ বেশী। বিএনপি এবার ক্ষমতার জন্য বেশী জোরাজুরি করলে তারা শনিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০২৫ রাত ১২:২৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



