
আমিষের চাহিদা মিটাতে দৈনিক অসংখ্য অবলা প্রাণীকে হত্যা করা হয়। সুতরাং কোরবানীতে অবলা প্রাণীর জন্য দরদ উথলে উঠার দরকার নাই।কোরবানীতে তাদের হত্যা করা না হলে অন্য সময় কি তাদেরকে হত্যা করা হবে না? কোরবানী মানে ত্যাগ।কোরবানী যারা দেয় তারা এর কিছু অংশ অব্যশ্যই আত্মীয় ও গরীবদের জন্য ত্যাগ করে। যারা কোরবানী দিচ্ছে না তাদের উদ্দেশ্যে আমরা কিছু অংশ ত্যাগ করার পরিকল্পনা এর মধ্যে করে রেখেছি। একটা অবলা জীবকে হত্যা করে এভাবেই কোরবানী (ত্যাগ) করা হয়। অন্য সময় বাজার থেকে পশুর যে মাংস ক্রয় করা হয় তার থেকে সাধারণত কোন অংশ ত্যাগ করা হয় না। এ জন্য সেটা কোরবানী নয়। কতিপয় লোক এমন সহজ বিষয় কেন বুঝে না সেটা বোধহম্য নয়।
কোরবানীর যারা বিরোধীতা করে তারা অন্য সময় অবলা জীব কে হত্যা করা বন্ধ করুক। বন্ধ করুক বড় মাছের ছোট মাছকে জ্যান্ত গিলে ফেলা।এটা প্রকৃতির নিয়ম যে এক প্রাণী অন্য প্রাণীকে খেয়ে বেঁচে থাকুক। আর মাছ কি জীব নয়? সেগুলো কি আমরা মেরে খাই না? তো সেই একই কাজ কোরবানীতে করলে দোষটা কোথায়? মাছদের কি দোষ? আমরা ওদেরকে মেরে খাই কেন? সুতরাং কোরবানী উপলক্ষ্যে যারা বেকুবী কথা বলে তাদের কথা শুনার দরকার নাই।
বিকেলেই গরীবরা আসবে কোরবানীর গোস্ত নিতে। তাদেরকে গোস্ত দিয়ে খুশী করতে পারলে আমাদেরও খুশী লাগবে। নিজের টাকায় পশু কিনে অন্যকে এর গোস্ত দিয়ে দেওয়া, এটাই কোরবানী। নিজে খেলেও নিজের রুহকে দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যদেরকে খেতে দিলে সেটাও দান। অন্তত একদিন ত্যাগের প্রাকটিস করা হয়, এরপর এভাবে সারা বছর ত্যাগের প্রাকটিস চলে। তবে কিছু লোক প্রা্ণীদেরকে না খেলে অন্যদের ভাগে বেশী পড়ে, এটাও মন্দ না।
মানুষ অনেক অর্থহীন কথা বলে থাকে। কোরবানীর বিরোধীতা সেরকম অর্থহীন কথা। কারণ কোরবানীতে পশু পালক আর্থিকভাবে লাভবান হয়। আপনি যখন ঔষধ খান তখন আপনি রোগ জীবানুদেরকে হত্যা করেন। সুতরাং নিরামিষ ভোজীরাও হত্যাকারীর তালিকা থেকে বাদ পড়ে না। নিজের উপকারে এভাবে মানুষ প্রতিনিয়ত হত্যা করে। মশাদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ওরাতো ওদের খাবার খেতে যায়। তাহলে কোন অপরাধে তাদেরকে হত্যা করা হয়?
হত্যা যখন শুধু নিজে খাওয়ার জন্য না হয়ে অপরকে দেওয়ার জন্যও হয়ে থাকে তখন সেটা কোরবানী বা ত্যাগ। অন্যকে দিয়ে খাওয়ার এ রীতিতে আল্লাহ সন্তুষ্ট হন। অবোধ লোকেরা এসব বুঝে না। তাদের কথায় অন্যরা নিরবে হাসে। কারণ তাদের বোকামী দেখে তারা লজ্জা পায়।
আজ কোরবানের ঈদ। সবাইকে অগ্রিম ঈদের শুভেচ্ছা। কোরবানীর যারা বিরোধীতা করে তারা মূলত অবোধ লোক। তাদের কথায় উত্তেজিত হওয়ার কিছু নাই। কারণ রোগ থেকে বাঁচতে তারাও অবলা জীব রোগ জীবানু হত্যা করে। এ লোক গুলো নিজে হত্যাকারী হয়ে অন্যের হত্যার দোষ ধরে। এসব লোকের কথা শুনা হলো সময়ের অপচয়।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুন, ২০২৫ রাত ১:৪৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



