সূরাঃ ৬ আনআম, ১১৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
১১৬। আপনি যদি পৃথিবীর অধিকাংশ লোকের কথামত চলেন, তাহলে তারা আপনাকে আল্লাহর রাস্তা থেকে পথভ্রষ্ট করবে। তারা নিচক ধারণা ও অনুমানের ভিত্তিতেই চলে, তারা মিথ্যা ছাড়া কিছুই বলছে না।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি তোমাদের অন্তরে প্রীতি সঞ্চার করেছেন, ফলে তাঁর দয়ায় তোমরা পরস্পর ভাই হয়ে গেলে।তোমরাতো অগ্নি কুন্ডের প্রান্তে ছিলে, আল্লাহ উহা হতে তোমাদেরকে রক্ষা করেছেন। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর নিদর্শনসমূহ স্পষ্টভাবে বিবৃতকরেন যাতে তোমরা সৎপথ পেতে পার।
সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬৫ ও ৬৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬৫। হে নবি! মু’মিন দিগকে যুদ্ধের জন্য উদ্বুদ্ধ কর। তোমাদের মধ্যে কুড়িজন ধৈর্যশীল থাকলে তারা দুইশতজনের উপর বিজয়ী হবে।তোমাদের মধ্যে একশত জন থাকলে এক হাজার কাফিরের উপর জয়ী হবে।কারণ তারা বোধশক্তিহীন সম্প্রদায়।
৬৬। আল্লাহ এখন তোমাদের ভার লাঘব করলেন।তিনিতো অবগত আছেন যে তোমাদের মধ্যে দূর্বলতা আছে।সুতরাং তোমাদের মধ্যে একশত জন ধৈর্যশীল থাকলে তারা দুইশতজন উপর বিজয়ী হবে।তোমাদের মধ্যে এক হাজার থাকলে আল্লাহর অনুমতিক্রমে তারা দুই হাজারের উপর বিজয়ী হবে।আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে রয়েছেন।
সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬০। তোমরা তাদের মোকাবেলার জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্ব-বাহিনী প্রস্তত রাখবে। এর দ্বারা তোমরা সন্ত্রস্ত রাখবে আল্লাহর শত্রুকে, তোমাদের শত্রুকে, এছাড়া অন্যদেরকে যাদের সম্পর্কে তোমরা জাননা, আল্লাহ জানেন।আল্লাহর পথে তোমরা যা ব্যয় করবে এর পূর্ণ প্রতিদান তোমাদেরকে দেওয়া হবে এবং তোমাদের প্রতি জুলুম করা হবে না।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।
* পৃথিবীর অধিকাংশ এবং দেশের অধিকাংশ এক কথা নয়। সুতরাং দেশে গণতন্ত্র হারাম এমন কথা সঠিক নয়।দেশের অধিকাংশ উম্মত হলে দেশে গণতন্ত্রে কোন সমস্যা নাই।কারণ উম্মত ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশীয় গণতন্ত্রে উম্মত থেকেই শাসক আসবে। দেশে অমুসলিম ও মোনাফেক সংখ্যাগরিষ্ঠ হলে দেশীয় গণতন্ত্রে উম্মতের জন্য মূলত কোন লাভ নাই। এমতাবস্থায় যারা নিজেদেরকে উম্মত দাবী করে তারা শাসন ক্ষমতা পেতে যুদ্ধ করবে যদি তাদের সংখ্যা দেশের নাগরিকদের এক তৃতীয়াংশ হয়। একাধীক দল যদি একে অপরকে উম্মত মানে তবে তাদের জোটের জনসংখ্যা দেশের একতৃতীয়াংশ হলেও যুদ্ধ করা যাবে। মুমিন দল বা জোট দেশের নাগরিকদের একতৃতীয়াংশ না হলে তারা যুদ্ধ না করে প্রয়োজনে হিজরত করবে। সামরিক শক্তিতে পিছিয়ে থাকলে দেশের নাগরিকদের একতৃতীয়াংশ মুমিন দল বা জোট হলেও যুদ্ধ করা যাবে না। অমুসলিমরা সংখ্যায় কম হয়েও তারা সামরিক শক্তিতে এগিয়ে থাকলে তাদের সাথে যুদ্ধ এড়িয়ে যেতে হবে।গণতন্ত্রে অংশ গ্রহণ না করার চেয়ে তাতে অংশগ্রহণে লাভ বেশী থাকলে তাতে অংশ গ্রহণ করতে হবে। গণতন্ত্রে অংশ গ্রহণ করার চেয়ে গণতন্ত্রে অংশগ্রহণ না করায় লাভ বেশী হলে গণতন্ত্রে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
সূরাঃ ৫৪, কামার ১৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৭। কোরআন আমি সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহণের জন্য; অতএব উপদেশ গ্রহণকারী কেউ আছে কি?
সহিহ বোখারী ৬৯ নং হাদিসের (ইলম অধ্যায়) অনুবাদ-
৬৯। হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত। হযরত নবি করিম (সা.) বলেছেন, তোমরা সহজ পথ অবলম্বন কর, কঠিন করে তুলও না এবং সুখবর দাও। বিরক্তি-অস্বস্তি সৃষ্টি করও না।
* আল্লাহ এবং নবি (সা) সহজ পন্থার কথা বলেছেন। ক্ষমতার জন্য গণতন্ত্র সহজ হলে যুদ্ধ-বিগ্রহের জটিল পন্থায় যাওয়ার দরকার নাই। বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ করে ক্ষমতায় যেতে গিয়ে তারা দেশটাকেই শেষ করে দিয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৫ সকাল ১০:৫৬