
সংক্ষেপে জান্নাত লাভের জন্য জামায়াতের কর্মীরা নিষ্ঠার সাথে কাজ করে। জামায়াতের মিছিল সমাবেশ হলেই তারা তাতে হাজির হয়। তারা জামায়াতকে ভোটও দেয়। তবে তাদের সাথে মিলে জনগণ জামায়াতকে ভোট দেয় না।জামায়াত কর্মীরা জামায়াতকে মাসিক চাঁদাও দেয়।সেজন্য জামায়াতের টাকার অভাব নাই। পি আর ভোট হলে জামায়াত ষাট সীট এবং বিএনপি একশত আশি সীট পেতে পারে।অন্য সবাই ষাট সীট পেতে পারে।এ হিসাব আওয়ামী লীগ যদি নির্বাচনে না থাকে তাহলে। বিএনপি বলবে ষাট সীট এনসিপি পাবে এবং জামায়াত সহ অন্য সবাই ষাট সীট পাবে।আর জামায়াত যা ভাবে তা’ আসলে অসার ভাবনা।
জামায়াত বিরোধী দল হতে পারলে সেটাই তাদের জন্য বেশী। কিন্তু বিএনপি বিরোধী দল হিসাবে এনসিপিকে চায়। তবে ভীতু বিএনপি এনসিপিকে জোটে চায় এবং তারা জামায়াতকে বিরোধীদল হিসাবে চায়। এনসিপি ও জামায়াত ক্ষমতার স্বপ্ন দেখলেও ভোটের জনস্রোত তাদের দিকে ফিরেনি। আর আওয়ামী লীগকে হিসাবের বাইরে ফেলে দেওয়া মনে হয় ঠিক না। আর গোপালগঞ্জ যা দেখালো তাতে এ জেলার নাম মুজিবগঞ্জ রাখা যেতে পারে। গোপালগঞ্জ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতার স্বপ্ন দেখাচ্ছে।
মানবাধিকার বলতে আমেরিকা-ইসরাইলের মানবদের অধিকার বুঝায়। আমাদের দেশে সেইটার একটা অফিস খোলা হয়েছে। আমেরিকা-ইসরাইল ছাড়া অন্যদের অধিকার হলো আমেরিকা-ইসরাইল তাদেরকে বোমা মেরে হত্যা করবে। আমেরিকা ইসরাইলের হলো বাঁচার অধিকার এবং অন্যদের অধিকার হলো মরার অধিকার। আর এটাই এখন মানব অধিকার।
ভারত মনে করে তারা দয়া করে বাংলাদেশ দখল করছে না। তবে দিল্লি বাংলা দখল করে কখনই হজম করতে পারেনি।এখনই তেমনটা হতেপারে মনে করে ভারত বাংলাদেশ নিয়ে অনেক ভাবছে। আমেরিকা এ বিষয়ে তাদের চেয়ে বেশী ভাবছে বলে ভারতের ভাবনা মাঝে মাঝে গুলিয়ে যায়।
আমরা স্বাধীন হলাম আমেরিকার অধীনে স্বাধীন। পূর্বে আমরা ভারতের অধীনে স্বাধীন ছিলাম। এদের ছত্র ছায়ায় কতগুলো চোর বাংলাদেশের ক্ষমতায় এসে ক’দিন লুটে-পুটে খেয়ে যায়। ঢাকায় গেছিলাম জরুরী কাজে। রাস্তার যা অবস্থা তাতে হাঁড়গোড়ের যথেষ্ট ব্যয়াম হয়েছে। তেজগাঁও রেজেষ্ট্রি অফিসে ভিক্ষুকের সমারোহ দেখলাম। সরকার এদেরকে ধরে ধরে পূণর্বাসন কেন্দ্রে রাখতে পারে। ইবনে বতুতা এদেশকে জাহান্নাম বলেছেন। আমাদের যাত্রা এর তলার দিকে। এদেশে উন্নয়ন মানে সরকারে থাকা লোকদের পকেটের উন্নয়ন।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:১৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




