
সূরাঃ ৪২ শূরা, ১৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৩। তিনি তোমাদের জন্য বিধিবদ্ধ করেছেন দ্বীন। যার নির্দেশ তিনি দিয়েছিলেন নূহকে। আর যা আমি ওহী করেছি তোমাকে। আর যার নির্দেশ দিয়ে ছিলাম, ইব্রাহীম, মূসা ও ঈসাকে, এই বলে যে, তোমরা দ্বীনকে কায়েম কর। আর তাতে মতভেদ করবে না।তুমি মুশরিকদেরকে যার প্রতি আহবান করছ তা’ তাদের নিকট দূর্বহ মনে হয়। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা দ্বীনের প্রতি আকৃষ্ট করেন। আর যে তাঁর অভিমুখী তাকে তিনি দ্বীনের দিকে পরিচালিত করেন।
সূরাঃ ৪১ হা-মীম আস-সাজদা,
সূরাঃ ৪২ শূরা, ৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৭। এভাবে আমি তোমার প্রতি কোরআন নাযিল করেছি আরবী ভাষায়, যাতে তুমি সতর্ক করতে পার মক্কা ও এর চতুর্দিকের জনগণকে এবং সতর্ক করতে পার কিয়ামত দিবস সম্পর্কে, যাতে কোন সন্দেহ নেই। সেদিন একদল জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং একদল জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
৪৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৪। আমরা যদি আজমী (অনারবী) ভাষায় কোরআন নাযিল করতাম, তবে তারা অবশ্যই বলতো, এর আয়াতগুলি বিষদভাবে বিবৃত হয়নি কেন? কি আশ্চর্য এর ভাষা আজমী অথচ রাসুল আরবীয়, বল মুমিনদের জন্য ইহা ব্যাধির প্রতিকার। কিন্তু যারা অবিশ্বাসী তাদের কর্ণে রয়েছে বধিরতা এবং কোরআন হবে এদের জন্য অন্ধত্ব। এরা এমন যে এদেরকে যেন আহবান করা হয় বহুদূর হতে।
সূরাঃ ১২ ইউসুফ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ-
২। আমরা উহা নাযিল করেছি আরবী ভাষায় কোরআন, যেন তোমরা বুঝতে পার।
* সেজন্য রাসূল (সা.) আরবদের একটি এলাকায় দ্বীন কায়েম করেছেন। তারপর তাঁর অনুসারীরা আরবে দ্বীন কায়েম সম্পন্ন করে অনারব অঞ্চলে দ্বীন সম্প্রসারিত করেছেন। ইমাম মাহদী (আ.) প্রথমে আরবে দ্বীন কায়েম করে তারপর সারা বিশ্বে দ্বীন সম্প্রসারিত করবেন। বাংলাদেশীরা দ্বীন কায়েম করতে চাইলে আগে আরবে দ্বীন কায়েম করুক। সেখান থেকে তারা ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের দিকে দ্বীন সম্প্রসারিত করুক।আরবরা ইহুদীর হাতে মাসাকার হচ্ছে তাদেরকে উদ্ধার না করে বাংলাদেশীরা বাংলাদেশে দ্বীন কায়েমে অস্থির হয়ে পড়েছে বিষয়টা তবে কি হলো? আরবদের বুঝার জন্য আল্লাহ আরবীতে কোরআন নাযিল করেছেন এর মানে কি? এরমানে হলো আপনি আগে আরবে দ্বীন কায়েম করে তারপর অনারবে এর সম্প্রসারণ করবেন। অনারবে দ্বীন কায়েম করে আরবে সম্প্রসারণ করা হবে বিষয়টা আসলে তেমন নয়। অনারবে দ্বীন কায়েম করে আরবে সম্প্রসারিত করা দ্বীন কায়েমের উল্টা পদ্ধতি। এটাকে দ্বীন কায়েম না বলে ফিতনা বলা যায়।ফিতনায় লিপ্ত হয়ে এরা রাজাকার, জঙ্গী ইত্যাদি আখ্যা পাচ্ছে। আরবে দ্বীন কায়েম করে বাংলাদেশে দ্বীন সম্প্রসারণ করা হলে দ্বীন কায়েমকারীদেরকে কেউ অসম্মান করার সাহস পাবে না।আর তখন যেহেতু বাংলাদেশের আগেই ভারতে দ্বীন কায়েম হবে সেহেতু ভারত দ্বীন কায়েমকারীদের জন্য কোন হুমকি হবে না।বাংলাদেশে দ্বীন কায়েম বাংলাদেশীদের দায়িত্ব নয়, এটা ইসলামী খেলাফতের দায়িত্ব। এটা আরবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে সেই খেলাফতের নেতৃত্বে বাংলাদেশে দ্বীন কায়েম করতে হবে। আর তাতে বাংলাদেশী কারো মাতুব্বরী নাও থাকতে পারে।কাজ নাই তো খইভাজ এটা হলো বাংলাদেশীদের অবস্থা।এরা কাজের চেয়ে অকাজটাই বেশী করে।এরা একটা বিপ্লব করে বসে আছে, আর এদের বিপ্লবের ফসল অন্য কারো গোলায় উঠার সম্ভাবনাই বেশী দেখছি।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে আগস্ট, ২০২৫ ভোর ৬:১৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



