
বিরোধীদের অন্যৈক্যের সুযোগে আপা শান্তিতে ছিলেন। তারা ঐক্যবদ্ধ হতেই আপা পালিয়ে গেলেন। কিন্তু যেহেতু আপা পলান না সেহেতু আপার সম্মানে এটাকে আপার বেড়াতে যাওয়া বলা যেতে পারে।পিআর প্রশ্নে আপার বিরোধীদের মাঝে অনৈক্য দেখা যাচ্ছে। তাতে আপার পক্ষের লোকদের মনবল চাঙ্গা হচ্ছে। নূরুর বেধড়ক পিটুনিতে তাদের মনবল চাঙ্গার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।নূরু আপার প্রধান বিরোধীদের একজন। তারেক জিয়া হয়ত সেই ভয়টাই পাচ্ছেন। তারা তাঁকে বেকায়দায় পেলে হয়ত আগের চেয়ে বেশী নির্যাতন চালাবে।জিয়ার বিরুদ্ধে বহু লোককে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। তাদের কে কোথায় বসে আছে কে জানে? জিয়া পরিবারের কোন লোককে বেকায়দায় পেলে তাদের রক্ত গরম হয়। তখন তারা কি করতে কি করে বুঝতে পারে না। আপা ফিরতে পারলে তিনি কি করতে কি করেন বলা যায় না। তবে এটার নিশ্চিত যে আপা ফিরতে পারলে আওয়ামী লীগের সব খুনের মামলা তাদের বিরোধীদের ঘাড়ে চাপাবে এবং এ অপরাধে তাদের অনেকের ফাঁসি হবে। এ ফাঁসির তালিকায় জামায়াতের এক ঝাঁক নেতার নাম যোগ হতে পারে।
বহুকাল পরে খাওয়ার সুযোগ পেয়ে বিএনপি সব খেতে চায়। তারা তাদের সাথের আপা বিরোধীদেরকে কিছুই দিতে চায় না। এক এগার এর পরের নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে সাথে না নিলে বিএনপি-জামায়ত জোট জয়ী হবে না মর্মে আমি মুজাহিদকে বলে ছিলাম। তিনি বললেন জাতীয়পার্টিকে ছাড়াই তাঁরা আড়াইশ সীট পাবেন। তারপরের ঘটনা সবার জানা। অবশেষে মুজাহিদ ফাঁসিতে ঝুললেন। এরশাদের কৃপায় সেনাতে বহু লোক জায়গামত বসে আছে। সেজন্য তাদের লেংগুড় দিয়ে কান চুলকাতে গেলে ছোবল খেতে হয়।আপা সেটা বুঝে তাদেরকে ছিঁটিয়ে মিটিয়ে কিছু দিয়ে ফায়দা হাসিল করেছেন। আর তাদের বিনাশ করতে গিয়ে বিনাশের মুখে পড়ে তাদের বিরোধীরা। রাজনীতি জটিল বিষয়। এতে সামান্য ভুল হলে এমন ভাবে খাদে পড়তে হয় যাতে করে খাদ থেকে আর উঠা যায় না।
আপা ঝানু রাজনীতি বিদের কন্যা। যিনি একটি জাতির উত্থানে সবচেয়ে বেশী ভূমিকা রেখেছেন বলে অনেকে স্বীকার করে। সেই আপা বেঁচে আছেন। তাঁর বিরোধীদের কপাল মন্দ হলে আপা ফিরে এসে নৌকার হাল ধরবেন। তারপর কি হবে আমি আর সেটা বলতে চাই না। সুতরাং বিএনপির উচিত দিয়ে থুয়ে খাওয়া। সবটা খেতে চাইলে তা’ তাদের পেটে বদ হজম হতে পারে। আর জামায়াত কিছু না পেলে সব গেলেও তারা অপর পক্ষকে ছাড় দিতে চায় না। বিএনপি পিআরে রাজি হোক। ছোটরাও কিছু সীট পেয়ে যাক। নতুবা পিআরের অনৈক্যের পথ ধরে আপা ফিরতে পারলে বিএনপি নেতারা এবার খুনের মামলায় পড়ে আরোবেশী ফেরেশানিতে পড়বে। তখন ঘটনা পচার হবে বিএনপি-জামায়াত লোক মেরে আওয়ামী লীগের উপর দোষ চাপিয়েছে। তারপর তারা আরো কত গুম-খুন ও ফাঁসির মধ্যে পড়বে বলা যায় না। সুতরাং আপার বিরোধীদের সব বিষয়ে ঐক্য থাকতে হবে। সবার আগে সেই ঐক্য থাকতে হবে পিআর বিষয়ে। নতুবা বিএনপি অনেক বেশী পেতে গিয়ে সবটা হারাতে পারে।তখন ওবায়দুল কাদের তাঁর কাব্যিক কথার মালা জনতাকে শুনাবেন।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:৪২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



