
‘র’ এবং ‘কেজিবি’ বিশ্বের দুটি শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থা তারেক বিরোধী। সিআইএ তাঁর পক্ষে কিনা সেটা বুঝা যাচ্ছে না।সেনাবাহিনীতে তাঁর কিলার কত জন আছে কে জানে? শহীদ জিয়া ক্ষমতায় থেকেও শহীদ হয়েছেন। ক্ষমতায় না থাকা তারেক জিয়ার নিরাপত্তা কতটুকু? ‘র’, ‘কেজিবি’ ও সেনাবাহিনীর গোপন শত্রু থেকে তারেককে নিরাপত্তা দেওয়ার মত কেউ বিএনপিতে আছে কি? আর যারা তাঁকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে তারা যদি বলে দেশে গেলে আর তাঁর রাজনৈতিক আশ্রয় থাকবে না, সে ক্ষেত্রে তিনি কি করবেন সেটা তাঁকে ভেবে চিন্তে করতে হবে।
তারেক জিয়ার কিছু হলে বিএনপি একটা বড় রকমের ধাক্কা খাবে।তিনি দেওয়াল হয়ে বিএনপির পতন ঠেঁকিয়েছেন বহু বছর। তিনি না থাকলে তাঁর বিকল্প হওয়ার মত কে আছে? তাঁর দেশে আসার প্রয়োজনের কথা সবাই ভাবে। তাঁকে তাঁর নিরাপত্তার বিষয়টা নিয়েও ভাবতে হচ্ছে। তিনি না থাকলে তাঁর মত করে দলটা কেউ গুঁছিয়ে রাখতে পারবে কি? এ প্রশ্নের সুরাহা করতে তিনি যাদের মতামত গ্রহণ করেন তাদের মতে অমত করতে তিনি পারেন না।তাঁর পরিবারের আরো পাঁচ জন। তারা যদি বলে এখন নয়, তবে তাঁকে চুপচাপ বসেই থাকতে হয়। অনেকেই আর নারী নেতৃত্ব চায় না। তাঁর পরিবারের আর পাঁচ জনের সবাই নারী। শেখ হাসিনার পাঁচ জনের দু’জন পুরুষ। তাঁর সাথে আরো আছে ‘র’ এবং ‘কেজিবি’। তারেক বিচক্ষণ। তিনি শেষ মূহুর্তের ভাবনা ভাবছেন। তবে রাষ্ট্র নায়ক হওয়ার পর তাঁকে আসতে হবে। তখন হয়ত তিনি ঝুঁকি গ্রহণ করবেন।
জামায়াতের অনেক নেতা গত হওয়ার পরেও তাদের নেতৃত্ব শূন্য অবস্থা তৈরী হয়নি। এমনকি হয়ত কখনই তাদের নেতৃত্ব শূন্য অবস্থা তৈরী হবে না। কিন্তু বিএনপি জামায়াতের মত দল নয়। বিএনপিতে এমন ঢের লোক আছে যাদের নিকট তাদের নিজের স্বার্থটাই সবচেয়ে বড়। এদের অনেকের মাথায় ঠিকঠাক বুদ্ধি আছে কিনা সেটাও ঠিক বোধগম্য নয়।কথায় বলে আমি বুঝি আমার বুঝ, তুমি বুঝ তরমুজ।ডা. জোবায়দা রহমান তারেকের মত দল সামলাতে পারবেন কি?
জে. জিয়া বলেছেন, জনগণ ক্ষমতার উৎস। কিন্তু আর্মি যখন তাঁকে হত্যা করে তখন জনগণ তাঁকে রক্ষা করতে পারেনি। সেজন্য আল্লাহ ভরসা একটা বিষয়। কিন্তু এরজন্যও নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকতে হয়। আসলে মুসলিম বিশ্বাসে ক্ষমতার উৎস হলেন আল্লাহ। বিএনপি এটা মেনে দেখতে পারে উপকার পায় কিনা।শরিয়া আইন বিষয়ে বিএনপি বলতে পারে জনগণ চাইলে তারা এটা করতে পারে। এক তৃতীয়াংশ জনগণ ইসলামী অনুশাসন মানলে দেশ শরীয়া আইনের যোগ্য হবে। কিন্তু ফয়জরের জামায়াতে ৫% নাগরিকের উপস্থিতি দৃশ্যমান নয়।তারা বলতে পারে শরিয়া আইনের পারিস্থিতি আগে তৈরী হোক তারপর তারা এ বিষয়ে ভাববে। আর শরিয়া আইন চাইলে ভোট দেওয়ার জন্য জনগণের সামনে জামায়ত তো আছেই। এ বিষয়ে তারা বিএনপিকে নিয়ে টানা হেচড়া না করলেও পারে।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৫৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


