১।
ফেসবুকে বেশির ভাগ মুসলিম যুবকদের দেখি শুধু অভিযোগ করতে। সরকার আমাদের অধিকার দেয়না, সুপ্রিম কোর্ট ধর্মীয় স্বাধীনতায় বাঁধা দেয়, সমাজ আমাদের সন্মান করেনা, অমুসলিমরা মানুষ মনে করে না ব্লা ব্লা ব্লা…! এসব পেয়ে গেলে কি হবে? খুব বেশি জোর মুসলিমদের আর্থ সামাজীক অবস্থার উন্নতি হবে। এর বেশি কিছু হবে কি? পৃথিবীতে বিশাল বাড়ি গাড়ি করে নিলেই কি মুসলিমদের কেল্লা ফতে ?!
আসল কথা হল, মুসলিমদের একটাই সমস্যা, ইসলাম থেকে দূরে সরে যাওয়া, ইসলামী আদব শিষ্টাচার, হুকুম আহকাম ফলো না করা। আরে ভাই, আল্লাহ তো ইসলামকে মানুষদের জীবন ব্যবস্থা করেছেন মানবজাতির উপকারের জন্যই। আমাদের সমস্যা গুলো দূর করার জন্যই। আমাদের পথভ্রষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করার জন্যই। আর ইসলাম দিয়েই তো আল্লাহ মুসলিমদের সন্মানিত করেছেন। এবার আমরা যদি সেটাকে টাটা বাই বাই করে অন্য জায়গায় সন্মান খুজি তাহলে কষ্ট, বিপদ, বঞ্চনা, অসন্মান তো আমাদের কপালে জুটবেই!
মোট কথা হল, মুসলিমরা ইসলামের কাছে এলেই সমস্যা গুলো দূরে যাবে। নাহলে জোঁকের মতো সমস্যা গুলোও গায়ে জড়িয়ে থাকবে। যতই গণতান্ত্রিক উপায়ে অধিকার আর সন্মান চাওয়া হোক জুটবে না কিছুই।
২।
‘…যখন মুসলিমরা ঈমানের দিক দিয়ে দূর্বল ও সৎকর্ম করায় অলসতা করতে শুরু করল, তখন আল্লাহ তাদের সন্মানকে অপমানে, বিজয়কে পরাজয়ে, স্বাধীনতাকে পরাধীনতায় এবং তাদের সুখ-শান্তি ও নিরাপত্তাকে ভয় ও আতঙ্কে পরিণত ক’রে দিলেন…’।
সুরা নুরের ৫৫ নং আয়াতের তাফসিরের কিছু অংশ। তাফসির আহসানুল বায়ান থেকে।
মহান আল্লাহ বলেন,
“তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে এবং সৎকাজ কাজ করে, তাদের সাথে আল্লাহ ওয়াদা করেছেন, তিনি জমিনে তাদের অবশ্যই ক্ষমতা এবং কর্তৃত্ব দান করবেন। যেমনিভাবে তিনি তাদের আগের লোকদের ক্ষমতা এবং কর্তৃত্ব দান করেছিলেন। যে জীবন বিধান তিনি তাদের জন্য পছন্দ করেছেন তাও তাদের জন্য সুদৃঢ় করে দেবেন। তাদের ভীতিজনক অবস্থার পর তিনি তাদের অবস্থাকে শান্তিতে বদলে দেবেন। তারা শুধু আমারই উপাসনা করবে, আমার সাথে কাউকে শরীক করবেনা। এরপরও যে তাঁর নাফরমানী করবে তারাই গুনাহগার”। [সুরাহ আন নুর ৫৫]