somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তুই : কবিতা অথবা কবিতায়

২৪ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৪:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

২৪
তুই যে বড় বলিস, কৈশোরেরও কাল হতে
আমায় ধরে আছিস মনে, তাহলে প্রমীলা চল্, আমরা ফিরে যাই
বিশ বছর আগেকার প্রথম যৌবনে।
আমি তো ছিলাম অভাগা 'যতিশংকর' এক, এমন কেউ নয়
তোর চোখে পড়বার মতো;
তুই কি জানিস, একটানা কতদিন কাটিয়ে দিতিস
একবারও না তাকিয়ে আমার পানে। আমার ছিল না কেউ
দেখবার অন্তরের সেই রক্তাক্ত ক্ষত।

কখনও সহজ চোখে, কখনও বিরক্তিতে
কখনও তোরই প্রয়োজনে,
কখনও অভ্যাসবশত, কখনও ভুলে-ভাটে অতর্কিতে
তোর চোখের আলো এসে পড়তো আমার নয়নে-
অমনি রুদ্ধশ্বাস ভালোবাসা ছুটতো ফিনকি দিয়ে অন্তর্প্রস্রবণে,
নিবিড় সঙ্গোপনে। তা তুই জানতিস না কিছুই। প্রমীলা, আজ তবে চল্
আমরা ফিরে যাই বিশ বছর আগেকার প্রথম যৌবনে
অমোঘ প্রেমের বৃন্দাবনে।

২৫
আকাশের এপার হতে ওপার যেত ছেয়ে
তোর নামে যে কবিতা লিখেছি তার বর্ণমালা দিয়ে।
তুই বললি, হাহ্, চাই ভস্ম কীসব লিখেছিস!

যেদিন চলে যাব তোর অকিঞ্চিr অবহেলা আর
উপেক্ষার দিন শেষে, এসব অকবিতা আর চিঠির
কথাগুলো সাজিয়ে কিছুটা কবিতা করে দিস,
আমার যাবার পরের কোনও এক উrসবে।

২৬
এখানে ওখানে পিছলে পড়ার কত হয় উপক্রম
তখনই তোমায় মনে পড়ে আর ভুল হয় উপশম।
অন্তরে তুমি বিরাজ করো হে, ওহে অন্তরতর
আমায় তুমিই নিখাদ করেছ, করেছ শুদ্ধতর।
কোনওদিন যদি এমনটি হয়- হয়েছি স্খলিত
ভাববো পেয়েছি অভিসম্পাত, শুভাশিস পাইনি তো।

২৭
'তুই আজকাল বড্ড অসতী পাঠক হয়ে গেছিস---'
'উহ্হু হলো না---পাঠিকা।'
'পারিস তো শুধু এই অর্থহীন যতো তর্ক। আমি জানি না
তবু তোর সাথে কেন এখনও রেখেছি সম্পর্ক।'
'আমি কি চেয়েছি? ছেড়ে দে তুই। আর করিস না
যখন তখন ডিস্টার্ব।'
'তাই-ই হবে। ডায়েরিগুলো আজই শ্রেডারে দিয়ে দিব।
তোর নামে লেখা বই, উrসর্গপত্রগুলো---যা যা আমার
গল্প-উপন্যাস
আছে তোর কাছে, পুড়িয়ে ফেলিস সব; এসব জঞ্জাল রেখে কী লাভ?'

২৮
ভোরের কুয়াশায় ট্রেনে চাপতে প্রমীলার সে কী ভয় :
যদি বা অলক্ষণে একটা নিদারুণ কিছু হয়!
তাহলেও ইমরান, তুই প্রমীলাকে ফোন করে বলে দিস
আমাকে শীঘ্রই ফিরতে হবে, সকালেই।
আমি যদ্দূর জানি, কুয়াশায় দিগ্দর্শনে বিঘ্ন ঘটে না ট্রেনের
তাই দুর্ঘটনারও এতটুকু সম্ভাবনা নেই।
যদিবা দৈবাr টাঙ্গাইলের বাস দুর্ঘটনার মত ট্রেন দুর্ঘটনায়
একটা লাশ আমি হয়ে যাই
তাহলে ইমরান, তুই সব দেখে রাখিস, তোকেই সব
ভুবন দিয়ে দিলাম---আমার সব পাওয়া হয়ে গেছে,
অপ্রাপ্তির যন্ত্রণা আর নাই।

২৯
কেন তুই মেয়ে দশ গেরামের হলি ঝাড়া সুন্দরী?
আমি পুড়ি তোর প্রেমের আগুনে, লোকে বলে প্রেমে মরি।

৩০
শয়নে স্বপনে ঘুমে জাগরণে
সখী তোর কথা কেন মনে পড়ে?

৩১
হৃদয় উজাড় করে তোকে ভালোবেসেছিলাম
বন্ধুরে তুই এই কি দিলি দাম?
তোর তো দারুণ কাটছে সময় আড্ডা কিংবা কাজে
বুঝবি না কী রক্তক্ষরণ এই হৃদয়ের মাঝে।

৩২
ভালোবাসার সংগা নেই কোনও
ভালোবাসা এক গভীরতম আবেগ এবং অতি তা সাময়িক
সাময়িক শুধু নয় তোর আর আমার প্রেম প্ল্যাটুনিক।

৩৩
তুমি হবে নব ইতিহাস সারা দেশ জুড়ে তুলে ঝড়
আকাশে উড়াতে রইলো আমার দু-এক টুকরো খড়।

৩৪
একদিন তুই আকাশ ছুঁয়ে মাটির পানে দেখবি না আর চেয়ে
নির্বোধ এক অ-কবিকে অতোদূর হতে চিনবি না তুই মেয়ে।

৩৫
পথের দুরন্ত বালক ঘরে ফিরে সন্ধ্যা হলে
মায়ের চিরকেলে আঁচলের তলে।
আমি এক অশান্ত ঘুড়ি
বিশাল আকাশ জুড়ে মত্ত নাচানাচি, দিগ্বিদিক ওড়াউড়ি।
যখনই মাটির পানে তাকাই
দেখি ঘুড়ির সুদীর্ঘ সুতো আর নাটাই
ঠিক তোমার করতলে:
আত্মপ্রসাদে দুষ্টুমির হাসি
হাসছো মিটিমিটি। অদ্ভুত অন্তরঙ্গ খেলা এ তোমার।
চিরকাল বিজয়িনী তুমি, তোমার সকাশে আমি পদানত বারবার।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:৩৭
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×