যে-কবিতার রন্ধ্রে রন্ধ্রে টগবগ করে খুন,
যে-কবিতার বর্ণে বর্ণে ফোটে অগ্নির ফুল,
-কোথায় আজিকে সেই কবিতার সুকান্ত-নজরুল?
কবিতার ভাষা দিন দিন নরম থেকে নরমতর হচ্ছে। আমাদের দাদিমাতাগণ ঘুমপাড়ানি গেয়ে তাঁদের সন্তান, অর্থাৎ আমার বাবা, চাচা, ফুপিদের শিশুবেলায় ঘুমিয়ে রাখতেন। আমরা এখন তরল কবিতা লিখি, চাঁদের আলোর মতো নিস্তেজ তার ভাষা, টকঝালনুনহীন, বিস্বাদ; আর তা শ্রবণে বিভোরে ঘুমিয়ে পড়ি, যেমন এক পশলা হাওয়া গলগলিয়ে দরজা দিয়ে ঢুকে পড়ে আর আয়েশে চোখ বুজে শ্রান্তির জাজিমে এলিয়ে পড়ে আমাদের আরামপ্রিয় শরীর।
কবিতার ভাষা কি এমনি ছিল আদিতে? কবিতা কি অলস আর কর্মবিমুখ মানুষদের ঘুম পাড়িয়ে রাখবার মহৌষধবিশেষ? কবিতা কি নিষ্প্রাণ শব্দাবলির মিনমিনে কান্না?
তাহলে কবিতা ছাড়ো
কবিতা
যৌবনের শিরদাঁড়ায় ঢেলে দেয় বারুদ। কবিতায় ঘুমিয়ে থাকে আগুনের লাভা।
কবিতা
একটা জাতিকে মন্ত্র দেয় সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়বার
কবিতা
কাঁপিয়ে দেয় দুঃশাসকের ভিত
বন্ধু তোমার ঘুমপাড়ানি রাখো
এবার কলম ধরো
কাব্যে তোমার বিষদাহ চাই, মন্ত্র নতুনতরো
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:২৬