সহজ কবিতা
আফজাল সাহেবের কাচ্চিবিরিয়ানি খুব পছন্দ, সাথে বোরহানি
তাঁর সাত ছেলে, এক মেয়ে; সে যুগে পরিবার-পরিকল্পনা ছিল না
সুখেশান্তিতে তাঁরা দিনাতিপাত করেন
কঠিন কবিতা
দাদা তার নাম আফজাল মিয়া রেখেছিল, কিন্তু বড় হতে হতে সে দেখলো
সে হয়ে গেছে 'আবজাইল্যা'।
সকালে 'আবজাইল্যা' কাঁচামরিচে বাসি পান্তাভাত খেয়ে কামলা দিতে যায়
তার শুকনো শরীর, বউয়েরও।
বিয়ে করেছে ৭ বছর হলো; এরই মধ্যে ৪টা বাচ্চা তার
প্রথমটা মেয়ে ছিল। বছর না ঘুরতেই আরেকটা। সেটাও মেয়ে।
ছেলে হলে বাপের সাথে কামলায় যেতে পারবে, কিন্তু ৩ নম্বরটাও মেয়ে
তারা পরিবার-পরিকল্পনা বোঝে না। রাতের বেলা বিনোদন একটাই, বা ও-টুকুই।
৪ নম্বরটা মেয়ে হবার পর রাগে-ক্ষোভে-দুঃখে সে বউকে পিটিয়েছিল
এরপর মাঝে-মাঝেই পেটায় আর 'মাইয়া-কপাইল্যা' বলে বকাবকি করে
ভাঙা তলপেট নিয়ে 'আবজাইল্যা'র বউ মাঝি বাড়িতে সকাল-সন্ধ্যা কাজ করে
বড় সাহেবের নেকনজর পাবার চেষ্টা সে করে নি তা নয়, কিন্তু
তার চামড়া ঝুলে পড়া শরীরের প্রতি বড় সাহেবের কোনো আগ্রহ বোঝা যায় নি
খিদের চোটে মেয়েগুলো খাবলাখাবলি করে; আবজাইল্যা হয়তো
আরও কিছু মেয়ের জন্ম দিতে পারবে, কিন্তু ওদের জন্য থালা ভরে ভাত
এনে দিতে পারবে কিনা, তা সে জানে না