গতরাতে ঘুমিয়েছি ৩-৩০টায়। তার আগে কিছু সৎকর্ম করেছি
চোখ জ্বলছিল কম ঘুমের জন্য। বাজার করলাম সকালে দু ধাপে। প্রথমে মাছ কিনে এনে ফ্রিজে রাখলাম, ৪জনে মিলে পরোটা ভাজলাম। পরোটা ভাজায় জীবনে প্রথমবারের মতো হাতেখড়ি- গেরস্থালির কিছুই বুঝি না বলে বউ জীবনে খোটা দিতে দিতে বুক ঝাঁজরা করে ফেলেছে, আমি গায়েও মাখি নি। আজ হাড়ে হাড়ে ঘাম ঝরছে
নাশতা করে গেলাম সব্জির বাজারে। সব্জি কিনে এনে কিছুক্ষণ ব্রাউজিং করেই চোখের যন্ত্রণায় টিকতে না পেরে রুমে ঢুকে শুয়ে পড়লাম।
ফারুকের ডাকে ঘুম ভাঙলো- লাঞ্চ রেডি। একত্রে খেতে হবে। হুড়মুড় করে উঠে হাতমুখ ধুয়ে টেবিলে এসে দেখি ফারুক আর পঙ্কজ বসে গেছে, জাকারিয়া গোসল করছে। মনে মনে আফসোস করি- এখন না খেয়ে আরও ঘণ্টা তিনেক ঘুমিয়ে নেয়াই ভালো ছিল। মোবাইলে ইতোমধ্যে বউয়ের একটা মিস্ডকল আবিষ্কার করি। এরমধ্যে জাকারিয়া এসে খেতে বসেছে, আমাদের শেষ হয়ে গেছে। হঠাৎ জাকারিয়া বলে- হ্যাপি বার্থডে টু ইয়্যু!! আমি আশ্চর্য হয়ে ঘড়ির দিকে তাকাই- আজ ৩১ জুলাই। জাকারিয়া আবার বলে- হ্যাপি বার্থডে টু ইয়্যু। আমি বলি- জানলে কী করে। ও বলে- জেনেছি কোনো একভাবে। তখন মনে পড়লো- উইশ করার জন্যই বউ কল করেছিল। তড়িঘড়ি নেটে বসি। বাসায় ফোন করি। পাইলট ধরে। সে গীটার বাজচ্ছিল। দু চার কথা হয়। এরপর স্ত্রীর সাথে। তার পিঠে ব্যথা- অনেক দিনের পুরনো, দাঁতেও ব্যথা, এটাও পুরনো। সকালে ডাক্তার দেখিয়েছে। সময় করে নিয়মিত ওষুধ খেতে বলি। বাসায় থাকলে আমিই তার ওষুধের টাইমিং মনে করিয়ে দিতাম। বাসায় না থাকলে ওষুধ থাকবে ওষুধের জায়গায়, তার অসুখ গজাতে থাকবে আপন স্বভাবে।
আমার জন্মদিন কোনোদিন মনে রাখা হয় না, যাপনেরও তাই তাগাদা নেই। গতবছর বউ মনে রেখেছিল। এর বছর কয়েক আগেও আরেকবার সবাই আমাকে সার্প্রাইজ দিয়েছিল। আজ জাকারিয়া সে কাজটি করলো।
জাকারিয়াকে ধন্যবাদ। আর অন্তত নিজেকে নিজেই একবার উইশ করে দেখি- হ্যাপি বার্থডে টু মি।
আমার জন্মদিনের সঠিক ইতিহাস আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে গতবছরের লেখাটার লিংক এখানে দিলাম- জাকারিয়ার জন্য।
ওহ্হো, আরেকজনের নাম না বললে বিরাট অবিচার করা হয়। এখানে ১০ নম্বর কমেন্ট। তিনিই প্রথম কিছুদিন আগে একটা বিলেটেড উইশ প্রদান করেছেন। শায়মা হক। তাঁর প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা।
সবাই ভালো থাকুন।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




