যে গানটি শোনা হয় নি, যে কবিতাটি লেখা হয় নি...
একটা চিঠি হারিয়ে গেলে প্রথম প্রেমিকার
একটা সম্পর্ক ভেঙে গেলে, অনেক পুরোনো ও মধুর
ভুলে গেছি তার কাঁকনের রং, চুলের গহনে নিঝুম আঁধার
খুব দূরে, খুব খুব দূরে একটা অচেনা সুর ভেসে যেতে যেতে দিগন্তে মিশে যায়
মধুরতম গানটি শোনা হলো না
এমন একটা গানের জন্য হু হু করে বুক, তৃষ্ণার মতো অতৃপ্তিময় জ্বালা
কী বাণী লেখা ছিল গানের শরীরে? কার কথা লেখা ছিল করুণ হরফে?
আমি কি চিনি সেই দুঃখিনী মেয়েটাকে? তার গায়ের বর্ণ, ‘উজান গাঙের নাইয়া’র পানে চেয়ে থাকা ছলছল চোখ; আমি কি দেখেছি কোনওদিন দুঃখিনী মেয়েটাকে?
প্রিয় কবিতাটি লেখা হলো না আজও
পেন্সিলের আনাড়ি দাগের মতো দুর্বোধ্য হস্তাক্ষরে
লেখা ছিল কাঁচা বয়সের প্রথম চিঠিটা
আমি কি সেই ভাষা বুঝি? সেও কি হায় বুঝতো অনাগত প্রেমের যন্ত্রণা?
শার্টের নিচপকেটে, লুঙ্গির কোঁচড়ে, বেড়ার ফাঁকে, বইয়ের ভেতরে ঘুরতে ঘুরতে
অমোঘ বিধানে চিঠিটা সত্যিই হারিয়ে গেলে হন্যে হয়ে ছুটতে ছুটতে
একদিন অনায়াসে বুঝি- এর নাম প্রেম নয়, কুহক
কী লেখা ছিল চিঠির ভাষায়, আহা, আজও আফরোজার ঠিকানা জানি না;
অনেক দূরে ঝাপসা গোধূলিতে ওড়না উড়িয়ে আফরোজা হেঁটে যায়
আর ওর চিঠিটার মতো একটা অচেনা সুর ভেসে যেতে যেতে মিশে যায় দিগন্তে
এমন একটা কবিতা লেখা হলো না, এমন একটা গান শোনা হলো না
আফরোজার চিঠিটা কোথায় হারিয়ে গেলো
আড়িয়াল বিলের ওপারে তার মায়ের বাড়ি, পশ্চিমে তার বাপের ভিটা
মাঝখানে সমুদ্র আর ঢেউ
তোমরা যদি কেউ কোনওদিন আফরোজাকে ভেসে যেতে দেখো
আমায় অন্তত একটুখানি খবর দিও
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৮:০০