somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অহঙ্কার আকাশের সিঁড়ি

১৮ ই মে, ২০১১ সকাল ১০:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অহঙ্কার পতনের মূল- ভুলে যান এসব মান্ধাতার ধর্মান্ধ কথা;
মূলত অহঙ্কার আকাশের সিঁড়ি।
অহঙ্কার অর্জনের জন্য যা কিছু দরকার, আমাদের সেসব নেই
যাঁদের নাক অনেক উঁচুতে উঠে গেছে, নিজ নিজ কীর্তির ফসলে
আমরা তাঁদের কাছ ঘেসতে পারি না, যদিও
অনেক ইচ্ছেয় আমাদের মন পুড়ে যায়
আর ব্যর্থতায় ‘আঙুর ফল টক’-এর মতো নিছক আত্মপ্রবোধে তাঁদেরকে অভিসম্পাতে বলি, তোমাদের পতন অনিবার্য।

যাঁরা অহঙ্কারী, কী তাঁদের দোষ আমি তা বুঝি না
আমাদের দিকে তাঁরা ফিরে না তাকালে, আমাদের আক্ষেপই বা হবে কেন?
তাঁদের কৃপাচাহনির এতো কী প্রয়োজন আমাদের?

হাত পাতাই যখন জন্মগত অভ্যাস, তখন অহঙ্কারী হওয়া যায় না
আমাদের অহঙ্কারী হওয়া অতীব জরুরি। একজন অহঙ্কারীর তীব্র আত্মসম্মান বোধ আছে। যাঁর আত্মসম্মান বোধ আছে, তাঁকে কখনো অন্যের মুখাপেক্ষী হতে হয় না।

যাঁর দশটি সুদৃশ্য জামা আছে, তিনি ছেঁড়া শার্ট গায়ে জড়িয়ে যেমন সারল্য প্রকাশ করতে পারেন, অহঙ্কার অর্জিত হবার পর তেমনি তিনি ‘নিরহঙ্কার’ নামক আভরণ অঙ্গে ধারণ করতে সক্ষম; আমরা তখন তাঁকে অমায়িক, বিনয়ী, প্রভূত সাধু বিশেষণে অলঙ্কৃত করি।

দৈবাৎ একজন ‘অহঙ্কারী’ মানুষের সাক্ষাত পেলে খুঁজে দেখুন ঠিক কী কী কারণে তিনি অহঙ্কারী হয়ে উঠেছেন। যেসব কারণে মানুষ অপনাকে অহঙ্কারী বলেন,
বস্তুত ওগুলো আপনার কষ্টসাধ্য অর্জন। পরশ্রীকাতরতা আমাদের চারিত্রিক ত্রুটি, অন্যের ভালো কদাচিৎ সহ্য করি। এজন্য আমরা নাক-উঁচু বা অহঙ্কারী শব্দের জন্ম ঘটিয়েছি। ‘অহঙ্কার’ কোনো নেতিবাচক বৈশিষ্ট্য, আমি তা ভাবি না। সামর্থ থাকলে আপনিও অহঙ্কার প্রদর্শন করুন। আমরা নপুংসক ও অসমর্থ মানুষকে অহঙ্কারী হতে দেখি কি?

আমার প্রিয়তমা স্ত্রী যেদিন বলবেন ‘তুমি আমার অহংকার’, কিংবা আমার স্বজনেরা, বন্ধু ও সঙ্গীরা, এবং আরো অনেকে, সেদিন নিশ্চিত বুঝে নেবো আমার কর্ম একটা উপযুক্ত সুফল বয়ে এনেছিল এ মানুষগুলোর জন্য।

যেদিন শুনবেন, চারপাশের লোকজন বলছে আপনি লোকটা অহঙ্কারী, সেদিন সুখে ও গর্বে আপনার বুক স্ফীত হবে। সবাই অবচেতনেও অহঙ্কারী হতে ভালোবাসে।

আত্মসম্মানবোধ এক অমূল্য রত্ন। তা থেকে অহঙ্কারের উন্মেষ। একজন অহঙ্কারী মানুষকে ভালোবাসতে শিখুন, আর তাঁর মতো অহঙ্কারী হবার সুপন্থাবলি চিহ্নিত করুন। আপনার উত্থান অবশ্যম্ভাবী।

আমার কর্ম আমার অহঙ্কার। অহঙ্কার আমার গর্ব।

১৭ মে ২০১১
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:৫৫
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেনারসী রঙে সাজিয়ে দিলাম চায়ের আসর=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনে কি পড়ে সেই স্মৃতিময় সময়, সেই লাজুক লাজুক দিন,
যেদিন তুমি আমি ভেবেছিলাম এ আমাদের সুদিন,
আহা খয়েরী চা রঙা টিপ কপালে, বউ সাজানো ক্ষণ,
এমন রঙবাহারী আসর,সাজিয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজ্ঞানময় গ্রন্থ!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

একটু আগে জনৈক ব্লগারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, কমেন্ট করার পর দেখি বেশ বড় একটি কমেন্ট হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম জনস্বার্থে কমেন্ট'টি পোস্ট আকারে শেয়ার করি :-P । তাছাড়া বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২০২৪-৪

লিখেছেন শায়মা, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫


চলে যাবার দিন ঘনিয়ে আসছিলো। ফুরিয়ে আসছিলো ছুটি। ছোট থেকেই দুদিনের জন্য কোথাও গেলেও ফিরে আসার সময় মানে বিদায় বেলা আমার কাছে বড়ই বেদনাদায়ক। সেদিন চ্যাটসউডের স্ট্রিট ফুড... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×