১
হাত ধরো। এই সোজা আলপথ ধরে হাঁটো। দেখো, একটু পরই বাঁকা পথ, উঁচু-নিচু, পিচ্ছিল, কর্দমাক্ত। ছায়া ছায়া আলো। আমরা অন্ধকারতম গুহার ভেতরে ঢুকে গেলে অকৃত্রিম দুর্বোধ্যতায় এরপর অনন্তকাল ঘুমিয়ে থাকবো।
২
একটা উলটো মানুষ খুঁজি;
১০ ফুট ৫ ইঞ্চি উঁচু অথচ ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি দেখি না
দাঁড়ালে পা দুটো মাটিতে
হাসলে কাঁদে না, খিদে পেলে খাবেই
সে যদি সম্মুখপানে হাঁটে, দৃষ্টি সম্মুখে
আমি উলটো মানুষ খুঁজি।
সে যদি গান গায়, কণ্ঠে অমৃত ঝরে
সে যদি কথা বলে, বিমুগ্ধ শ্রোতা হয়ে যাই
সে যদি কাছে ডাকে, সব পাওয়ার বন্যায় ভাসি
সে যদি উলটো হয়ে বসে...উলটো দেখি না কিছুই
এমন একটা উলটো মানুষ খুঁজি।
৩
অদৃশ্য আধার থেকে নেমে আসেন মনস্বী সুপুরুষ
ধীর, শান্ত কদমে
চোখে তার গভীর মনীষা। নিঃস্বার্থ বাৎসল্যে বাড়িয়ে দেন
দিঘল অগৌর হাত। তারপর কাছে এসে ঘন হয়ে দাঁড়িয়ে
অস্ফুট স্বরে কহেন: চলো।
হ্যামিলনের বাঁশিঅলা! এ এক অনন্য জাদুর নেশা।
আমি তাঁর তাঁর ছায়ার ভেতরে চলি। সহজ অরণ্যপথ বেয়ে অনন্ত গহিনে
যেতে যেতে
-----------যেতে যেতে
----------------------যেতে যেতে সুরম্য দূর্গের দ্বারে পৌঁছে গেলে
খুলে যায় এক লক্ষ চোখ। তাদের শরীরে অফুরন্ত আলো।
বিমূঢ় সন্ন্যাসীরা তার নাম রাখেন ‘সৌখ্য’।
৪
সূর্যডানায় সালঙ্কারা;
কিম্ভূত গুণ্ঠনে
উর্বশী সারমেয় গজচলনসম্ভবা :
সমবেত স্বরঘেউয়ে
প্রসূত পুরীষে হর্ষে আটখানা।
নির্বোধ কহে, ‘অভ্রান্ত বাণ।’
জ্ঞানবান হাসে, মধুর অজ্ঞেয় রসে।
*২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৩০