কীভাবে পরিচয় হয়েছিল নিরন্তর রোমন্থনে উদ্ধার হলো না কিছুই। ইথারে বেতারে অনতিকাল যোগাযোগ ঘটিত হলে আচানক আবিষ্কার করি কোনো এক মেয়ের সাথে পরিচয় ঘটে গেছে। একটা সম্পর্কও গড়ে উঠলো খুব দ্রুত। অতীব অহিনেউলে এবং তীব্র আবেগের সে সম্পর্কের কোনো সংজ্ঞা জানি না আমরা।
এরপর একদিন তার ভাঙন দেখলাম। সেদিনই সে ‘রাখি’ পরালো।
ভালোবাসারা দুর্বার হয়ে ওঠে, প্রমত্ত ঢেউয়ের তোড়ে ভেঙে যেতে থাকে বাঁধ। এ ভালোবাসার আমরা কোনো সংজ্ঞা জানি না।
তারপর গভীর অরণ্যে নিরুদ্দেশ হেঁটেছি কত, পাশাপাশি, হাত ধরে, হাত না ধরে; তার বাহুর বৃন্ত আলতো ছুঁয়ে গেছে আমার বাহু, তার ইচ্ছাতে কিংবা অনিচ্ছায়- জানি না।
মুখের পানে না তাকিয়ে ঔদাসীন্যে সে আমাকে শোনাতো ‘কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও...’
চাইলেই সবটুকু পেতে পারি, পনিরের মতো স্বচ্ছ ও ধবল, দুধের সরের মতো অকৃত্রিম রোদবিছানো নাভিতটে আকুতির মধু মেখে অস্পষ্ট ইশারায় আমাকে প্রেম সেধেছিল নামজাদা কবিতার মেয়ে
হাত বাড়ালেই মুঠি যাবে ভরে। হাতের ‘রাখিতে’ দ্বিধা ও সংকোচ, কিংবা বাধা, অথবা সংযম।
তার চিকন দেহের ভাঁজে ফুলকির মতো ফুটতো প্রেম। চাইলেই সবটুকু পেতে পারি- হাত বাড়ালেই; চাওয়ার অসুখে পাওয়া হলো না বিষের অমৃত
ঝড় ও বৃষ্টির বিবর্ণ স্মৃতি পণ করে প্রতিদিন তিনবেলা কবিতা না-লেখার মতো ভুলে যেতে থাকি; স্মৃতিরা সময়হন্তারক বিষ।
১৯ মার্চ ২০১০
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৪৩