somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কবিতা

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একটা বড়ো কবিতায় যেমন ছোটো ছোটো অনেকগুলো
কবিতা শেকলের মতো পর পর সাজানো, কিংবা থরে থরে
অগোছানো থাকে, তেমনি অনেকগুলো ছোটো, বিক্ষিপ্ত
কবিতাও একত্র হয়ে গড়ে তুলতে পারে একটা দীর্ঘ পূর্ণাঙ্গ
কবিতা। একটামাত্র শব্দ, কিংবা ক্ষুদ্র একটা বাক্যও একটা
পূর্ণাঙ্গ কবিতা হয়ে উঠতে পারে। আবার, কয়েক পৃষ্ঠাব্যাপী
সুদীর্ঘ কবিতাটি অসমাপ্ত থেকে যাবে কবির অক্ষমতার কারণে।

প্রতিটি কবিতার প্রতিটি শব্দ ও বাক্য আলাদা ভাব প্রকাশ
করে। ভাবগুলো জোড়া দিয়ে কবিতাটি সমাপ্ত করা হয়। এ
জোড়বন্ধন কখনো সার্থক হয়, কখনো হয় না। কবি কী বলতে
চান, কবিতায় কখনো তা অস্পষ্ট থেকে যায় কবির অদক্ষতায়;
কখনো কবি ইচ্ছে করেই কিছু অভিব্যক্তি উহ্য রাখেন (অদক্ষ
কবিরা কেউ কেউ অদক্ষতা-জনিত উহ্যতাকে নিজের কৃতিত্ব
ভেবে বসেন)।

কেউ কেউ যা মনে আসে, পূর্বাপর সম্পর্কবিহীন অভিধানসর্বস্ব
গুচ্ছ গুচ্ছ শব্দাবলি, পঙ্‌ক্তির পর পঙ্‌ক্তিতে বসিয়ে ভাবেন-
‘বেশ ঘোর লাগিয়ে দিলাম কবিতায়!’ হয়ত তিনি নিজেও
জানেন না কী লিখেছেন, বা কী বলতে চেয়েছেন। এসব পাঠ
করে অন্তর্নিহিত ভাব উদ্‌ঘাটনের চেষ্টা পণ্ডশ্রমের নামান্তর।
তবে, কোনো কোনো পাঠকের কাছে তা শ্রেষ্ঠ কবিতা হিসাবে
প্রতিভাত হবে; জেনে রাখুন, কবিতার উৎকর্ষের জন্য পাঠক
হিসাবে তাঁরা বড্ড অবিজ্ঞ।

কেউ কেউ মগজে 'কবিতা' নিয়ে ভূমিষ্ঠ হোন। লিখতে লিখতে,
পড়তে পড়তে, ঘুরতে ঘুরতে, ভাবতে ভাবতে, আবার লিখতে
লিখতে কেউ কেউ কবিতায় দক্ষ হয়ে ওঠেন। তবে, কেউ কেউ
অনেক বছর লিখেও নিজের প্রথম কবিতাটা থেকে তেমন এগোতে
পারেন নি। কারণ কী? কারণ হলো, কবিতা লেখবার জন্য কিছুটা
'প্রতিভা'ও থাকা চাই। প্রতিটা 'বৃষ্টি' কিংবা 'বসন্ত' নিয়েই কবিতা
লিখে ফেললে তাতে কতটুকু 'কবিত্ব' প্রস্ফুটিত হয়, তা নিরীক্ষা না
করেও একজন প্রাজ্ঞ পাঠক বলে ফেলবেন।

পাঠকেরা প্রায়শ কবির চাইতে অধিক প্রাজ্ঞ; ফলে হয় কী, যেটা
কবি বলেন নি, বা বলতে চান নি, এমনকি, উহ্যও রাখেন নি, তারা,
মানে প্রাজ্ঞ পাঠকেরা নিপুণ সার্জনের মতো কবিতার শরীর ব্যবচ্ছেদ
করে নাড়িভুঁড়ি সমেত জনসমক্ষে তুলে ধরেন। এ দেখে স্বয়ং কবিও
চমৎকৃত হয়ে হয়ত-বা বলে উঠবেন, 'বাহ! কী দারুণ কবিতাই না
লিখে ফেলেছি!'

০৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২১
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×