কুড়িয়ে পাওয়া ছড়া-১
আমার বিভিন্ন পোস্টে, বিশেষ করে ছড়ার পোস্টে কারো কারো কমেন্টের জবাবে ছোটো ছোটো ছড়া লিখেছি; কখনো অন্যের পোস্টেও নিছক ফান করার উদ্দেশ্যেই ছড়া লিখেছি। এখানে সেগুলো একত্র করে রাখলাম। প্রথম দুটো ছড়া হাসু মামার এই পোস্টে সৃষ্টি হয়েছিল। বাকিগুলো আমার নিজের পোস্টেই বিভিন্ন ব্লগারের কমেন্টের জবাবে লেখা হয়েছিল।
সুলু আর ডুলু
সুলু আর ডুলু
অবাক মুলুকে
দুইবোন ছিল তারা
ডুলুটার ছিল
কানদুটো বড়ো
সুলুটার নাক খাড়া
ওরা দুই বোন
চই চই করে
সারা দুনিয়াটা ঘুরতো
ঘুড়ির লেজায়
ঝুলে ঝুলে ওরা
আকাশে আকাশে উড়তো
সাঁঝের বেলায়
বাকুম বাকুম
মায়ের খোয়ারে ঢুকতো
মাথায় তাদের
মুখ ঘঁষে ঘঁষে
মামণি ঘ্রাণ শুকতো।
০৫ আগসট ২০২০
সুলুরির পুঁথি রচনা
ডুলুরি ধন্দে পড়িয়া কান্দে
এ কী বিস্ময়! এই কি সুলুরি
লিখেছে বিরাট পুঁথি!
আমার মুখ যে ভাষা হারিয়েছে
অনুপম অনুভূতি।
জানি, নিশ্চিত ডুলুরি এখন
পড়েছে ভীষণ ফাঁদে
নাচ দেখাবে, না, গজল শোনাবে -
এই দ্বন্দ্বে সে কাঁদে
কোথা শায়মানী হও আগোয়ানী
ঘোর সংকটে দেখা দাও
কয়েক পঙ্ক্তি কবিতা বা গান
ডুলুরিরে তুমি লিখে দাও
০৫ আগস্ট ২০২০
শায়মা হককে
গিন্নি রাঁধেন কোর্মা পোলাও
কন্যা রাঁধে গোশতো
বোয়াল মাছের কোপ্তা পাঠায়
দোস্তানি ও দোস্ত
সব ফেলে দেই, যখন আমার
বউমা বলে, আব্বা-
এই আপনার জর্দা-খয়ের, চুন ও
পানের ডাব্বা
৪ জুন ২০১৮
শায়মা হককে
তোমার ছিল দারুণ ছড়া
আমার ছিল দাঁড়ি
দাদুর পাতে তালের বড়া
জামাই খেলো ঝাড়ি
রাজীব নুর
নাম ছিল তার রাজীব নুর
লোকটা বড়োই প্রেমিক ছিল
সবলোকে কয়, লোকটা কেন
দিনে দশটা প্রো-পিক দিল?
নীলপরি
নীলপরি লালপরি
আছে এক জলপরি
সব পরিদের সাথে
সাধ হয় ছল করি
সাধ হলে হবে কী?
পরিদের পাব কই?
সব ফেলে শেষমেষ
একা একা খাব দই?
কথার ফুলঝুরি
আপনি কথার ফুলঝুরি
মেঘ কদমের মূলকুঁড়িটি
ফুটছে দারুণ সন্ধ্যায়
একটা যুবক ব্লগিং ফেলে
সেই সুবাসে মন দ্যায়
২৮ আগস্ট ২০১৮
ঘাওড়া মজিদ
-ঘাওড়া মজিদ বলেন তো,
ঘাড়ের উপর কয় মাথা?
-সোজা কথা উলটে দিলে
উলটো কথা হয় যা তা।
১
গিন্নি সেদিন লাউ রেঁধেছে
কর্তা খেলো কদু
মধুমিয়া খায়দায় আর
মোটা হচ্ছে যদু
উৎসর্গ : আঈমান জন বেলরুমি
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৩