somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সবই পুরোনো কৈতুক, সাথে কিছু সিরিয়াস স্টাফ - চলুন একটু হাসাহাসি করা যাক :) :) :)

০৭ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সবই পুরোনো, কোনো নতুন জোকস নয় /// বহু-মেশলা

গবেষণায় দেখা গেছে যে, নতুন কোনো কৌতুক সৃষ্টি হয় না; একই কৌতুক এক শতাব্দী থেকে অন্য শতাব্দীতে দৌড়াতে থাকে; দৌড়াতে দৌড়াতে পা ক্ষয় হয়, শরীর ভেঙে যায়- কিছু বিবর্তনপ্রাপ্ত কৌতুকের উদয় ঘটে :)


১।
একবার আমাদের মিস্টার আবুল মাইক্রোসফট কোম্পানিতে যোগ দেয়ার জন্য আবেদন করছেন। সেখান থেকে তার রিফিউজ লেটার এসেছেঃ

Dear Mr. Abul Hossain,
You do not meet our requirements.
Please do not send any further correspondence.
... ... No phone call shall be entertained.

Thanks
Bill Gates

আবুল মামা এই চিঠি পড়ে খুবই খুশি হলেন, আর সেই সাথে প্রেস কনফারেন্স ডেকে ফেললেনঃ

‘আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, আমেরিকাতে আমার চাকরি হইয়া গেছে!’ সবাই খুশিতে হাততালি দিল। সে আবার বলতে থাকলো, ‘আমি আপনাদের সবাইকে আমার নিয়োগপত্র পড়ে শোনাচ্ছি, কিন্তু ইংরেজিতে লিখছে, তাই সবার বুঝার সুবিধার জন্য বাংলাতে পইড়া শোনাব।

Dear Mr. Abul Hossain - প্রিয় আবুল হোসেন ভাইয়া
You do not meet- আপনে তো আমার সাথে দেখাই করেন না!!
our requirement - আমাদের দরকার
Please do not send any further correspondence - এখন চিঠি পত্র পাঠানোর কোনো দরকার নাই।
No phone call - ফোন করারও দরকার নাই। মানে আমারে এইসব ঝামেলা না কইরা ডাইরেক্ট যাইতে কইছে! :)
shall be entertained- বহুত খাতির করা হইব
Thanks - আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
Bill Gates - তোমার বিল্লু


২।

মেয়ে দেরি করে বাড়ি ফিরলো|

বাবা জিজ্ঞাসা করলো, ‘কোথায় ছিলে?’

মেয়ে বললো -বন্ধুর বাসায়।

বাবা মেয়ের সামনেই তার দশজন বন্ধুকে ফোন দিল।

> ৪ জন বললো - ও তো এখানেই ছিলো!
> ২ জন বললো - ওহ আংকেল.. ও তো এই মাত্র বের হয়ে গেল!
> ৩ জন বললো - ও তো আমার বাসায় পড়ছে। ওকে কি ফোনটা দিব?
> ১ জন তো পুরাই উড়াধূরা। সে বললো, ‘হ্যাঁ বাবা, বলো!’ 


৩।

এক চেইন স্মোকারকে একদিন ২টা সিগারেট একসাথে জ্বালাতে দেখে এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলো, ‘ভাই, শেষ খাওয়া খাচ্ছেন নাকি?’
লোকটি উত্তর দিল, ‘আমার বন্ধু মারা যাওয়ার আগে আমাকে বলে গিয়েছে- দোস্ত, যখনি বিড়ি খাবি, আমার নাম করেও একটা খাবি।’ এইজন্যেই ২টা খাচ্ছি।
এর কিছুদিন পর একদিন তাকে ১টি সিগারেট খেতে দেখে লোকটি আবার জিজ্ঞাসা করলো, ‘কী ভাই? বন্ধুর কথা ভুলে গেলেন নাকি?’
লোকটির উত্তর, ‘ভাই, আমি সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি। এখন শুধু বন্ধুরটা খাচ্ছি।’


৪।

একবার এক ছাত্রকে শিক্ষক প্রশ্ন করলেনঃ অ্যাম্বুলেন্স সাদা হয় কেন?

ছাত্রের উত্তরঃ
অ্যাম্বুলেন্সে অক্সিজেন সিলিন্ডার থাকে।
অক্সিজেন একটা গ্যাস। গ্যাস খাবার রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়। আর খাবার ভিটামিনের উৎস। আমরা সূর্য থেকে ভিটামিন D পাই। সূর্য আলো দেয়। আলো বাল্ব থেকে আসে।
ক্রিসমাস ট্রি-তে ছোটো বাল্ব লাগান হয়। ক্রিসমাস মানে গিফট। সান্তা ক্লস গিফট নিয়ে আসেন।
সান্তা দক্ষিণ মেরুতে থাকেন। ওইখানে মেরু ভাল্লুক থাকে।
মেরু ভাল্লুক সাদা।
এইজন্য অ্যাম্বুলেন্স সাদা!


৫।

এক লোক একটা অভিজাত রেস্টুরেন্টে ঢুকে দেখল তিনটা দরজাঃ

১ম দরজায় লিখা: চাইনিজ খাবার
২য় দরজায় লিখা: বাঙালি খাবার
৩য় দরজায় লিখা: ইংরেজ খাবার

লোকটি তার পছন্দ অনুযায়ী চাইনিজ খাবারের দরজায় ঢুকলে সেখানে আরো দুটি দরজা দেখতে পেলোঃ

১ম দরজায় লিখা: বাড়ি নিয়া খাইবেন
২য় দরজায় লিখা: হোটেলে খাইবেন

লোকটি হোটেলে খেতে চেয়েছিল, তাই ‘হোটেলে খাইবেন’ লেখা দরজায় ঢুকলে সেখানে আরো দুটি দরজা দেখতে পেলোঃ

১ম দরজায় লেখা: এসি
২য় দরজায় লেখা: নন এসি

লোকটি এসি রুমে খেতে চেয়েছিল, তাই সে এসি লেখা দরজাটায় ঢুকলে সেখানে আরো দুটি দরজা দেখতে পেলোঃ

১ম দরজায় লিখা: ক্যাশ খাইবেন
২য় দরজায় লিখা: বাকি খাইবেন

লোকটি ভাবলো, বাকি খেলেই ভালো হয়; তাই সে ‘বাকি খাবেন’ দরজাটা খুলে বেরোতেই সে নিজকে রাস্তার মধ্যে পেলো।



৬। রেলের এক লাইনম্যান বিয়ের রাতে তার বউয়ের কাছে তার ক্ষমতার বর্ণনা করছে : আমার অনেক ক্ষমতা। আমি খুলনার রেল রাজশাহীতে ঘুরাইয়া দিতে পারি। নববধু স্বামির এই ক্ষমতার কথা শুনে তো হাইলি ইম্প্রেস্ড। সে ভাবে গদ গদ হইয়া বললো, তাইলে একবার আমারে তোমার ক্ষমতা দেখাও। ‘তুমারে আইজক্যা সকালেই দেখামু।‘ লাইন ম্যান এ কথা বলে শুইয়া পড়লো।

সকালে উঠে বউকে নিয়ে সে তার কর্মস্থলে গেল। একটা রেল আসছিল। বউ সামান্য দূরে দাঁড়ানো। লাইনম্যান ঘ্যাচাং করে লাইন টেনে খুলনার রেলের গতিপথ রাজশাহীর দিকে ঘুরাইয়া দিল। অমনি ঐ রেল রেলগাড়ি ঝমঝম করতে করতে লাইনম্যানরে অতিক্রম করে সিরাজগঞ্জ পার হইয়া রাজশাহীর দিকে যেতে থাকলো। লাইন ম্যান নিজের কলার ঝাঁকি দিয়ে বউয়ের কাছে বাহাদুরি দেখাইলো – ‘দেখছাও, মুই কী হনুরে হইয়া গেছি?’ বউ তো স্বামীর এই বাহাদুরি দেইখ্যা আনন্দে গর্বে পাগল হইয়া গেল। ----- একটু দূরে যেয়ে রেল থামলো। রেল থেকে নেমে একজন লোক ক্রুদ্ধ পায়ে হেঁটে এসে লাইনম্যানের সামনে দাঁড়ালো – তারপর কইষ্যা তার দুই গালে চপাট চপাট করে কয়েক গাঁদা থাপ্পড় দিয়া মাটিতে ফালাইয়া দিয়া চইলা গেল। লাইন ম্যানের বউ তো ভ্যাবাচ্যাকা খাইয়া গেল ঘটনায় আকস্মিকতায়।
- এইটা কী হইল? তুমি না বললা, তোমার অনেক ক্ষমতা?
- হ্যাঁ, লাইনম্যান নির্বিকার ভাবে বলে, আমি আমার ক্ষমতা দেখাইছি, আর ঐ হালায় দেখাইছে ওর ক্ষমতা। ব্যস, শোধবোধ!

Power is understood, only when the power is misused. এরকম একটা কথা কোথাও শুনেছিলাম। এখন এটা গুগুলে সার্চ দিলাম, কিন্তু পেলাম না। যাই হোক, কোনো অভিজ্ঞ ব্যক্তি এ কথাটা বলে থাকবেন। আমরা বাস্তবেও তাই দেখছি। যার পাওয়ার আছে, কিন্তু ইউজ করছে না, তাকে আমরা মেরুদণ্ডহীন বলি। কারো পাওয়ার আছে কী নাই, এটা বুঝি তখনই, যখন তিনি এটা মিসইউস করেন। বস্তুত, প্রকৃত ক্ষমতাবান কখনো ক্ষমতা জাহির করেন না, তার ক্ষমতার একটা প্রভাব এমনিতেই চারদিকে বিরাজ করে। যাদের ক্ষমতার ভিত্তি দুর্বল বা একেবারে শূন্য, তারা খালি লাফায়, খালি লাফায় আর লাফাইতে লাফাইতে গলা, পা সবই ফাডাইয়া ফালায়। আপনার ক্ষমতার মূল উৎস আপনার সততা, ন্যায়নীতি ও শিক্ষা। যাদের এগুলো নাই, তাদের ক্ষমতাকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখাইয়া নিজ নিজ কর্মে নিমগ্ন থাকুন।



এটা কোনো জোক না, একটি আরবি প্রবাদঃ

“তর্কে জেতা বুদ্ধিমানের কাজ নয়, বরং বুদ্ধিমানের কাজ হল তর্কে না জড়ানো।”


৮।
এটা ভালোবাসা সংক্রান্ত বাণী : Love me little, but love me long. ক্লাস টেনে কোনো পত্রিকা কিংবা বাণী চিরন্তনী জাতীয় বই পড়ার সময় কোথাও পড়েছিলাম। কার কথা কারো জানা থাকলে জানালে খুশি হবো। এ লাইনটা থেকে আমার একটা কবিতার জন্ম হয়েছে, ‘তুমি ও প্রেম’ :

কিছু কিছু প্রেমকে খুব গভীর হতে দিতে নেই
দূর থেকে তোমাকে দেখবো
একটি রক্তজবাফুল শূন্যে
ভাসতে ভাসতে একদিগন্ত থেকে অন্য দিগন্তে
উড়ে যাচ্ছে। আহা, কত সুখ! কত সুখ!
বাস্তবিকই তুমি খুব সুন্দর

কিছু কিছু প্রেম কিছুদিন পর একঘেঁয়ে হয়ে যেতে পারে
তোমাকে আর সুন্দর মনে হবে না
আমার জন্য তোমার কোনো অপেক্ষার
প্রহর থাকবে না।
বাস্তবিকই আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি।
আমি জানি তুমিও আমাকে।
আমি তোমাকে স্বল্পকালের জন্য গভীর ভালোবাসতে চাই না
অল্প অল্প হলেও আজীবন
ভালোবাসতে চাই।

হঠাৎ হঠাৎ তুমি হারিয়ে যাও, তোমাকে কীভাবে খুঁজি
তা তুমি জানো কি? এমন করো না, আমিও
হারিয়ে যেতে ভালোবাসি কোনো পদচিহ্ন না রেখেই।

২ জানুয়ারি ২০১৭


৯। এটা একটা ইংরেজি গানের ভাবানুবাদ; ২০১৫ সালের একুশে বইমেলায় প্রকাশিত আমার ৩য় কবিতার বই ‘অসম্পর্কের ঋণ’ বইয়ে ‘উৎসর্গ’ হিসাবে সংযোজিত :

তুমি ছিলে সেই অমরাবতীর পাখি
যাহার লাগিয়া একটি জীবন নদী
তোমার অধরে তীব্র আলোর ক্ষুধা
নীরব দহনে দুঃখী বনস্পতি

ঘাসের শরীরে শিশিরের বেদনারা
চাঁদের আলোয় মৃত ওষ্ঠেরা কাঁদে
যে-ফুল ফুটিল শুধুই তোমার লাগি
ক্ষয় হলো সে-ই নিষ্ঠুর সম্পাতে


১০। জনৈকা সুন্দরী শিক্ষিকা ফারহানাভস্কি যথাসময়ে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে চাকুরিতে যোগ দিলেন। পড়াতে গিয়েই টের পেলেন, যুগের ছেলেরা পাল্টেছে, অতি স্মার্ট ডিজুস পোলাপান নিয়া ম্যাডামের বেকায়দা অবস্থা। প্রথম গ্রেডে সদ্য ভর্তি হওয়া রাজু তো বলেই বসলো, ম্যাডাম, আমি কোনো অবস্থাতেই প্রথম গ্রেডে পড়বো না। কারণ, প্রথম গ্রেডের সব পড়ালেখা আমি অনেক আগেই শেষ করে ফেলেছি। এমনকি আমার বড় বোন যে ৩য় গ্রেডে পড়ে, আমি ওর চেয়েও স্মার্ট। কাজেই মিনিমাম, আপনি আমাকে ৩য় গ্রেডে পড়ার সুযোগ করে দিন।
ম্যাডাম এই প্রগল্ভ ও পণ্ডিতন্মন্য ছাত্র রাজুকে নিয়ে জনাব প্রিন্সিপালের রুমে গেলেন। সব খুলে বললেন।
প্রিন্সিপাল স্যার রাজুকে বললেন, ঠিক আছে, আমি তোমাকে দুয়েকটা প্রশ্ন করবো, যদি তুমি ঠিক ঠিক উত্তর দিতে পারো, তবে তোমাকে উপরের ক্লাশে প্রমোশন দেয়া হবে।
প্রিন্সিপাল স্যার বললেন, আচ্ছা বলতো রাজু, ৩ গুন ৩ = কত?
রাজুর ঝটপট জবাব, স্যার , নয়।

আচ্ছা বলতো ৮ গুন ৮ সমান কত?
এবারও রাজুর জবাব- স্যার ৬৪।
প্রিন্সিপাল স্যার ম্যাডামকে বললেন, রাজুকে উপরের ক্লাসে প্রমোশন দেয়া যায়।

রূপবতী ম্যাডাম ফারহানাভস্কি মিলিতাপাভো এবার প্রিন্সিপাল স্যারকে বললেন, স্যার, আমারও কিছু প্রশ্ন ছিলো, যদি আপনি অনুমতি দেন, আমিও একটু ওর মেধা যাচাই করি।
প্রিন্সিপাল স্যার এবার মাথা নেড়ে সায় দিলেন।

ম্যাডাম, রাজুকে প্রথম প্রশ্ন করলেন-আচ্ছা রাজু বলতো, গাভীর চারটা আছে, কিন্ত আমার আছে দুটো। সে টা কী?
রাজু চুপচাপ চিন্তা করছে, আর মিটিমিটি হাসছে।
ম্যাডাম বললেন, লজ্জা পাবার দরকার নেই রাজু। তুমি সঠিক জবাব দিও।
রাজু বললো, ম্যাডাম, আপনি যা ভাবছিলেন তা না, এটা হলো-আপনার দুই পা।

ম্যাডাম এবার ২য় প্রশ্ন করলেন, আচ্ছা এবার বল তো, তোমার প্যান্টের ও জায়গায় আছে, আর আমার তা নেই, সেটা কী?
রাজু লাজে হাসে।
ম্যাডাম বলেন, লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই রাজু।
রাজু বলে, ম্যাডাম, এটা হলো, আমার প্যান্টের পকেট।

ম্যাডামের পরের প্রশ্ন : আচ্ছা, বলতো, এমন একটি শব্দ যা ইংরেজি লেটার C দিয়ে শুরু আর T দিয়ে শেষ। জিনিসটা গোলাকার, ডিলিশাস, ভেতরে ভেজা ভেজা, আর নরম, যা পেলে সবাই তৃপ্ত হয়।
প্রশ্ন শুনে প্রিন্সিপাল স্যারের চোখ বড় বড় হয়ে গেল। কী বলবেন ভেবে পাচ্ছেন না। চেহারা পুরো লাল হয়ে গেছে। জীবনে তো এই শব্দ কম ইউজ করা হয় নাই – । আজ এই ভরা সভায় রাজু ঐ শব্দটা বলে ফেললে কেলেঙ্কারির আর একশেষ থাকবে না।
রাজু বললো, ম্যাডাম, প্রিন্সিপাল স্যার যা ভেবে লজ্জা পাচ্ছেন, এটা তা না, শব্দটা হলো Cocunut.
প্রিন্সিপাল সাহেব হাফ ছেড়ে বাঁচতে যেয়েও রাজুর কথায় খুবই লজ্জিত, বিব্রত ও বিবাহিত হইয়া গেলেন। রাজু কি মাইন্ড-রিডার নাকি? ঐ বেটা পিচ্চি দেখি মনের কথাও ধরে ফেলতেছে। ভাগ্যিস, তিনি ফারহানাভস্কিকে নিয়া এতক্ষণ কিছু ভাবেন নাই, তাইলে হয়ত সে মুখের উপর এইটাও বলে দিত- স্যার, আপনি ম্যাডামের দিকে তাকাইয়া আছেন কেন?
ম্যাডামের পরের প্রশ্ন : আচ্ছা এবার বলোতো, যা খুব শক্ত হয়ে কারো ভিতরে ঢোকে, আর নরম, ভেজা, আঠালো হয়ে বের হয়ে আসে, সেটা কী?
ইশ্‌সিরে, খাইছে রে!! প্রিন্সিপাল ভাবলেন, এবার আর রক্ষা নাই। এইটা সেই জিনিস না হইয়া যায় না। খুকুর কুকুর কিছু কাশি দিয়া ম্যাডামের সামনে থেকে বাইরে যাওয়ার প্ল্যান করতে লাগলেন প্রিন্সিপাল। কিন্তু ততক্ষণে রাজু জবাব দিয়ে ফেলেছে, ম্যাডাম, এটা হলো বাবল গাম।
আহ! আবারো প্রিন্সিপাল হাফ ছেড়ে লম্বা শ্বাস নেয়। আজকে যে কী দেইক্ক্যা ঘুম ভাঙছিল, মনে করার চেষ্টা করতে লাগলেন প্রিন্সিপাল, কেন তাকে এত বড়ো বিপদে পড়তে হলো তাকে?

ম্যাডামঃ আচ্ছা এবার বলোতো, কোন শব্দ ইংরেজি F দিয়ে শুরু আর K দিয়ে শেষ। যে শব্দ শুনলেই শরীরে যথেষ্ট উত্তাপ আর উত্তেজনা শুরু হয়-
এ প্রশ্ন শুনে প্রিন্সপাল স্যারের আবারো লজ্জাকর অবস্থা। কিন্তু রাজুর উত্তর, ম্যাডাম, এটা হলো Fire Truck.

ম্যাডামঃ বলোতো কোন শব্দ ইংরেজি F দিয়ে শুরু আর K দিয়ে শেষ। যা মানুষ না পেলে হাত ব্যবহার করে।
প্রিন্সিপালের এবার মরার দশা হইল। কিন্তু এবারও প্রিন্সিপালকে অবাক ও আশ্বস্ত করে রাজু জবাব দিল-ম্যাডাম এটা হলো-Fork.

ম্যাডামঃ রাজু, বলতো সোনা, এ জিনিসটা কারো লম্বা, আবার কারো ছোট, একেক জনের একেক সাইজের হয়। বিয়ে করার পর জামাই আদর করে বউকে দিয়ে থাকে।
রাজুর জবাব –ম্যাডাম, এটা হলো ডাকনাম।

ম্যাডাম : রাজু বলতো এটা পুরুষের শরীরে কোন অংশ যেখানে কোনো হাড় নেই, তবে অনেক শিরা আছে, এক রকমের মাংসপিন্ডের সমষ্টি, উত্তেজনাকর অবস্থায় বেশী অনুভূত হয়। বিশেষ করে যা দিয়ে ভালোবাসাবাসি বোঝা যায়।

রাজুর জবাব, ম্যাডাম, এটা হলো হার্ট বা হৃদয়।

শোনার পর প্রিন্সিপাল স্যার যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। ম্যাডামকে বললেন ওকে অষ্টম গ্রেডেই প্রমোশন দেয়া হোক। কারণ শেষের কয়েকটি প্রশ্নের জবাব আমি নিজেই ভুল করেছি।



হ্যাপি জোকিং :)

সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:২১
১৩টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×