সুন্দরীরা কবিতা পড়েন না, কবিতা ভালোবাসেন না,
তাঁরা কবিতা লিখতেও জানেন না; তাঁরা ব্লগ বা ফেইসবুকে দু-চার পঙ্ক্তি
যাচ্ছেতাই ছেড়ে দিয়ে আড়ালে দাঁড়িয়ে দেখেন আর
হেসে কুটি-কুটি হোন- কীভাবে ঋষভেরা ঝাঁকে ঝাঁকে ছুটে এসে
ঝাঁপিয়ে পড়ে কে-কার আগে ‘অসাধারণ কবিতা ম্যাম, এমন
কবিতা এর আগে অন্য কোনো কবিই লিখতে পারেন নি’, ইত্যাকার
মন্তব্যমাল্য ছুঁড়ে দিয়ে দিগ্বিজয়ের হাসি হাসে।
তুমি বললে, ‘অত হিংসা করো না। সুন্দরীরাও কবিতা পড়েন;
শুধু পড়েনই না, লেখেনও অনবদ্য।’
যেদিন সুন্দরীরাও কবিতা লিখবেন, সেদিন গোলাপ ঝরে যাবে
সুন্দরীদের দুঃখে। রাজপথের পিচগলা বিষাক্ত ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়বে
সমগ্র নগরে। হায়, কী এমন দুঃখ পুণ্যবতী ললনাগণের, তাঁদেরও
কেন সোনার পালঙ্কে শুয়ে কবিতা লিখতে হলো?
হে সুন্দরী, প্রিয় উর্বশিনীগণ, তোমরা কবিতা লেখো না; তোমাদের পাষাণ হৃদয়ে
দুঃখ দেবে এমন সাধ্য কি বিধাতারও ছিল?
২৯ নভেম্বর ২০১২
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫