somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দিন-দুপুরে ভূতের কাহিনি || চুকদার বাড়ির দিঘি ও চৈতিবিবি

২০ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রচলিত লোককথা

সেবার ইদুল-ফিতরের ছুটিতে গ্রামের বাড়ি গেলাম। ইদের কয়েকদিন আগের কথা। কয়েকজন বন্ধুর সাথে ঘোরাঘুরি ও আড্ডা শেষে বাড়িতে পৌঁছুলাম রাত বারটার দিকে। এসে দেখি আমার মেয়ে ঐশী, ভাগ্নি পলী, ভাতিজা শাকিল ও ছোটো ভাইয়ের বউ লুৎফা একটা রুমে বাতি নিভিয়ে অন্ধকারে জড়ো হয়ে মোবাইলে রেকর্ড করা ভূত-এফএম-এর গল্প শুনছে। আমি ওদের সাথে যোগ দিই। কয়েক মিনিট শুনবার পর বলি, ‘চলো, আজ আমি নিজেই তোমাদেরকে ভূতের গল্প বলবো, যেগুলো আমার জীবনে ঘটেছিল।’ এ কথা বলতেই সবাই কলকলিয়ে লাফিয়ে উঠে আমার ঘরে চলে এলো। আমি এক-একটা গল্প বলি, ওরা ভয়ে একে অপরের সাথে আরো লেপ্টে বসে। ‘এগুলো কবে ঘটেছিল আপনার জীবনে? আপনি বেঁচে গেলেন কীভাবে?’ আমি বলি, ‘এগুলো আমার জীবনে ঘটে নি, এগুলো হলো একেকটা বানানো গল্প।’ ওরা অবাক হয়ে বলে, ‘ইয়া আল্লাহ, আপনি এত্ত ভূতের গল্প বানাতে পারেন!’ এরপর আমার ঘরে ভূতের গল্প বলার জমজমাট আড্ডা শুরু হলো। পলী, ঐশী এবং লুৎফা একটার পর একটা গল্প বলছে, সবাই শুনছে মুগ্ধ হয়ে। এমন সময়ে ভাতিজা শাকিল ফ্লোর নিয়ে বললো, ‘আমিও একটা ভূতের গল্প বলবো।’
‘বলো, বলো।’
ভাতিজা খুব উৎসাহ নিয়ে বলতে লাগলো, ‘একদিন আমরা তিন বন্ধু গভীর রাতে মেলা থেকে ফিরছিলাম। দোহারপুরীর কুমার বাড়ি ও চোরামন সাধুর বাড়ির ঘন জঙ্গলের ভিতর দিয়ে আসলাম। কিন্তু আমরা কোনো ভূত দেখি নাই।’ ক্লাস নাইনে পড়ুয়া ভাতিজার ভূতের গল্প শুনে হাসতে হাসতে আমাদের দম ফাটার অবস্থা হলো।

২০০৫ বা ২০০৬ সালের দিকে আমার বাবার কাছে একটা অলৌকিক ঘটনার কথা শুনে তার উপর ভিত্তি করে ‘চৈতিবিবির দিঘি’ নামে একটা গল্প লিখেছিলাম এ গল্পের ভেতরে 'চৈতিবিবির গল্প'টি আছে। আলাদা একটা পোস্টও দেয়া হয়েছিল, যা এখন খুঁজে পেলাম না। গল্পটি লিখবার পর মনে হয়েছিল বাবা গল্পটি ঠিক এভাবে বলেন নি; কিন্তু কীভাবে বলেছিলেন তাও মনে করতে পারছিলাম না। ভূতের আড্ডা যেদিন বসলো, তার ক’দিন পর বাবার কাছ থেকে সেই পুরোনো গল্পটি পুনর্বার শুনলাম।
এ গল্পটি আমার বাবা ছোটোবেলায় তাঁর বাবার কাছে শুনেছিলেন; তাঁর বাবা (আমার দাদা) তাঁর ছোটোবেলায় তাঁর দাদার কাছে শুনেছিলেন, যিনি তাঁদের ছোটোবেলায় তাঁদের দাদাদের কাছে এটি শুনেছিলেন বলে জানা যায়। আদতে এটি কবে ঘটেছিল তার কোনো সঠিক হিসাব কারো কাছে নেই।

আমাদের গ্রামের পশ্চিমে গাজীরটেক, তারও পশ্চিমে গভীর বনজঙ্গলে ছাওয়া দোহারপুরী। দোহারপুরীর রাহীম চুকদার একবার একটা বিশাল দিঘি খনন করেছিলেন। আশ্বিনে বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার পর দিঘি খনন শুরু হয়; প্রতিদিন শত শত কোদালি উদয়াস্ত মাটি কেটে সেই দিঘি খনন করতে লাগলো। দিঘির তলদেশ গভীর থেকে গভীরতর হতে থাকে। কিন্তু আশ্চর্য, দিঘির তলায় কোনো পানির আভাস নেই। এখানে-সেখানে অল্প কয়েক হাত কূয়া খনন করলেই ডগডগিয়ে পানি উঠতে থাকে, অথচ রাহীম চুকদারের দিঘির তলদেশ যেন শুকিয়ে কাঠ হয়ে আছে। তিনি খুব চিন্তিত হলেন। রহস্য কী? এ কোনো গভীর বিপদের আলামত নয় তো! একদিন রাতে তিনি স্বপ্ন দেখলেন- তাঁর একমাত্র পুত্রবধূ ধান-দূর্বা দিয়ে দিঘিতে সাত পাঁক ঘুরে বর দান করলেই পাতাল থেকে পানি উঠে দিঘি ভরে যাবে। স্বপ্নের কথা শুনে পুত্রবধূ বর দানে রাজি হলো।

একদিন নিরালা দুপুরে পুত্রবধূ ধান ও দূর্বার বর নিয়ে শুকনো দিঘিতে নামলো। দিঘির চারকোনায় ঘুরে সাত পাঁক পুরো করতেই প্রবল বেগে পাতাল থেকে পানি উঠতে থাকলো, এবং চোখের পলকে সুবিশাল দিঘি কানায় কানায় ভরে উঠলো। কিন্তু হায়, পুত্রবধূ দিঘির গভীর তলদেশে হারিয়ে গেলো।
পুত্রবধূর একটা দেড় বছরের পুত্রসন্তান ছিল। একদিন বাড়ির এক ভৃত্য দুপুরবেলায় দিঘির পাড়ে এসেই চমকে উঠলো- দিঘির পানিতে পা ডুবিয়ে পাড়ে বসে পুত্রকে দুধ খাওয়াচ্ছে পানিতে ডুবে যাওয়া পুত্রবধূ। হায় হায় রব ছড়িয়ে পড়লো চারদিকে। এবং কিছুদিন পর পরই অনেকের চোখে এ দৃশ্য ধরা পড়তে থাকলো। এমনই একদিন দুধ খাওয়ানোর সময় রাহীম চুকদারের ছেলে তার স্ত্রীকে দেখে সবেগে বুকে জড়িয়ে ধরে। স্ত্রীকে সে কিছুতেই যেতে দেবে না। কিন্তু তার ফিরে না গিয়ে উপায় নেই। তার ‘মহাজন' তাকে দূর থেকে সর্বদা নিয়ন্ত্রণ করছে। এক সময় জোরজবরদস্তি করে স্ত্রী তার স্বামীর কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে পানিতে ডুব দিল। এরপর আর কোনোদিন তাকে দেখা যায় নি।


***

এবার আমার গল্পটি দেখুন নীচে। এটি আমার লৌকিক রহস্য; অথবা অলৌকিক উপন্যাসের অংশবিশেষ; সেই দীর্ঘ অংশটি কেউ পড়তে চাইলে কুটিমিয়ার যাত্রাদর্শন লিংকটি ওপেন করুন।


চৈতিবিবির দিঘি

দু গাঁয়ের মাঝখানে আধমাইল দীর্ঘ চক। চক পার হয়ে গ্রামের শুরুতে রাস্তার উত্তর ধারে প্রকাণ্ড এক বটগাছ– অসংখ্য শেকড়-বাকড় আর নোয়ানো শাখা-প্রশাখায় ঢাকা তলাভূমি তার উত্তরে বহুদূর অব্দি বিস্তৃত, তারও উত্তরে যে বিশাল ও গভীর এক দিঘি, তার নাম চৈতিবিবির দিঘি।
বটগাছটি দিনের বেলায় রাখাল ছেলেদের, ক্লান্ত কৃষকগণের ও শ্রান্ত পথিকদের মনোরম বিশ্রামস্থল। রাত্রিবেলায় দূর থেকে আবছা অন্ধকারে এটিকে আকাশছোঁয়া এক পাহাড়ের মতো মনে হয়– বুকের ভিতর কেমন এক ভয় জাগে। তাই সাঁঝের পর সচরাচর এ গাছের নীচ দিয়ে কেউ হাঁটে না।
রাত-বিরাতে এ বটগাছের কাছে আসতেই গা ছমছম করে ওঠে। রাতের বটগাছকে তো মানুষ এমনিতেই ভয় পায়– কিন্তু এ গাছটিকে ভয় পাবার পেছনে গভীর রহস্য আছে। এ গাছের কাছে আসলেই বহু যুগ ধরে শুনে আসা এক ভয়ঙ্কর কাহিনি সবার মনে পড়ে যায়।
চৈতিবিবির দিঘির পাড়ে এ বটগাছটা দাঁড়িয়ে, এজন্য মানুষের মুখে মুখে ফিরতে ফিরতে এর নাম চৈতিবিবির বটগাছ হয়ে গেছে। এর পশ্চিমে জঙ্গল-ছাওয়া যে বিশাল পোড়ো ভিটেটি রয়েছে, ওটি বহু যুগ আগে এক জমিদার বাড়ি ছিল।
প্রায় একশত বছর আগে জমিদার হারান শেখ এই দিঘি খনন করেছিলেন। প্রতিদিন ১০০ জন করে কামলা মাটি কাটতো এই দিঘিতে, পুরো ১০০ দিন একটানা মাটি কাটার পর এতই গহিন ও বিশাল হয় এই দিঘি যে এর পাড়ে এসে দাঁড়ালে ভয়ে বুক কেঁপে উঠতো।
এই দিঘির একটি মাত্র শান-বাঁধানো ঘাট ছিল। সেই ঘাটে সখীগণকে নিয়ে গোসল করার অধিকার ছিল মাত্র একজনের- সে হলো জমিদারের পুত্রবধূ চৈতিবিবি।
জমিদারের একমাত্র পুত্র মরন শেখের তিনটি বিয়ে দেয়া হয়েছিল, কিন্তু কারো গর্ভেই কোনো সন্তানাদি জন্মালো না। বংশ রক্ষার্থে অগত্যা জমিদারপুত্রের চতুর্থ বিয়ে দেয়া হয় চৈতিবিবির সাথে এবং আল্লাহ্‌র অসীম ফজিলতে বিয়ের প্রথম রাতেই চৈতিবিবি গর্ভবতী হয়। এই শুভ সংবাদে অত্যন্ত সন্তুষ্ট হয়ে জমিদার মহোদয় মহা ধুমধামে সাত গ্রামের মানুষজনকে দাওয়াত করে খাওয়ান।
চৈতিবিবির একটি লুলা পুত্রসন্তান হয়। জমিদার পরিবারে দুঃখের অন্ত থাকে না, তাঁদের দুঃখের সাথে গ্রামবাসীরাও কেঁদে আকুল হয়- বিধাতার কী নিষ্ঠুর রহস্য!
দিনে দিনে লুলা পুত্র বড় হতে থাকে। টেনে টেনে হামাগুড়ি দেয়- তা দেখে চৈতিবিবি অঝোর ধারায় চোখের পানি ফেলে। আস্তে আস্তে আরো বড় হয়- ভাঙ্গা পায়ে অতি কষ্টে লুলা ছেলে হাঁটে।
একদিন ভরদুপুরে দিঘির ঘাটে চৈতিবিবির লাশ ভাসতে দেখা গেলো। সারা গাঁয়ে কান্নার রোল উঠলো। সেই কান্না থামে না।
এরপর বহু আশ্চর্য ঘটনা ঘটতে লাগলো। প্রায় দুপুরেই দেখা যায় লুলা শিশুটি পাকা ঘাটের কিনারে বসে পা দুলিয়ে খিলখিল করে হাসছে– একদম একাকী। কেউ তাকে ওখানে নিয়ে যায়, নাকি সে একা একা যায়, কেউ তা জানে না, বুঝতেও পারে না।
দুপুরে ঘাটে পানি আনতে গিয়ে জমিদার বাড়ির এক চাকরানি একদিন ‘ও-মাগো’ বলে চিৎকার দিয়ে জ্ঞান হারালো। জ্ঞান ফিরলে সে জানালো, সে নাকি ঘাটের কিনারে চৈতিবিবিকে লুলাকে কোলে নিয়ে বসে থাকতে দেখেছে। খুশিতে ডগমগ লুলা পা দুলিয়ে মায়ের বুকে দুধ খাচ্ছিল আর মাঝে মাঝেই খিলখিল করে হেসে উঠছিল।
এটা তার দেখার ভুল। চৈতিবিবি মারা গেছে মাস ছয়েক আগে- সে কোথা থেকে আসবে?
এরূপ আরো অনেকে চৈতিবিবিকে দেখতে লাগলো, সে সাঁতার কেটে দিঘির এ পাড় থেকে ও পাড়ে যায়, মাঝখানে চিৎ হয়ে ভেসে থাকে। ঘাটে বসে লুলাকে গোসল করায়। এসব কথা জমিদারের কানে যায়, কিন্তু তিনি তা শুনে বিরক্ত হোন- এ কখনো হয়? শেরেকি কথা। অবশ্য এ-ও তিনি ভাবেন– চৈতিবিবিকে গাঁয়ের মানুষ খুব ভালোবাসতো, তার অস্বাভাবিক মৃত্যু তার প্রতি মানুষের সহানুভূতি আরো বাড়িয়ে দিয়েছে, দিঘির কাছে এলেই চৈতিবিবির কথা তাদের খুব করে মনে পড়ে যায়, ফলে দৃষ্টিভ্রম হয়। জমিদার অবশ্য এ-ও জানেন, তিনি তাঁর এই পুত্রবধূটিকে অসম্ভব ভালোবাসতেন এই কথাটি সবারই জানা, চৈতিবিবির কথা পেড়ে জমিদার মহোদয়ের সুনজর পাওয়ারও একটা প্রয়াস থাকতে পারে।
এর মাস খানেক পরই অত্যাশ্চর্য ঘটনাটি ঘটলো। জমিদার মহোদয় দুপুরে পুকুরের পাড়ে বটের ছায়ায় হাঁটাহাঁটি করছিলেন। হঠাৎ তাঁর কানে এক শিশুর খিলখিল হাসির শব্দ ভেসে আসে। উৎসুক হয়ে সামনে এগিয়ে যান- ঘাটের পাড়ে দাঁড়াতেই তিনি বিস্ময়ে রুদ্ধবাক হয়ে যান– তাঁর দু চোখ বিশাল বিস্ফারিত হয়ে ঘাটের কিনারে স্থির হয়– বেণি খোলা, এলোচুল তার, পানিতে অর্ধনিমজ্জিত দুই পা, কোলের ওপর লুলাকে বসিয়ে স্তন্যপান করাচ্ছে চৈতিবিবি, ঘাড়খানি বাম দিকে ঘোরানো, তার ভীষণ হাস্যোজ্জ্বল মুখটি ঈষৎ দেখা যায়, মাঝে মাঝে লুলার গালে সে টুসি মারে, খিলখিল হাসিতে সে ফেটে পড়ে- এ কী অবিশ্বাস্য দৃশ্য দেখতে পাচ্ছেন জমিদার মহোদয়! অবিশ্বাস্য! অবিশ্বাস্য!
বউমা!
ঘোরের মধ্যেই তিনি অস্ফুট স্বরে ডেকে উঠলেন। আর সঙ্গে সঙ্গে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকায় চৈতিবিবি, তার হাসিমুখ স্তিমিত হয়, সন্তর্পণে লুলাকে কোল হতে নামিয়ে পাথরের সিঁড়িতে তাকে বসায়, তারপর ধীরে ধীরে সাঁতরে দিঘির মাঝখানে চলে যায়– জমিদার এক দৃষ্টিতে কিংকর্তব্যবিমূঢ়ের মতো তাকিয়ে থাকেন– চেয়ে চেয়ে দেখেন, দিঘির মাঝখানে গিয়ে চৈতিবিবি থামলো, আবার তার দিকে ফিরে তাকালো, তারপর টুপ করে একটা ডুব দিল, মাথার চুল পানিতে ভেসে থাকতে দেখা গেলো কিছুক্ষণ, শাড়ির আঁচলখানিও আরো কিছুক্ষণ দেখা গেলো, তারপর আর কিছুই দেখা গেলো না।
জমিদারের ঘোর কাটে, কিন্তু তাঁর হতবিহ্‌বল কণ্ঠে বাক ফোটে না। এ কী অবিশ্বাস্য ঘটনা! তিনি দৌড়ে সিঁড়ি বেয়ে নীচে নেমে আসেন। মায়ের জায়গায় বসে লুলা মায়ের চলে যাওয়ার পথের দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে। জমিদার তাকে কোলে তুলে নেন, হন্তদন্ত হয়ে ঘরে ফিরে আসেন, কিন্তু কাউকে কিছুই খুলে বলেন না। এ ছেলে কীভাবে দিঘির ঘাটে যায়? সারা বাড়ি ভর্তি কত মানুষজন, এ ছেলে কখন কীভাবে পানির এত কাছে গিয়ে বসে? কেউ কি দেখে না? তিনি আশ্চর্য হয়ে ভাবেন, আর এক নিদারুণ ভয়ে তাঁর বুক কেঁপে উঠতে থাকে।
এ ঘটনার পর জমিদার হারান শেখ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাকরুদ্ধই ছিলেন। তাঁর মুখে যেমন ভাষা ফোটে নি, চৈতিবিবিকেও আর কোনোদিন ঘাটে বসে লুলাকে দুধ খাওয়াতে দেখা যায় নি।
কিন্তু চৈতিবিবিকে দেখার বাসনা মানুষের তীব্র হতে থাকে। তারা ভিড় করে দিঘির পাড়ে এসে বসতো, ঝিম দাঁড়িয়ে থাকতো। অনেক দূরের মানুষও অনেক সময় এসে পাড়ে দাঁড়িয়ে একধ্যানে অপেক্ষা করতো, যদিই বা চৈতিবিবিকে একবারের জন্য দেখতে পায়।
চৈতিবিবিকে দেখার বাসনা আর কখনোই মানুষের পূরণ হলো না এবং কালক্রমে মানুষের মুখে মুখে ফিরতে ফিরতে এক সময় দিঘির নামটি হয়ে যায় চৈতিবিবির দিঘি। দিঘির পাড়ের বটগাছটির বয়স দিঘির বয়সের চেয়ে বছর কুড়ি কমই হবে এবং এটাকেও মানুষ একদা চৈতিবিবির বটগাছ নামে ডাকতে থাকে।

২০০৫/২০০৬
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৫৭
৮টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ: রহস্যময় চৌধুরী ভিলা

লিখেছেন গ্রু, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৩৩



পরদিন সকালে আকাশ পরিষ্কার। গতরাতের বৃষ্টির কোনো চিহ্ন নেই, শুধু রাস্তার ধারের গাছগুলো থেকে টুপটাপ জল পড়ছে। অনিরুদ্ধ তার জীর্ণ নীল রঙের পাঞ্জাবিটা পরে তৈরি হয়ে নিল। সে সাধারণত রিকশায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামপন্থী রাজনীতির বয়ান এবং জামাতের গাজওয়াতুল হিন্দ-এর প্রস্তুতি

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২০


গোরা উপন্যাসে রবীন্দ্রনাথ নিজে ব্রাহ্ম হয়েও, ব্রাহ্ম সমাজের আদর্শের বিপরীতে "গোরা" নামে একটি চরিত্র তৈরি করেন। গোরা খুব কট্টরপন্থী হিন্দু যুবক। হিন্দু পরিচয়ে বড় হলেও, আসলে সে আইরিশ দম্পতির... ...বাকিটুকু পড়ুন

I have a plan

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:২২

আসেন নেতা পা বাড়ান সামনে এগিয়ে চলেন
প্ল্যান টা কী বলেন।

সামনে আজাদ পেছনে দিল্লি কোন দিকে যাই বলেন
প্ল্যান টা কী বলেন।

যে দিকেই যাই ৩৬ যাবে? সেইটা ক্লিয়ার করেন
প্ল্যান... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫ আগস্টের পর তো কিছুই বদলায়নি

লিখেছেন মুনতাসির, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৯

অনেকেই বলেন, ৫ আগস্টের পর তো কিছুই বদলায়নি। এই কথাটার সূত্র ধরেই এগোনো যায়। ৫ আগস্টের পর আমাদের কোন কোন পরিবর্তন এসেছে, সেটাই আগে দেখা দরকার। হিসাব করে দেখলাম, বলার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আদর্শের রাজনীতি না কোটি টাকার হাতছানি...

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:২৫



১. আমি অনেক আগে ব্লগে লিখেছিলাম, বাংলাদেশে ছোট দলগুলো নিষিদ্ধ করা উচিত। উন্নত দেশের মত ২/৩ টিতে থাকাই উত্তম। কারণ, ছোট দলের নেতাদের টকশো-তে গলাবাজি করা ছাড়া আর কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×