১
আর কোনোদিন নাম বলো নি
পাখি
আর কোনোদিন গান করো নি
নদী
আর কোনোদিন হাত ধরো নি
রাখি
আর কোনোদিন চোখ রাখো নি
দূরে
আমরা দুজন এক আকাশে
উড়ি
আমরা দুজন এক ঘরেই
থাকি
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৪
২
কে
অন্ধকারে ধরেছিল সাপ
সে
খুন করে, করে না সে পাপ
১৭ মার্চ ২০১১
অমৃতদায়িনী
স্ত্রীরূপে করেছো সংসারী, প্রেমিকারূপে কবি
সংসার আর প্রেমের মাঝারে তুমি মনোজ্ঞ ছবি।
মার্চ ২০০৭
খুন ও খুনি
ফাঁসির কাষ্ঠে কে ঝোলায় আসামিকে?
জল্লাদ
কে তবে খুনি, জল্লাদ, নাকি জজ?
অপরাধ
১৭ মার্চ ২০১১
কালপাখি
হাতের মুঠোয় আগুনশরীর
জিঘাংসা দুই চোখে
এবার আমার দাঁড়াও তো সম্মুখে!
কালপাখি এক চটুল চড়ুই
বিষম ছুটোছুটি
তোমার-আমার সব কেড়ে খায়
ক্ষয় করে চোখ দুটি।
২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৮
সে
তার নামডাক খুব শুনি, কখনো দেখি নি
মাঝে মাঝেই অচেনা মনে হয়,
অথচ সতত তাকে চিনি
বেলা-অবেলায় ডাক সে পাঠায় দূরে বসে
এমন নিষ্ঠুর বন্ধু সে
১৫ মে ২০০৯
অনাদি যুগের কথা
তোমার শরীরের ঘ্রাণে ঘুম ভাঙে প্রাত্যহিক অভ্যাসের মতো
ঘুম ভেঙেও তোমার অফুরন্ত সুঘ্রাণ–
স্থির নৈঃশব্দ্যে ফুরিয়ে যেতে থাকে অতি দ্রুত
ধাবমান স্বপ্নের ভেতর ততোধিক দ্রুত তুমিও বিলীয়মান।
৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯
একদিন কী হলো
একদিন কী হলো, দুঃখবতীর নামটি হলো সুখস্বিনী,
সুখবতীর নামটি ছিল হাসনাহেনা;
হঠাৎ দেখি হাসনাহেনায় গরলনদী,
তুফানদিনে তুমুল সুবাস আর বহে না।
তোমরা বলো ঐ মেয়েটি বিষবিছুটি,
যেমনতরো পাড়ার ছিনাল...
কেমন করে বোঝাই বলো, তার সকাশে জিয়নকাঠি,
তার সকাশে আমার ত্রিকাল!
১৬ এপ্রিল ২০০৯
সন্ন্যাসী
একদিগন্ত ঝড় মুঠোয় পুরে ছুটছে সন্ন্যাসী
সম্মুখে অগৃহের বিভা, পেছনে শূন্য ছায়া
ভুলেছে সঙ্গমের স্বাদ, অস্তিত্বের মায়া, বুকে তার
উথালপাথাল সাগরের ঢেউরাশি
ছুটছে রাশভারী, অকাতর সন্ন্যাসী
৮ জানুয়ারি ২০১০
অসাধারণ মেয়ে!
(যে যা ভাবে বলুক, বরুণাও বলবে?
কিন্তু বললো; আর সবার মতোই)
এই শহরে একটি ভীষণ মিষ্টি পাখি থাকে
সবার থেকে আলাদা সে ভিন্ন সুরে ডাকে
হঠাৎ দেখি এখন
অসাধারণ সেই পাখিটা বড্ড সাধারণ
একটু যদি ভিন্ন হতে আর সবাকার চেয়ে
তুমিই হতে এই শহরের অসাধারণ মেয়ে
১২ জানুয়ারি ২০০৯
এই শ্রাবণে
এই শ্রাবণে চলে গেছ
ভাদ্রের বাতাসে বারুদের বীজ বুনে
তুমি আসবে না, সমুদ্রপাখিরা জানে
নিভৃতে নিরন্তর ছাই হয়ে যাই তোমার আগুনে
১৫ আগস্ট ২০০৯
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:২৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



