তারাদের কথা
রাত নেই দিন নেই
ওরা শুধু ছুটছে তো ছুটছেই
আকাশের অসীমে
জ্বালা নেই ক্ষুধা নেই
ঘুম নেই
নেই কাজ
অবিরাম বেঁচে থাকে
কার যেন মহিমে
৫ অক্টোবর ২০০৯
বিষঠোকরা
তুই আমারে মাঝে মাঝেই ভুলে যাস,
তাই না?
আমিও তোরে ছেড়ে যেতে পারি,
কিন্তু যাই না।
শুনে রাখ্ তুই আফরিনা, আমার জীবন
এমনই কেটে যাবে;
তাই কারো লাগি আর কাঁদি না।
সব শেষে অনুরোধ করি,
হঠাৎ হঠাৎ উদয় হয়ে
কাঁচা ঘায়ে প্লিজ ঠোকরাবি না
২০ নভেম্বর ২০০৮
চোখের ভেতরের চোখে; প্রেম
নদীর চোখের মতো ডুবে আছে
সূক্ষ্ম প্রেমের মতো চোখ
কী দেখে চোখের ভেতরের চোখ,
দূরের ভবিষ্যতে?
আমাকে কে আর দেবে
অপ্রেমের অসুখের মতো লোভনীয় সুখ?
সবটুকু তোমার পিছু পিছু চলে গেছে
সোনার কদমফেলা পথে।
৫ ডিসেম্বর ২০০৮
যারা ভুলে যায়
সে আমারে ভুলে গিয়ে বেমালুম ভুলে থাকে
সে আমারে ভুলে গেছে
প্রতিদিন পথে ও উঠোনে পথিক আর স্বজনের
চোখ দেখি খেয়ালে-অখেয়ালে
যারা ভুলে যায় তারা সত্যিই ভুলে থাকে
তারা সব ভুলে গেছে
১৫ জুলাই ২০০৯
এক নিরুদ্দিষ্ট নদীর সঙ্গে
এক নিরুদ্দিষ্ট নদী নিরন্তর ধেয়ে যায়–
গর্ভে তার সকরুণ সুবর্ণ ইতিহাস
‘আমারে নিয়ে যাও নদী’–বেভুলে শুধাই
মেলে তার দিঘল দু বাহু, নদী হেসে বলে – এসো
ধাবমান স্রোতসঙ্গে ভেসে যায় নদী;
নদী মোর সকলি নিয়েছে, নেয় নি আমারে।
২৯ আগস্ট ২০০৯
বিদিশা
আমার তিনভাগ জল।
দিয়েছ সহায় অতিক্ষুদ্র এককণা স্থল।
আমি জানি না সন্তরণ;
অথচ আমায় দিয়েছ দুর্বহ এক জীবন।
কতদূর! আর কতদূর তোমার পথের প্রান্ত? কতদূর
সন্তরণহীন ভেসে যাব তোমার সমুদ্দুর?
৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯
আমার বড়ো হওয়া
আমি আজও বড় হতে পারি নি
পেটের ভেতর তীব্র চারাগাছ শুষে খায় বয়সের খির।
বাবার লাঙুলে হাতে ঝরে পড়ে অশীতিপর আঙুল।
ঢেঁকি ও চালুনিতে এখনো যৌবনকাল বৃদ্ধা জননীর;
আমার নাবালেগ বয়স দ্বাদশে স্থির।
আমি বড়ো হতে পারি না।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯
আমৃত্যু প্রেমিকা
সে আমায় প্রেম সাধে, গ্রহণ করে না
অমৃত দহনে জীবন জড়িয়ে রাখে, ভুলে যায় সংসার
অতলান্ত আধারে ভবিষ্যত ছুঁড়ে ফেলে
অনিকেত পাথারে সে নৌকো ভাসায়
অদৃশ্য শেকলে আমার নোঙর বেঁধে রাখে রাঙা চরণে তার।
সে আমার সন্ততির মা, আমার আমৃত্যু প্র্রেমিকা, সমগ্র সত্তার।
১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:২৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



