মালালা ইউসুফজাই। ১৪ বছরের কিশোরী। ২ বছর আগে তালিবান কর্তৃক তার জন্মস্থান পাকিস্তানের ওয়াজিরিস্তানে মেয়েদের স্কুল বন্ধের প্রতিবাদে ব্লগে লিখে নিজ দেশে ও বিদেশে পরিচিতি পায়। এই অপরাধে গতকাল স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময় তালিবান পিশাচরা তাকে গুলি করে মৃত ভেবে চলে যায়। মাথায় ও গলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মালালা এখন মৃত্যুর সাথে পান্জা লড়ছে।
তালিবান - এরা না মানুষ , না মুসলমান। এরা পশু , মুসলমান নামের কলঙ্ক। ইসলামের মূল কোরানের কোথাও নারীশিক্ষা নিষিদ্ধের কথা বলা নেই। নিরপরাধ একটি মেয়েকে লক্ষ্য করে গুলি করতে এই পিশাচদের হাত কি একটুও কাপলোনা? এদের ঘরে কি মা , বোন , কন্যা নেই? এরা রক্ত পিপাসু হায়েনা।
আশা করেছিলাম সারা বিশ্বের মুসলমানরা এর বিরুদ্ধে রাস্তায় নামবে , প্রতিবাদ করবে। কিন্তু হতাশ হলাম। এরা কেমন মুসলমান? জীবিত মানুষের থেকে কাগজে লেখা কোরান , মৃত মানুষের সম্মান এদের কাছে প্রিয়। অথচ কোরানের বাণী , কোরানের শিক্ষা - একজন নিরপরাধ মানুষ মারা , সমগ্র মানব জাতিকে মারার সমান , সেদিকে এদের ভ্রুক্ষেপ নেই। ইসলাম অর্থ শান্তি। আজ মুসলিম বিশ্বের যেদিকেই তাকাই , শুধু অশান্তিই চোখে পড়ে। সময় এসেছে আত্মসমালোচনার। সময় এসেছে কোরানের আলোকে নিজেদের শুধরানোর। কতকাল আর আমেরিকা ও পশ্চিমকে দূষব?
আছে কি সাচ্চা মুসলমান , যারা এই হায়েনা পশুদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবে , ইসলামের নামকে কলঙ্ক মুক্ত করবে? আমার সামর্থ্য অনুযায়ী অন্তত ব্লগে লিখে এর প্রতিবাদ জানালাম।