তিউনেসিয়ার মোল্লা শেখ দুখানি বড়ই পেরেশানিতে আছেন। তিনি ভাবছেন আর ভাবছেন , কিন্তু কোন সমাধান পাচ্ছেন না। শয়তানতো সব ধর্মের লোককেই আল্লাহর রাস্তা থেকে ভুলিয়ে বিপথে নিয়ে গেছে। বাকি রয়েছি কেবল আমরা মুসলমানরা। ৭ম শতাব্দির শুরুতে মুহম্মদের উপর কোরান নাযিলের পর থেকে শয়তান নিশ্চয় বসে নেই। তিনি ভাবছেন কি ভালই না হোত যদি আগেভাগেই শয়তানের চক্রান্ত জেনে নিতে পারতাম , তাহলে শয়তান যত চেষ্টাই করুক না কেন আমাকে আর ভুলাতে পারতনা।
শয়তানের চক্রান্ত ও তার কাজের ধারা , শয়তানের চেয়ে আর কে ভাল জানবে? কিন্তু সমস্যা হইল শয়তানের দেখা কিভাবে পাবেন? শয়তান তো আর বোকা না যে আইসা তার পরিকল্পনা বাৎলে দেবে!! তখন ভাবলেন , আচ্ছা আমি যদি শয়তান হতাম তাহলে কি করতাম? যে ভাবা সেই কাজ....
আমি যদি শয়তান হতাম , তাহলে মানুষকে আল্লাহর রাস্তা থেকে বিপথে নেয়ার মিশনে অটল থাকতাম। মুহাম্মদ তো আর প্রথম নবী না , তার আগে যত নবী রসূল এসেছে এবং তাদের সকলের অনুসারীদের যেভাবে বিপথে নিয়েছি , সেভাবেই মুসলমানদের বিপথে নিব। এ আর এমনকি কঠিন। তাছাড়া সকল মানুষকে বিপথে নেয়াই আমার মিশন এবং এটা করার কথাই আমি আল্লাহকে গর্বভরে বলেছি। ইতিমধ্যে বিশ্বাসীদের উদ্বুদ্ধ করেছি যীশুকে শূলে চড়াতে।
মুহাম্মদ কোরান নামের একটা বই আবৃত্তি ও প্রচার করেছে মাত্র। যে বইয়ে মানুষকে সবর করতে , আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো বানীর অনুসরন না করতে , নবী রসূলদের মাঝে পার্থক্য না করতে বলা হয়েছে। সুতরাং আমার প্রথম কাজ হলো মুসলমানদের এই কোরান থেকে দুরে সরিয়ে নেয়া বা তারা যেন কোরানকে আমলে না নেয় সে ব্যাবস্থা করা। এর জন্য আমার দরকার অনেকগুলো বই।
সমস্যা নেই। নবীর নিজস্ব কথা , তার চালচলন ও তার স্বভাব চরিত্র নিয়ে কিছু গুজব মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিলাম। ইসলামি রাজত্বের প্রসার ও সময়ের সাথে সাথে এই সকল গুজব নিজেই ডালপালা ছড়িয়ে চারিদিকে বহুগুনে প্রসার লাভ করল। নবীর মৃত্যুর ৩০০ বছর পরে দুই ইডিয়টকে ঐশী দায়িত্ব দিলাম তখনকার দিনে প্রচলিত অগুনতি হাদিস থেকে সহীহ হাদিস খুজে বের করে বই লিখতে। ঠগ বাছতে কম্বল উজাড় করার মতো করে ১০ লক্ষ হাদিস থেকে যাচাই বাছাই করে প্রায় ৭ হাজার হাদিস সংকলন করে একজন লিখলেন সহীহ বুখারি এবং আরেকজন প্রায় একিভাবে লিখলেন সহীহ মুসলিম। এদের দেখাদেখি আরো চার জন লিখলেন আরো চারটি সহীহ বই। এখন পবিত্র কোরানের পাশাপাশি মুসলমানরা আরো ৬টি পবিত্র গ্রন্থ পেয়ে গেল।