১
আমার খুবই প্রিয় বন্ধু তুহিন ক্লাস এইটের পর ট্রেড কোর্স সমাপ্ত করিয়া মিরপুরে নিজের নামে রিফ্রিজারেশনের একটি দোকান দাঁড় করিয়াছে, দোকানে ফ্রিজ, ফ্যান সহ যাবতীয় ইলেকট্রিক দ্রব্য মেরামত করা হয়। আমি মাঝে মধ্যে ওর দোকানে যাই আড্ডা মারিতে, একদিন দেখলাম তুহিন একটি ফ্যানের কয়েল বাঁধিতেছে। ট্রেড ওয়ালারা থিওরীর চেয়ে প্যাকটিক্যাল ভাল জানে, তাই একটু ঝালাই করবার জন্য ওকে প্রশ্ন করলাম, বলতো কয়েল বান্ধার পর ফ্যান ঘুরে কেন?ওখানে কি সৃস্টি হয়?দোকানের এক পিচ্চি(শিক্ষানবীশ কর্মচারী) বলল, “চুম্বক সৃস্টি হয়”।
আমিতো অবাক! যাক তুহিন পিচ্চিদের ভালই শিক্ষা দিতেছে।
কিছুক্ষন পর আরেক পিচ্চি চিল্লাইয়া বলিল, “তরে কইছে অইহানে ম্যাগনেট সৃস্টি হয়”।
দূ’জনের ঝগড়া শুরু হইল চুম্বক আর ম্যাগনেট লইয়া।
আমি বললাম, থামো ভাইজানেরা যাহা দুইশত পঞ্চাঁশ তাহাই আড়াঁইশ।
২
নিউজ পেপারের খবরটি এরকম, সংসদ ভবন এলাকা হইতে ৬টি বিষধর সাপ ধরেছেন এক সাপুঁড়ে(১৯৯২ সালের দিকে যতদূর মনেপরে, খবরটা ছবি সহ ইত্তেফাকে এসেছিল)।আমি পত্রিকাটি তুহিনের দিকে ধরতেই, দোকানের এক পিচ্চি বলিল, “এই সাপ জামাতের রাজাকার সংসদ সদস্যরা পকেটে কইরা লইয়া গিয়া সংসদ ভবন এলাকায় ছাইড়া দিছে”।
আমি বললাম, “ দূর বোকা, বিষধর সাপ বুঝি ওগো কামড়াইব না”?
আরেক পিচ্চি আমাকে অবাক কইরা দিয়া বলিল, “রাজাকারগো কি সাপ থেইক্যা কম বিষ আছে নাকি ভাইজান”?
আমি বললাম, “হুমম, ভুলে গেছিলাম ভাইজান, কাকতো আবার কাকের মাংস খায় না” ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




