somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোশাক ও নারী

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এবার নারীদের পোশাক নিয়ে কিছু বলি:

এদের ক্ষেত্রেও একই কথা - ঊর্ধসীমা ও নিম্নসীমা থাকবে। তারা তাদের পরিবেশ, ইমানের দৃঢ়তানুযায়ী এর মধ্যে বিচরণ করবে।

নারীদের পোশাকের ইসলামের বিধান:
১. সতর ঢাকতে হবে। এটা ফরজ। (সতর হল: মুখমন্ডল, দুই হাতের তালু, পায়ের তালু বাদে সকল শরীর)
২. পোশাক ঢিলেঢালা হওয়া বাঞ্চনীয়।
৩. বুকের উপরে ওড়না থাকবে
৪. যা সহসাই প্রকাশিত হয়ে যায় তা বিনা অন্য কোন অংশ খালি না রাখা। অন্যভাবে, এ্যাকাডেমিক, অফিসিয়াল ইত্যাদি কাজকর্মের সময় যা প্রকশিত হয়ে যায় তা ভিন্ন কথা। (সুরা নুর: ৩০ - ৩১)
৫. বাজে স্টাইলের পোশাক পড়ে নিজেকে কুরুচি সম্পন্ন হিসেবে প্রকাশ না করা
এই যা বিধান আরকি। এখন তার পোশাক কি হবে - সেলোয়ার কামিজ না শাড়ী, বোরকা না অন্য কিছু - সেটা যার যার ব্যপার। কথা হল উপরের শর্ত গুলো রক্ষা করা। আমি এমন অনেক বোরকা দেখেছি যা মানুষকে আরও বিশ্রী ভাবে উপস্থাপন করে, আবার এমন সেলোয়ার-কামিজ-স্কার্ফ সমেত মানুষ দেখেছি যারা উপরের বিধান সমুহ মেনে নিজেদের অনেক মার্জিতা হিসেবে প্রকাশ করেছেন।
শাড়ি নামটা শুনলেই আমি আতকে উঠি। আমার খালা - মামি দের দেখেছি কীভাবে তারা পেট-পিঠ (সরি ফর ডিস ল্যাঙ্গুয়েজ ) বের করে শাড়ি পরিধান করে। তোমাকে যে ম্যাডামের কথা বলেছিলাম তিনিও মাঝে মধ্যে শাড়ি পড়েন; বিশ্বাস কর দেখলে সম্মানে, শ্রদ্ধায় মন ভরে উঠে। আমাদের নবীন বরণের সময় মোট ছাত্রীর একটা ছোট অংশ শাড়ি পড়েছিল। তারা যখন আমার সামনে এসে পোজ দিয়ে হাসলো, আমি মনে মনে বললাম এত সস্তা করলে তোমাদের। তোমাদের সম্পর্কে আমাদের কত কৌতুহল থাকে তা তোমরা নিজেরাই মিটিয়ে দিচ্ছ।
আমাদের পুরুষদের অনেক দোষ দেখানো হয় (এ কথা অস্বীকার করার জো নেই যে আমরা নারীদের যথেষ্ঠ সম্মান দেখাতে ব্যর্থ হয়েছি)। একটি ক্ষেত্র আমার মনে হয় নারীদের পুরুষের কাছ থেকে শেখার আছে। আমরা ফুল হাতা শার্ট পড়ি (যার জন্য পড়া টা অতটা জরুরী নয়) তারা পড়ে হাফ হাতা, কোয়ার্টার হাতা, ইভেন হাতা ছাড়া। আমাদের বুক, পিঠ ঢাকা থাকে (যা ঢাকা অতটা প্রয়োজনীয় নয়) আরা তারা এক্ষোত্রে উদাসহীন। আমরা মোটা কাপড়ের প্যান পড়ি, আর.... আমার মনে এভাবে তারা পরিবেশ দুষিত করছেন। বাসার ছোট মেয়ে মাকে দেখে, বোন বড় বোনকে দেখে, হলের জুনিয়র সিনিয়রকে দেখে এই অদ্ভু্ত নোংরামীটা রপ্ত করে নিচ্ছে।
প্রকৃতি গত ভাবেই পুরুষরা সেক্সুয়ালি একটু এ্যাগ্রেসিভ, অন্তত নারীদের চেয়ে। এ অবস্থায় তারা যদি পুরুষদের সামনে এভাবে ইজি, এবং সহজলভ্য হন সেটা চরম দু:খজনক।
এখন চারদিকে নারীর কমোডিফিকেশান (পণ্যকরণ) চলছে। যেমন ধরুন, গাড়ির "শো", মোবাইল সেটের শো, ইত্যাদিতে পণ্যের (যেমন গাড়ি) পাশে নারীকে যে ভাবে সাজানে হয়ে থাকে তা উপরের কমেন্টকেই প্রমান করে। দেখুন এখানে মালিকের (পুজিপতি) লক্ষ্য হল মানুষ অন্তত নারীর শরীরের আকর্ষণেও তার পণ্যের দিকে নজর দিবে।
তারা (পুজিপতিরা) বিভিন্ন 'ডে' এরচ প্রচলন করেছেন। বলা হচ্ছে এগুলো আমাদের সংস্কৃতির একটি অংশ।এক্ষেত্রও আমরা নারীর অবমানা দেখে হতাশা হই।
ডেটিং সংস্কৃতি আমাদের দেশে একটি নয়া সংস্করণ। সবচেয়ে কষ্টের বিষয় হল এগুলো আমাদের দেশে অনেকটা প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ হয়ে গেছে। এহেন কর্মকান্ড এখন আর গোপনে পরিচালিত হয়না। পাবলিকলি হচ্ছে। আমরা এ কালচারে সোসিয়েলাইজড হয়ে যাচ্ছি।
মুলকথা সমাজের বর্তমান গতিবিধি নারী সমাজকে সম্মান দেখাতে চরমভাবে ব‌্যর্থ। আর এ সম্পর্কে ইসলামের বিধানাবলীর স্বার্থকতা, যৌক্তিকতা, বাস্তবতা, এবং শ্রেষ্ঠত্ব এখানেই।

সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৭
৭টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৫

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

বন্ডাই সৈকতের হামলাস্থল। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকত এলাকায় ইহুদিদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত মানুষের ওপর দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি চালিয়েছে। এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমাণ নন বলা কুফুরী

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪



সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

লিখেছেন প্রামানিক, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩


ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।

১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮




ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×