১.
ডাইরীর পাতায় করেছো লিপিবদ্ধ যার
কথাগুলো ছিল তোমার, নাকি করা ধার,
পড়ামাত্র হৃদয় হইয়াছে তোলপাড় তার।।
এমন আকুলতা ছিল যার মনে
কি করে পারিলে করিতে আঘাত
তাহার ভালোবাসার হৃদয় সিংহাসনে।।
কোথায় হারালে আজ সেই বন্ধুযুগল
সারাটা পাড়া জুড়ে ছিল যাদের বিচরণ,
তাদের দেখে হিংসায় মরতো অন্য বন্ধুসকল।।
২.
যদি যন্ত্রনার পদধ্বনি শুনতে পেয়ে
কোন বন্ধুকে কাছে না পাও।
যদি ভাঙ্গনের শব্দ শুনে ভয় পাও।
নীল আকাশ কালো হতে দেখে
ভালোবাসার অনাবৃত্তিতে কষ্ট পাও।
যদি না পাওয়া ব্যর্থতায়
হৃদয় চৌচির হযে যায়।
যদি প্রলয়ের দিনে বৈশাখীর
শ্রাবনের উপলদ্ধি করে।
তবে শুধু মনে রেখো এই
আমি তোমার-ই একজন।
৩.
আমি তো গিয়াছি জেনে প্রলয়ের দারুল
ঘন কালো অন্ধকারের আড়ালে আকাশের নীল।
সবুজ বনভুমির ভিতর জন্মালে অনেকে চলে যায়,
কেউ কেউ বেছে নেয় পৃথক প্লাবন।
আবার কেউ কেউ এভাবেই চলে যায়
বুকে বহে নিয়ে ব্যাকুলতা বহুগুন।
এই লেখাটার উৎস হচ্ছে আমার প্রিয় বন্ধু এনজেল এর ডাইরী। যেখানে একদিন তার সবচেয়ে আপনজন যাকে তার নিজের জীবনের চেয়েও বেশি ভালবাসতো, এক মুহুর্তের জন্য চোখের আড়াল হতে দেয়নি সেই বান্ধবীর লেখা কয়েকটি লাইন এর উপর ভিত্তি করে। যা উপরে ২নং এ উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু আজ সেই বান্ধবীহীন বন্ধুটার কি অবস্থা, একটু ভাবতে পারেন। উপরোল্লিখিত ৩ নং কবিতার লাইনগুলো এনজেল এর লেখা। যে কিনা পাগলের মতো ভালোবাসত এনজেলকে। আর সে কিনা লিখেছে ‘এই আমি তোমারী একজন।’
আজ সেই হয়ে গেছে অচেনা একজন। আসলে ভালোবাসা কি? তা আজও আমার জানা হলো না। এটা কি কারো হাতের পুতুল যে, যখন তখন......................................
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:১১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




