আত্মহত্যা যদি না হতো মহা পাপ তাহলে আমি হতাম আত্মঘাতী এক মহামানব।আত্মহত্যা যদি না হতো মহা পাপ তাহলে কালের গহব্বরে হারিয়ে যেতো সহস্র অভিমানী প্রান। অভিমান করে যে করেছিল পন, আমি আর রাখব না এ জীবন হানাহানী ধ্বংশযজ্ঞের এই মিথ্যে দুনিয়ায়। যেখানে নেই কোন মায়ার বাঁধন, নেই কোন আইনের শাষন, যেখানে মানুয়ের হাতে মানুষ হয় খুন। সত্য প্রকাশের পরিনাম হুইল চেয়ারের জীবন নয়ত শেয়াল শকুনের অতুপ্ত ক্ষুধারোধের আয়োজন। যেখানে অন্ব্যের অন্বেষনে ছুটে চলা মানুয়ের জীবন অনিশ্চিত, হয়ত বালুচাপা নয়ত মিত্যা মামলার আসামী। কে জানে কি দোষ করেছে কোন প্রজন্মে, যার শাস্তি এমন নিদারুন মির্মম নিয়তি। যে মেয়েটো আজ ইজ্জত হারালো, যে শিশুটা নিকৃষ্ট লালসার স্বীকার তারাও তো আমাদের আপন জন, কারো বোন বা সন্তান। কিন্তু কি দোষ ছিল তাদের, তারা কেন এমন বর্বরতার স্বীকার। কি পেয়েছে তারা আমাদের এই বসুন্ধরা থেকে। নিরাপত্তা নাকি সুবিচার, হারানো সম্ভ্রম। তাদের কি সুন্দর ভাবে বেঁছে থাকার অধিকার ছিল না? কারো কাছে কি আছেএর উত্তর থাকলে আওয়াজ দিবেন।
আমরা যারা সুশীল সমাজের দাবীদার আমাদের কি আছে করার। বড়জোর কলমের খোঁছায় দৃ'কলম লিখে সমবেদনা প্রকাশ আর সেই ঘাতকদের জানোয়ারদের সাথে তুলনা করা ব্যাস্, এইটুকুই করতে আমরা গলধঘর্ম।
আমরা ভুলে গেছি মায়া, মমতা সহানুভুতি, মনুষত্য ভুলে গেছি নিজেদের আত্মসত্বা। পশুরা আজ লজ্জা পায় আমাদের কর্মচিন্তায় মানুষ হয়ে মানুষকে পশু সদৃশ তুলনা করতে ধিদ্বাবোধ করি না। কিছু ক্ষেত্রে পশুরা কষ্ট পায় এই ভেবে আমি তো এতা খারাপ নয় যতোটা খারাপ সেই মানুষ, তাহলে কেন আমার সাথে তুলনা । এই যদি হয় পশুদের চিন্তা চেতনা তাহলে মানুষ হিসেবে আমাদের অবস্থান কোথায় তা আমার বোধগম্য নয়।তাই আমাদের ক্ষমা ছাইতে হবে সেই পশুদের (কুকুর) কাছে যাদের কথায় কথায় আমরা উদাহরন হিসেবে ব্যববহার করে থাকি। এই বাকশক্তিহীন প্রানীগুলোকে ছোট করার কোন মানে হয় না।
এই বোবা প্রানীটারও আছে কৃতার্থতা যা আমাদের নেই,সামান্য খাদ্যের বিনিময়ে সারারাত সে আপনাকে দিবে নিরাপত্তা আর আমরা মানুষেরা সুযোগ খুঁজবো কখন আপনি ঘুমাবেন আর আপনার সম্পত্তি লুট করব। আমরা যদি এমন চিন্তা চেতনা থেকে সরে আসতে না পারি তাহলে জাতীর ভবিষ্যত কোন দিকে যাচ্ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




