
প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১.৬১ জন নারী মুক্তি পাচ্ছে বখাটেদের নির্যাতনের হাত থেকে!!!!!!!! কি অবাক লাগছে, এটা কি করে সম্ভব তাই না। তার মানে কি আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে সুবুদ্ধির উদয় হইছে তাই নয় কি? নাকী প্রবাসীর মাথা খারাপ হয়ে গেছে। একটু ভাবুন মুক্তি প্রাপ্ত নারীরা কি মুক্তি পেয়েছে, নাকি তাহাদের পিতা-মাতা এবং সমাজ কে মুক্ত করে দিয়েছে। না তা নয় বরং তাহারা আইনের চোখে ফাঁকি দিয়ে বখাটেদের মুক্ত করে দিয়ে চিরতরে বিদায নিয়ে চলে গেছে এই প্রার্থীব জগত থেকে।
গত সাত বছরের পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেছে যে প্রতিবছর গড়ে প্রায় ৫৮৮.৫৭ জন নারী য প্রাত্যহিক হিসেবে প্রায় ১.৬ ১ জন। যাহারা বখাটেদের অত্যাচারে নিজেদের জীবন বিসর্জন দিয়েছে আত্মহত্যার মতো নিকৃষ্ট উপায়ে। যার দ্বারা অপরাধীরা ধঁরা ছোয়ার বাহিরে থেকে যায়। যাহা কোন সমস্যার সমাধান নয়। বরং দিন দিন তা অতিমাত্রায় বেড়ে চলেছে। এভাবে চলতে থাকলে এটা বড় ধরনের সামাজিক ব্যাধিতে পরিনত হবে। যাহা আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মেকে হুমকির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
সর্বশেষ আত্মহননকারীনীদের তদন্তে পাওয়া যায় যে, মেয়েরা রাস্তায় যা পাওয়ার তা তো পাচ্ছে তারপরে বাসায় আসলে বাবা মার রোষানলের স্বীকার। বাবা-মায়ের কাছে ঘটনা প্রকাশ করায় তাদের কে খেতে হয়েছে মমতাময়ী মায়ের হাতের উত্তম মধ্যম আর বাবর শাষন। যাহা শারীরিক নির্যাতন পর্যন্ত গড়িয়েছে। যার উদারন রুম্পা নামের সেই মেয়েটি যাকে হারুন নামের একছেলে রাস্তায় উত্ত্যক্ত করতো, বাসায় এসে তা বলায় তার মা চুলের মুঠি ধরে তাকে মারধর করে এমনকি ঘর থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেয়। যার পরিনতি আত্মহত্যা। এমন হাজারো রুম্পা আছে যারা বখাটে এবং পরিবারের নির্যাতন সইতে না পেরে চলে যাচ্ছে অকালে সবাইকে মুক্তি দিয়ে।
আপনাদের কাছে প্রশ্ন হচ্ছে যে পিতা-মাতা মেয়েকে আদর সোহাগ দিয়ে লালন পালন করে, যে কিনা তাহাদের চোখের মনি আদরের ধন হৃদপিন্ডের একটা অংশজুড়ে থাকে । তাহারা কি করে সেই মেয়েকে ভুল বুঝে তার গায়ে হাত তুলে এমনকি ঘর থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিতে পারে। এমন অবস্থায় একটা মেয়ের কি করা থাকে। বাবা মায়েদের আচরন কেন এমন হলো উনারা কি অসহায় নাকি নিজেরাই বখাটেদের কাছে জিম্মি? যদি তাই হয় তাহলে তো আমাদের সকলের উচিত একযোগে আত্মহত্যা করা তাই নয় কি? যখানে আমরা অসহায় সেখানে মেয়েদের দোষ কোথায় তারা তো ঠিক কাজ করেছে, আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে থাক তোমরা তোমাদের আত্মসন্মানবোধ নিয়ে আমরা গেলাম।
আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যুগে বিশ্ব যেখানে দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে, সভ্যতা উচ্চ আসনের দাবীদার, ব্যাঙ্গের ছাতার মতো গজিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন। এমতাবস্থায় যদি খবরের কাগজে প্রতিদিন এ ধরনের খবর পাওয়া যায়, তাহলে বিষয়টা কি দাঁড়াচ্ছে আমারা কি দিন দিন অসভ্যতার চর্চা করে যাচ্ছি আর মানবাধিকার সংগঠনগুলো নিজেদের রুজি রুটির ধান্ধায় নিয়োজিত তাই নয় কি?
আমাদের ছোট্ট এই দেশটিতে ১৫কোটির বেশি জনগোষ্টির মধ্যে বখাটেদের সংখা কত? আমি মনে করি খুবই নগন্য। আমরা কি পারি না এই নগন্য জনগোষ্টিকে দমন করার দায়িত্ব বাকীরা নিতে সবার স্ব স্ব অবস্থান থেকে? বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ কতটুকু সফল হবে তা নির্ভর করবে আমাদের সহযোগীতার উপর। আমরা সাধারন জনগন যদি সাধা পোষাক দারী পুলিশকে তাহাদের নির্দিষ্ট নাম্বারে তথ্যদিয়ে সাহায্য করি তাহলে তারা হয়ত সফল হতে পারে। যদি না সেখানে রাজনৈতিক নেতাদের কালো হাতের প্রভাবে অপরাধীরা মুক্তি না পায়।
আসুন আমরা সকলে সচেতন হয়ে আমাদের নারী জাতীকে ধ্বংশের হাত থেকে রক্ষা করি।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মে, ২০১০ রাত ২:৩১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




