somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বংশ রক্ষার্থে বন্ধুর দ্বারস্থ বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে।

২৩ শে মে, ২০১০ রাত ৮:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
বংশ রক্ষার্থে বন্ধুর দ্বারস্থ হয়েছেন এক বিবাহিত যুবক!!!!!



দুই বন্ধু করিম এবং কামাল স্কুল জীবন থেকে একসাথে চলাপেরা আড্ডা সবাই এক সাথে চলে। শুধূ রাত কাটানো হয় আদালা। দু জনের বাড়ীও একই এলাকায়। গ্রামের সবাই তাদের কে মানিক জোড় বলতো। অনেক ঘটনা এবং রটনার জন্ম দিয়ে অবশেষে দ‌ুজন চাকরিতে গেলেনে। সব কিছু ঠিক ঠাক মতো চলছিল। কোন সমস্যা ছাড়া তারা দিনকাল অতিক্রম করতে ছিলেন। একদিন কামাল কর্মরত অবস্থায় বিদ্যুত এর সর্ট খেলেন, তখন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে তিনি ভালো হয়ে ঘরে ফিরলেন ঠিকই। কিন্তু কে জানতো এটা তার ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। দু বছর পর দু বন্ধু বিয়ের পিড়িতে বসলেন অনেক ঘটা করে। বছর না ঘুরতে করিম এর ঘর জুড়ে আসলো নতুন অতিথি। কিন্তু কামাল এর ঘর খালি। এভাবে তিন বছর পার হয়ে গেলো কামাল এর ঘরে কোন সন্তান আসে না। অবশেষে তারা ডাক্তারের আশ্রয় নিলেন। দু জন এর মেডিকেল চেকআপ এর পরে যা ধরা পড়েছে তা হলো কামাল সন্তান জন্মদানে অক্ষম। যা তার দুর্ঘটনার কারন।উক্ত দুর্ঘটনা থেকে তার সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা নষ্ট হয়ে গেছে। যা কখনো ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়। এটা শুনে সুখের ঘরে বিষাদের ছায়া নেমে আসল। পরিবার থেকে প্রচুর চাপ আসছে সন্তান এর জন্য যে, তারা তাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের মুখ দেখতে চায়। কিন্তু কি করবে কামাল। তারা অসহায়, ব্ন্ধূ করিম এর সাথে আলাপ করে আরো ডাক্তার এর সেবা নিয়েছেন কিন্তু কোন ফল পাওয়া যায় নি।

দিন দিন কামাল এবং তার স্ত্রী ভেঙ্গে পড়লেন। যা তাহারা তাদের পরিবারের কাছে প্রকাশ করতে পারেনি বা করেনি লোক লজ্জায। এভাবে তো আর চলতে পারে না কিছু একটা তো করতে হবে। তখন অনেক ভেবে চিন্তে সিন্ধান্ত নিলো যে কোন উপায়ে বংশ রক্ষা করতে হবে। কারন কামালের কোন ভাই নাই। তাই তাদের বংশ বিস্তার এখানে শেষ হওয়ার পথে।

কিন্তু কি করবে কোন উপায় না পেয়ে কামাল অনেক কঠিন সিন্ধান্ত নিলেন যে অন্যের সন্তান দিয়ে হলেও তাদের বংশ রক্ষা করতে হবে। কিন্তু এ কথা সে তার স্ত্রীকে বলার সাহস পেলো না। এভাবে আর কতো দিন চলবে তারপর একদিন সাহস করে স্ত্রীকে বলল। কিন্তু কি করে তা সম্ভব তার উপায় তাদের জানা নেই। যা হোক বন্ধূর সাথে আলাপ করেও কোন সুরাহা মিলে নাই। তারপর তারা উভয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নিলেন যে, কামাল তার স্ত্রীকে তালাক দিবে এবং পরিচিত কারো সাথে তাকে বিয়ে দিবে। তার পর এক সপ্তাহ পর সে আবার তাকে তালাক দিবে। কামাল পুনরায় তাকে বিয়ে করবে। যাকে আমাদের সমাজে হিল্রা বিয়ে বলে। যদি এরমধ্যে তার স্ত্রী গর্ভবতী হয়। তাহলে সেই সন্তান কে নিজের পরিচয়ে লালন পালন করবে শুধুমাত্র বংশ রক্ষার জন্য। কিন্তু এই কঠিন কাজটি কাকে দিয়ে করবে। কাকে বিশ্বাস করবে তারা। এটা পরিবারের সদস্যদের জানানো যাবে কি যাবে না। হাজারো প্রশ্নের সামনে দাঁড়িয়ে আছে কামাল।

অবশেষে ব্যাপার টা তার মাকে জানানোর সিদ্ধান্ত নেয়। শুনে মা তো আকাশ মাটি মাথা তোলার অবস্থা। তখন মাকে সব কিছু খুলে বলা হয়। সব শোনার পর মা নিঃশ্বব্দ হয়ে গেলেন। শুধু এটুকু বললেন, আমি কিছু জানিনা যে কোনো কিছুর বিনিময়ে আমার বংশ রক্ষা চাই। যা বোঝার বুঝে গেলেন কামাল।

এখন অপেক্ষা কার হাতে তুলে দিবে তার প্রানপ্রিয় সহধর্মীনিকে। অনেক খোঁজ করার পরে দেখল বন্ধূ করিম ছাড়া আর নির্ভরযোগ্য কোন ব্যাক্তি নেই। তারপর করিম কে বলার পর করিম কিছুতেই রাজি হলো না। কামাল ও নাছোড় বান্ধা তার বংশ রক্ষার জন্য সে মরিয়া। অবশেষে সবকিছু আইন মোতাবেক তারা সম্পন্ন করল লোকচ্ক্ষুর আড়ালে। কাগজ পত্র সব কিছূ বৈধ মোতাবেক হলো। তাদের কোল জুড়ে সন্তান আসল। কেউ জানল না এটা কার সন্তান। জানে শুধূ দুই বন্ধূ মা এবং স্ত্রী। কিন্তু সত্য বলে কথা, তা কোনদিন চাপা থাকে না।একদিন তা জনসম্মুখ্যে প্রকাশ হয়ে গেল। তখন সমাজবাসী তাদের কে বিচারেরর কাঠগড়ায় দাঁড় করাল। কিন্তু তাদের দেখানো প্রমান পত্র দেখে রায় তাদের পক্ষে গেলো। এখানে তাদের কে দোষারোপ করতে পারে নাই। বন্ধুর সহযোগীতায় কালাম পেলো সন্তান।

আসলে এটা কতটুকু বৈধ আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন থাকল?
আমাদের সমাজে এর গ্রহনযোগ্যতা কতটুকু?
ইসলামে এর বৈধতা কতটুকু?

আপনাদের কাছে উত্তর আশা করছি।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মে, ২০১০ রাত ৮:৫২
৪৩টি মন্তব্য ২৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৫

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

বন্ডাই সৈকতের হামলাস্থল। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকত এলাকায় ইহুদিদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত মানুষের ওপর দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি চালিয়েছে। এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমাণ নন বলা কুফুরী

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪



সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

লিখেছেন প্রামানিক, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩


ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।

১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮




ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×