somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আবার ! আবারও !! আর কতো !! এবার টাঙ্গাইলে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর দুই ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সারাদেশে ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে ধর্ষণ, গণধর্ষণ, শিশু ধর্ষণ আর নারী নির্যাতন। টাঙ্গাইলের মধুপুরে স্কুল ছাত্রীর গণধর্ষণের পর সামহোয়ার ব্লগে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া,নরপশুদের নিঃশ্বাসে বিষাক্ত সমগ্র বাংলাদেশ,বাঙালী প্রতিবাদী হও । শিরোনামে আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন ব্লগার অপূর্ণ সাহেব তার ডাকে সাড়া দিয়ে সারাদেশে তুমুল ঝড় উঠে ধর্ষণকারীদের ফাসিঁর দাবীতে। "ধর্ষকদের জন্য একটাই আইন চাই , ৯০ দিনের মধ্যে ফাঁসী চাই । যাবজ্জীবন কিংবা জরিমানা নয় ।" দাবীতে রাজপথে নেমেছিলাম আমি আমরা। তখন আমি অনলাইনে নতুন। সামু'তে এই প্রতিবাদের ঝড় আমার মনে এনে দিয়েছিলো বিশাল শক্তি। দৃঢ় মনোবল নিয়ে আমাদের ফেসবুক গ্রুপে লেখালেখি করে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে করেছিলাম মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসুচি। দেশের আনাচে কানাচে পৌছে গিয়েছিলো এই অগ্নিঝরা প্রতিবাদের স্ফুলিঙ্গ। কিন্তু কিছুদিন পরেই থেমে গেলো আন্দোলন। কাজের কাজ কিছুই হলোনা। আবারও আগের চেয়ে দ্বিগুণ হারে বেড়ে গেছে ধর্ষণ, গনধর্ষণ ও শিশু ধর্ষণের মতো নৃশংস নির্মমতা।

বাংলাদেশে ধর্ষণ করা ডালভাত হয়ে গেছে। ধর্ষণকারীদের রক্ষার্থে জনপ্রতিনিধি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীও বাহিনীও উঠে পড়ে লাগে। কোনো যুবক কাউকে ধর্ষণ করলে তাকে ডাক্তারী সার্টিফিকেট দিয়ে অপ্রাপ্তবয়স্ক বানানো হয়। এদের কোনো উপযুক্ত শাস্তিও হয়না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ধর্ষিতা বা ধর্ষিতার পরিবার মামলা করতে ভয় পায়। আবার মামলা করলেও প্রাণনাশের সঙ্কায় ভুগতে হয় সারাক্ষণ।

এবার টাঙ্গাইলের ভুয়াপুরে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করলো মাসুদ (২৫) নামের এক যুবক ও তার এক সহযোগী। নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তারা। চিৎকার যেনো না করতে পারে সেজন্য মুখ বেঁধে নেয় তারা। এ ঘটনা যেনো কাউকে না বলে , এই জন্য দেয়া হয় প্রাণনাশের হুমকি। ধর্ষিতা মেয়েদুটো টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে এখন। কিছুক্ষণ পরপরই তারা চমকে উঠছে। গোঙানি দিচ্ছে বিকট শব্দে। লোকজন দেখে ভয়ে চিৎকার দিয়ে উঠছে। বমি করছে বার বার। বমির সাথে বের হয়ে আসছে রক্ত। এব্যাপারে ডা. জাকিয়া রশিদ শাফি বলেন, মেয়েটির অবস্থা খুব একটা ভাল নয়। প্রচন্ড ভয় পাওয়ায় যাকে দেখছে চিৎকার দিয়ে উঠছে। মারাত্মক নেশা জাতীয় দ্রব্য খাওয়ানোর ফলে পাকস্থলিতে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে বমির সাথে রক্ত আসছে ও গোঙানি দিচ্ছে।

এদিকে ধর্ষক মাসুদ ও তার সহযোগী স্থানীয় ইউপি সদস্য আসাদুল মাসুদ লিটনের স্নেহভাজন হওয়ায় মিমাংসার কথা বলে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। কাউকে কিছু না বলার জন্য ধর্ষিতার পরিবারকে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করছে। মামলা করলে ক্ষতি হবে বলে নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। স্থানীয় গ্রাম্য মাতব্বর ফজলুর রহমান ও শাহদত হোসেন লেবু ইউপি সদস্যর সাথে সুর মিলিয়ে ধর্ষকের পক্ষ অবলম্বন করছে।

নানা জল্পনা-কল্পনার পর ধর্ষিতার এক ছাত্রীর পিতা মো. শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে রবিবার সকালে মাসুদকে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাত আরেক যুবকের বিরুদ্ধে ভূঞাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। অথচ এই মামলা প্রত্যাহারের জন্য তার পরিবারকে প্রতিনিয়ত হুমকি দেয়া হচ্ছে। এমনকি সাংবাদিকরা নিউজ করতে গেলেও ইউপি সদস্য আসাদুল মাসুদ লিটন বলেন লেখালেখির কোন দরকার নেই। গ্রামের মাতব্বরদের সাথে কথা বলে বিষয়টি আমি দেখছি।

সামান্য একজন ইউপি মেম্বারের ছত্রছায়ায় থেকে লম্পট মাসুদ একের পর ধর্ষণ করেই চলেছে। কি হবে এই ধর্ষণের বিচার? কিছুই হবেনা। পুলিশ এদের গ্রেফতার করবে শুধু মাত্র তাদের পকেট ভরানোর জন্য। মেম্বারদের তোপের মুখে একসময় মামলা প্রত্যাহার করে নিবে ধর্ষিতাদের বাবা। আর পকেট ভরবে পুলিশের আর গ্রাম্য মাতাব্বরদের।

ছি! ছি! ছি! ধিক্কার এসব মানুষরুপি জনপ্রতিনিধিদের। যারা নরপশু ধর্ষকদের পক্ষে কথা বলেন। আমার মতে এসব রেপিস্টদের বিচার করার আগে জনসম্মুখে বিচার করা উচিত এসব জনপ্রতিনিধিদের। যারা একটি নারীর ইজ্জতের দামাদামি করে মিমাংসা করে দিয়ে নিজেদের পকেট ভরায়।

থু!!
৫টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামাত কি দেশটাকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানাতে চায়? পারবে?

লিখেছেন ঋণাত্মক শূণ্য, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৮

অন্য যে কোন সময়ে জামাতকে নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তিত ছিলো, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশী চিন্তিত বলেই মনে করি।



১৯৭১ এ জামাতের যে অবস্থান, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×