প্রায় তিন মাস আগে থ্রিজি চালাব ভেবে অনেক শখ করে একটা ওয়ালটন প্রিমো জি ওয়ান হ্যান্ডসেটটি কিনেছিলাম। ভেবেছিলাম দেশি পণ্য কিনব আবার দাম ও দেখলাম অনেক কম। যদিও মনে একটা সন্দেহ ছিল, কেননা স্যামসাং কিংবা সনির মত বিশ্বমানের একটি কোম্পানি যে কনফিগারে যেই দাম রাখে ওরা সেম কনফিগারেশনে এত কম দাম কিভাবে রাখে!! কেনার পর সেট চালিয়ে বুঝলাম ঘটনা কি। এত বাজে অভিজ্ঞতা হবে সেটা ভাবিনি। যেমন কেনার সময় দেখলাম ২১০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার হার্জের ব্যাটারি, কিন্তু কিছুদিন সেট ব্যাবহারের পর দেখলাম চার্জ থাকেই না থ্রিজি তে! অথচ আমার বন্ধু স্যামসাং গ্যালাক্সি গ্যালাক্সি এস ডুয়োস সেটে থ্রিজি চালায় এবং তার ফোনে সারাদিন চার্জ থাকে অথচ তার আর আমার সেটের ব্যাটারির রেটিং একই!! সারাদিন ফোনে চার্জ দেয়া যে কি বিরক্তিকর ব্যাপার সেটা ভুক্তভোগী ছাড়া আর কেউ বুঝবে না। এ তো গেল ব্যাটাটির কথা। নেট ইউজ করলে সেট হ্যাং হয়ে যায়। মূলত আমার সবসময় নেটে একটিভ থাকা লাগে বলেই কিন্তু স্মার্টফোন এবং থ্রিজি সিম নেয়া। নেটে থাকলে একটু পর পর যদি হ্যাং হয়ে যায় তবে আর লাভটা কি হল আমার থ্রিজি ব্যাবহার করে! আবার হুটহাট কত সমস্যায় যে পড়তে হয় সেগুলোর হিসেব দেয়া সম্ভব না। যেমন খুব জরুরি একটা মেইল করতে হবে, ল্যাপটপ সাথে নেই কারণ আমি তখন বাইরে। ভাবলাম ফোন থেকেই করি। একটা ডকুমেন্ট এটাচ করার জন্য ৩ বার চেষ্টা করলাম কিন্তু কোন লাভ নাই। প্রত্যেকবার আশি ভাগ আপলোড হওয়ার পর দেখি প্রোগ্রাম আর রেসপন্ড করে না। কোন লেভেলের মেজাজ খারাপ হয় তখন! পরে আমি খবর নিয়ে দেখি এইসব ফোন যারা কিনেছে তাদের সবাই এ ধরণের ভোগান্তিতে আছে। এবং আরও জানলাম ওদের দেশি পণ্য বলাটা একটা ব্যবসায়িক কৌশল মাত্র কেননা এরাও চায়না থেকে নিম্নমানের সেট আমদানি করে দেশি পণ্য বলে চালায়। আমি কয়েকটা সমস্যা নিয়ে ওদের সার্ভিস সেন্টারে গিয়েছি কিন্তু কোন লাভ হয়নি।
এ ব্যাপারে আমার মনে হয় সচেতন মানুষের দৃষ্টিপাত করার সময় এসেছে।