শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। আর শিক্ষক জাতি গড়ার কারিকর। আর সেই শিক্ষকরা যদি বিপথে চলে যায় তা হলে দেশের অবস্থা কি হতে পারে একবার ভেবে দেখুন। সেটাই আজ হয়েছে।
আজ (৭/১১/১৫) আমার জীবনে ঘটে যাওয়া এমন একটি ঘটনা ঘটল। যা নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করতাম না।
আজ শুরু হলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা। তিতুমীর কলেজের ছাত্র হওয়ার আমাদের (অর্থনীতি, সমাজকর্ম, সমাজবিজ্ঞান ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান) পরীক্ষার হলো মিরপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ এ।
সঙ্গত কারণেই আজ পরীক্ষা দিতে গেলাম। অন্যান্য দিনের মতোই পরীক্ষা দিতে গেলাম। পরীক্ষা শুরু হবার পূর্ব মূহুর্তে সকলের কাছে থাকা মোবাইল ফোন শিক্ষকদের কাছে জমা দেয়া হলো। যা অন্যান্য যে কোন পরীক্ষায় জমা নেয়া হয়ে থাকে। এটা একটা পরীক্ষা দেবার অঘোষিত নিয়ম। পরে পরীক্ষা শেষ হলে যে যার মোবাইল নিয়ে যায়।
পরীক্ষা দেবার আগে এতুটুকুই যথেষ্ট। কিন্তু বিপত্তিটা বাজে যখন পরীক্ষা শেষ তখন।
আমরা যারা স্মার্ট ফোন ব্যবহার করি না। তাদের মোবাইল ফেরত দিলেও ৫৩টি স্মার্ট ফোন আটকে রাখে মিরপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সম্মানিত! শিক্ষকরা। নানা অজুহাতে মোবাইল ফোনগুলো আটকে রাখার চেষ্টায় ব্যস্ত। আটকে রাখা মোবাইল গুলো বিভিন্ন রুমে নিয়ে যায় কিছু শিক্ষক নামের সন্ত্রাসীরা।
অবশেষে যাদের মোবাইল তারা চাইতে গেলে কথা কাটাকাটি। অবশেষে শিক্ষকরা ছাত্রদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। সাথে যোগ দেয় মিরপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্র নামের কিছু দুর্বৃত্ত। তারা রট ও আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা নিরহ ছাত্রদের উপর হামলা করে।
এমন ঘটনা দেখে অবাক হয়ে গেলাম। এও কি শিক্ষকদের দ্বারা সম্ভব। এদের চোর বলব না ডাকাত নাকি সন্ত্রাসী? কিছুই বুঝতে পারছিনা।
যাদের দেখে আমরা শিখছি। যারা আমাদের পাঠ্য বইয়ের সাথে তাদের আচার আচরন দিয়েও আমাদের শিক্ষা দেয়। এটা কি শিখালেন তারা?
এই লেখা পর্যন্ত অনেকের মোবাইল ফেরত দেয়নি শিক্ষকরা। আমি যতটা জেনেছি ৫৩ টা মোবাইলের মধ্যে মাত্র ১৯ টা মোবাইল ফেরত দিয়েছে পুলিশের সহযোগিতায়। আর বাকী ৩৪ টা মোবাইলের কোন খোজ নেই।
কোন ছাত্র যদি কোন অপরাধ কিংবা অনৈতিক কর্মকান্ড করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে শিক্ষকরা আইনি ব্যবস্থা নিতেই পারেন। তা না করে কেন এই সন্ত্রাসী আচরণ? রট ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কেন হামলা?
আমরা এই অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য আতঙ্কিত হয়ে পরেছি। আমরা এই শিক্ষক নামের পশুগুলোন বিচার দাবি করছি। সাথে আমরা নিরাপত্তা চাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৪