somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পথশিশু ও আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পথ শিশু।

আমরা মানবতার কথা বলি , একে অপরকে সাহায্য সহযোগিতা করা কথা বলি, মসজিদ-মাদ্রাসায় দান খয়রাত করার কথা বলি। এমনকি, মসজিদ - মাদ্রাসার উন্নয়নের নাম করে , হাজার হাজার টাকা খরচ করে, ইসলামিক স্কলারদের‌ও আমন্ত্রণ করি। এতে করে আমাদের কতটুকু উপকার হয়?

এবাদাত গ্রহনযোগ্য হ‌ওয়ার জন্য, প্রথম শর্ত হলো অন্তরের পবিত্রতা, আত্মার বিশুদ্ধতা। আপনি,আমি কোথায় বা কেমন স্হানে  সৃষ্টিকর্তার এবাদত করছি তা কখনোই লক্ষনীয় নয় , সৃষ্টিকর্তা দেখবেন না, আপনি যেখানে নামাজ আদায় করেছেন সে জায়গা কোন নামিদামি জায়গা কি না , সেখানে উন্নত মানের কার্পেট আছে কিনা। অথবা যে ঘরে নামাজ আদায় করেছেন , সে ঘর সুন্দর পরিপাটি কি না। আল্লাহ আসলে এগুলো কিছুই দেখবেন না। আল্লাহর এগুলোর কোন কিছুর দরকার নেই। আল্লাহ দেখবেন আপনার মনের পবিত্রতা একাগ্রতা। বিচার দিবসে আল্লাহ আমাদের চেহারার সৌন্দর্য দেখবেন না, তিনি দেখবেন আমাদের আত্মার সৌন্দর্য। সুতরাং ওয়াজ মাহফিলের নাম করে এত অর্থ-কড়ি ইসলামী স্কালারদের দেয়ার কোন প্রয়োজন পড়ে না। মধ্যে রাত্রি পর্যন্ত স্কলারদের ধর্মীয় আলোচনা শুনে ফজরের নামাজে অনুপস্থিত হ‌ওয়ার নাম ইসলাম নয়।

ধর্মীয় আলোচনা সভায় যে পরিমাণ অর্থ নষ্ট করা হয় , সেটা দিয়ে সমাজ কে অনেক দূর এগিয়ে নেয়া সম্ভব। (*আমি কোন ধর্মীয় আলোচনা সভার বিরুদ্ধে বলছিনা বা কোন ইসলামী স্কালারদের বিরুদ্ধেও  বলছি না।*)

মানব ইতিহাসে আপনি এমন কোন জনগোষ্ঠী বা রাষ্ট্র পাবেন না যারা, মানবতার বিরুদ্ধে কথা বলেছে।  আমরা  গভীরভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পাব , যে রাষ্ট্র বা জনগোষ্ঠী অর্থ সম্পদ ও ক্ষমতার দিক থেকে যতবেশি এগিয়ে তারা ততবেশি মানবতার সেবা করার কথা বলে আসছে। এবং তাদের অনেকেই এ কাজে নিজেদের নিযুক্ত রেখেছে। এরপর, আমরা  তাদের কর্ম-কান্ড কে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে দেখতে পাব যে, তারা আমাদের মানবতার কথা ব'লে,মানব সেবার কথা ব'লে,  সু'দ নামের নিকৃষ্টতম পাপ সমুদ্রে ডুবিয়ে রেখেছে অথবা কৌশলে নিরীহ গরীব মানুষের রক্ত শোষন করেছে।

এইতো সেদিনের কথা, কাতারের বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে পশ্চিমা মিডিয়া কাতারের বহু অপপ্রচার চালিয়েছে,  অথচ সেই পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো সেই দোষেই দোষী। ফিফা সভাপতি ইনফান্তিনো কাতারে সংবাদ সম্মেলনে পশ্চিমা মিডিয়ার সেই অপপ্রচারের জবাবে বলেছিলেন, ইউরোপিয়ানরা বিগত তিন হাজার বছর যে জুলুম অত্যাচার বিশ্ববাসীর করেছে তার জন্য আগামী তিন হাজার বছর বিশ্ববাসীর কাছে তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত।

ইতিহাস সাক্ষী, মানবতার সেবা ও কল্যানে মুসলমানদের যে অবদান রয়েছে তা অন্য যে কোন ধর্মের মানুষের মাঝে বিরল। অথচ প্রতিটি ধর্মই শান্তি, মানবতা ও ভালোবাসার কথা বলে। 

এরকম পরিস্থিতিতে সর্বাগ্রে কাদের এগিয়ে আসা উচিত, সাধারণ মানুষের নাকি কোন ইসলামিক স্কলারের ?
উত্তর হবে,
অবশ্যই কোন ইসলামিক স্কলারের। তাদের নেতৃত্বেই মানবতার কল্যাণে এগিয়ে যেতে হবে। কিন্তু স্কলাররা যদি মসজিদ-মাদ্রাসার উন্নয়নের নামে সস্তা ইসলাম প্রচার ক'রে নিজের পকেট গরম করে ,তাহলে সুদূর ভবিষ্যতে কৃত্রিম হীরার ভিরে আসল হীরা খুঁজে পাওয়া মুশকিল হয়ে যাবে। 

ইসলামী স্কলাররা যে ভাবে, বিভিন্ন শহরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ ক'রে, গরীব এতিম শিশুদের পড়া-লেখার দায়িত্ব নিজের উপর, প্রতিষ্ঠানের উপর নিয়ে নিয়েছে, ঠিক তেমনি করে  আলাদা ভাবে পথ শিশুদের জন্য যদি কর্মমুখী কোন শিক্ষার ব্যবস্থা করত তাহলে অতি তারাতাড়ি আমাদের দেশের মধ্যে নতুন কর্মী ও উদ্যোগতা তৈরি হতো। যা আমাদের একান্ত কাম্য।







সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৭
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে[

স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, মব-রাজনীতি ও এক ভয়ংকর নীরবতার ইতিহাস
চরম স্বৈরশাসন বা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রেও সাধারণত সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সাহস কেউ করে না। কারণ ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

=হিংসা যে পুষো মনে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮


হাদী হাদী করে সবাই- ভালোবাসে হাদীরে,
হিংসায় পুড়ো - কোন গাধা গাধিরে,
জ্বলে পুড়ে ছাই হও, বল হাদী কেডা রে,
হাদী ছিল যোদ্ধা, সাহসী বেডা রে।

কত কও বদনাম, হাদী নাকি জঙ্গি,
ভেংচিয়ে রাগ মুখে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণমাধ্যম আক্রমণ: হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন নূরুল কবীর ও নাহিদ ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:০৫


জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রক্তস্নাত পথ পেরিয়ে আমরা যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, সাম্প্রতিক মব ভায়োলেন্স এবং গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ সেই স্বপ্নকে এক গভীর সংকটের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। নিউ এজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপিকেই নির্ধারণ করতে হবে তারা কোন পথে হাটবে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০৫




অতি সাম্প্রতিক সময়ে তারেক রহমানের বক্তব্য ও বিএনপির অন্যান্য নেতাদের বক্তব্যের মধ্যে ইদানীং আওয়ামীসুরের অনুরণন পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিএনপি এখন জামাতের মধ্যে ৭১ এর অপকর্ম খুঁজে পাচ্ছে! বিএনপি যখন জোট... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী বিপ্লবীর মৃত্যু নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭



শরিফ ওসমান হাদি। তার হাদির অবশ্য মৃত্যুভয় ছিল না। তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, আলোচনা ও সাক্ষাৎকারে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি অনেকবার তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা বলেছেন। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতবিরোধী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×