ইসলামে বসন্ত আসবে কবে?
"সুদ হারাম" সুদের সাথে সম্পৃক্ত সমস্ত লেনদেন পদ্ধতিও হারাম। কথাটি নতুন কিছু নয়। এবং এটা আলোচনার কোনো বিষয়ও নয়। যখন
মুসলিম বিশ্ব "হারাম ও না'জায়েজ" পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় তখন স্বাভাবিক ভাবেই তার বিকল্প বৈধ কোন পথ থাকতে হবে যাতে করে কোন মুসলিম হারামের দিকে অগ্রসর না হয়। হালাল বা বৈধ কোন পদ্ধতি থাকার পরেও যদি কোন মুসলিম হারামের দিকে ধাবিত হয় তার জন্য সে নিজেই দায়ী থাকবে। কিছু ইসলামী স্কলারদের মতামত অনুযায়ী আমাদের দেশের সকল ব্যাংকিং পদ্ধতি "সুদের" সাথে সম্পৃক্ত যা ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে হারাম। তাহলে প্রশ্ন আসে আমরা সাধারন মুসলমান এরকম হারাম পদ্ধতি থেকে কিভাবে বেরিয়ে আসবো ও আমাদের টাকা- পয়সার নিরাপত্তা কে দিবে?
আমরা মাঝে মাঝেই শুনে থাকি নিদৃষ্ট কোন কম্পানি বা দেশের
"পন্য বর্জন করুন" । আমাদের কে যারা এই পন্য বর্জনের বার্তা দেয় তার বিকল্প কোন পন্য কি আমাদের দিতে পেরেছে? যদি দিতে না পারে তাহলে আমাদের কে বলুক নিরাপদ কোন কম্পানি বা দেশের নাম যা ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর জন্য নিরাপদ। অথচ সেটাও আমাদের বলা হয় না। কিন্তু কেন? তাহলে কি আমরা অন্য সকল জাতি বা ধর্ম থেকে পিছিয়ে? আসলে কতদূর পিছিয়ে? তার সঠিক উত্তর কি আমাদের জানা আছে?
আধুনিক বিশ্বে শিক্ষা ব্যবস্থায় যে আমূল পরিবর্তন এসেছে যার ফলে নিত্য নতুন আবিষ্কার আমরা দেখে যাচ্ছি। আধুনিক বিজ্ঞানের বহু মতামত ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক কিন্তু তাদের কোন আবিষ্কার আমরা অস্বীকার করতে পারি না। যদিও বা তার ভালো বা মন্দ উভয় দিক আছে। আমরা ইতিহাস থেকে বহু মুসলিম বিজ্ঞানী দার্শনিকদের নাম জানতে পারি। যাদের অবদান পৃথিবী কখনোই ভুলবে না। ইবনে সিনা, ইমাম গাজালী, জালাল উদ্দিন রুমী, আল্লামা ইকবাল প্রমুখ। প্রশ্ন আসে অতীত ১০০ বছরে ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থায় কতজন গবেষক, আবিষ্কারক, বিজ্ঞানী, দার্শনিক উপহার দিতে পেরেছে? যদি দিতে না পারে তাহলে কেন দিতে পারেনি? নাকি ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থায় কোন ত্রুটি আছে ?
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১:১৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



