somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাসূল সা. এর সফলতার কারন: অমুসলিম মনীষীদের দৃষ্টিতে

২৪ শে মে, ২০০৯ সকাল ১১:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ইতিহাসে যে সকল মনীষীর নাম স্বর্ণারে লিখা আছে তাদের কেউ ধর্মে, কেউ সমাজ সংস্কারে, কেউ রাজনীতিতে, কেউ অর্থনীতিতে, কেউ চিকিৎসায়, কেউ বিজ্ঞানে, কেউ রাষ্ট্র পরিচালনায়, কেউ যুদ্ধবিদ্যায় অপরিসীম দতা ও অবদান রাখার কারণে অমর ও অবিস্মরনীয় হয়ে আছেন্ কিন্তু বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সা. এমন এক মাহান ব্যক্তিত্ব , মহান নবী, মহান মনীষী-যার সর্বেেত্রই রয়েছে শ্রেষ্ঠত্ব, তিনি শুধু ধর্মীয় নেতাই ছিলেন না, তিনি একাধারে ছিলেন দুরদর্শী রাজনীতিবিদ, সর্বশ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রনায়ক, সর্বশ্রেষ্ঠ চিকিৎসক, বিজ্ঞানী ও সাহিত্যিক, তাই বিশ্বের অসুসলিম মনীষীদের কন্ঠে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় উচ্চারিত হয়েছে- গড়যধসসধফ ধিং হড়ঃ ড়হষু ধ ঢ়ৎড়ঢ়যবঃ, নঁঃ ধষংড় রং ঃযব মৎবধঃবংঃ ঢ়ড়ষরঃরপধষ ষবধফবৎ ড়ভ ঃযব ড়িৎষফ” যাবতীয় জ্ঞান বিজ্ঞানসহ উত্তম চরিত্র, মানবতা, মহানুভবতা, পরোপকার, বীরত্ব, মহত্ত্ব অধ্যবসায়, অমানতদারী, দানশীলতা, সত্যবাদীতা ও নেতৃত্ব, এক কথায় মানবীয় যত সুন্দর গুণাবলী রয়েছে তার সবগুলোই বিকশিত হয়েছে প্রিয়নবী সা. এর পবিত্র জীবনে, তাইতো জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলের নিকটই বিশ্বের ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হচ্ছেন হযরত মুহাম্মদ সা.।
বিশ্বনবী মুহাম্মদ সা. এর শ্রেষ্ঠত্বের স্যা অমুসলিমরাই প্রথমে দিয়েছিল। যেমন তারাই তাঁকে প্রথম আল-আমিন উপাধি দিয়েছিল। এখনও তারা রাসূল সা. কে শ্রেষ্ঠ বলে স্বীকার করছে। এর কারনসমূহে তাদের বক্তব্যের মধ্যেই ফুটে উঠেছে:
মাইকেল এইচ হার্ট: ধর্মীয় ও বৈষয়িক উভয় েেত্রই গুরুত্ব প্রদান
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত জ্যোতিবিজ্ঞানী মাইকেল এইচ হার্ট জাতিতে খ্রিস্টান হওয়া সত্ত্বেও রাসূল সা. সম্পর্কে বলেন: “বিশ্বের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ একশো ব্যক্তির তালিকার শীর্ষে মুহাম্মদ সা. কে আমার মনোনয়ন দান কোন কোন পাঠককে বিস্মিত করবে , কারো কারো হৃদয়ে হয়তো প্রশ্নের জন্ম নিবে। কিন্তু বিশ্ব ইতিহাসে মুহাম্মদ সা. ই একমাত্র ব্যক্তিত্ব যিনি একাধারে ধর্মীয় ও বৈষয়িক উভয় েেত্রই ছিলেন সর্বোতভাবে সফল। মুহাম্মদ সা. ছিলেন বিশ্বের মধ্যে একটি মহান ধর্মের স্থপতি ও প্রচারক এবং তিনি ছিলেন একজন সফল রাজনৈতিক নেতা। আজ তাঁর মৃত্যুর ত্রয়োদশ শতাব্দীর পরেও তাঁর প্রভাব ও মতা দীপ্তিমান রয়েছে।”
ফিলিপ কে হিট্টি: মুহাম্মদ সা. এর আদর্শের ভৌগলিক বিস্তৃতি ও প্রভাব
“হযরত মুহাম্মদ সা. তাঁর স্বল্প পরিসর জীবনে অনুল্লেখযোগ্য জাতির মধ্য থেকে এমন একটি জাতি ও ধর্মের পত্তন করলেন, যার ভৌগলিক বিস্তৃতি ও প্রভাব ইহুদী ও খ্রিষ্টান পর্যন্ত অতিক্রম করে গেল। মানব জাতির বিপুল অংশ আজও তাঁর অনুসারী”
জর্জ বার্নাড শ: মানব সমস্যার সমাধানের কারিগর
“আমি মুহাম্মদ সা. কে অধ্যয়ন করেছি, আমার বিশ্বাস তাঁকে মানবজাতির ত্রানকর্তা বলাই কর্তব্য। আমি বিশ্বাস করি, যদি তাঁর মতো কোন ব্যক্তি আধুনিক জগতের একনায়কত্ব গ্রহণ করতেন, তবে তিনি এর সমস্যাগুলো এরূপভাবে সমাধান করতে পারতেন যাতে বহু আকাক্সিত শান্তি ও সুখ অর্জিত হতো। ”
স্যার উইলিয়াম মূর: দয়া, মহত্ত্ব, ধৈর্য, আত্মবিশ্বাস, শ্রদ্ধা ও স্নেহ-ভালবাসা
“মুহাম্মদ সা. শুধু তাঁর সমসাময়িক কালেই প্রভাব বিস্তার করেননি; বরং সর্বকালে তিনি প্রভাব বিস্তার করেছেন। দয়া, মহত্ত্ব, ধৈর্য, আত্মবিশ্বাস, শ্রদ্ধা ও স্নেহ-ভালবাসা তাকে সুষমামন্ডিত করেছিল।”
কার্ক: ধর্মের যাবতীয় মহৎনীতি রয়েছে মুহাম্মদ সা. এর শিায়
“মুহাম্মদ সা. যা শিা দিয়েছেন তার মধ্যে প্রচলিত সকল ধর্মের যাবতীয় মহৎনীতি ও প্রয়োজনীয় দিকগুলো সংযোজিত রয়েছে।”
লামার টিন: পার্থিব ও একটি ধর্র্মীয় সম্রাজ্যের স্থপতি
ফরাসি দার্শনিক লামার টিন বলেন, “একাধারে দার্শনিক, বাগ্মী, সামাজ সংস্কারক, আইন প্রণেতা, যোদ্ধা, স্বীয় আদর্শে বিজয়ী ন্যয়ের প্রতিষ্ঠকারী কুড়িটি পার্থিব ও একটি ধর্র্মীয় সম্রাজ্যের স্থপতি হলেন মুহাম্মদ সা.”
ডার্মিহাম: উচ্ছৃংখল ও বিভেদ দুর করে ঐক্যবদ্ধ করার যোগ্যতা
“মূলত আরবরা ছিল উচ্ছৃংখল ও বিভেদ প্রিয় । মুহাম্মদ সা. তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করার মাধ্যমে দু:সাধ্য এক অলৌকিক কাজ করেছেন, নি:সন্দেহে কোন ধর্মীয় পথপ্রদশক এমন হননি, যার মুহাম্মদ সা. এর মতো বিশ্বস্ত অনুসারী মিলেছে।”
এডওয়ার্ড মুনন্ট: চরিত্রগঠন ও নৈতিকতার আলোকে সমাজ সংস্কার
“চরিত্রগঠন ও সমাজ সংস্কারে মুহাম্মদ সা. যে সাফল্য লাভ করেছেন, সে প্রোপটে তাকে বিশ্ব মানবতার মহান দরদী নেতা বলে বিশ্বাস করতে হয়।”
আরনল্ড টোয়াইন বি: সাম্যের নীতি
“মুহাম্মদ সা. ইসলামের মাধ্যমে মানুষের মধ্যকার বর্ণ, বংশ এবং শেণীগত বৈষম্য সম্পূর্ণভাবে খতম করে দিয়েছেন। কোন ধর্মই এর চেয়ে বড় সাফল্য লাভ করতে পারে নি। যে সাফল্য মুহাম্মদ সা. এর ধর্মের ভাগ্যে জুটেছে। আজকের বিশ্ব যে চাহিদার জন্য অশ্র“পাত করছে, সে চাহিদা কেবলমাত্র মুহাম্মদী সাম্য নীতির মাধ্যমেই মেটানো যেতে পরে।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×