somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার এক মামা শশুর

৩১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

"পুলিশ সম্পর্কে আমার দীর্ঘদিনের ভুল ধারণা জন্ম নিয়েছে বহু আগে থেকে। সমাজ, দেশ, রাজনীতির বহু ঘটনা. বহু খবরের খবর আমার মনে এই ধারণা প্রোথিত করেছে। মুরব্বীদেরকে বলতে শুনেছি, "পুলিশের আগেও হাটবে না, পিছেও হাটবে না"। আবার অনেকে উপদেশ দেন, "পুলিশের সাথে কখনো আত্মীয়তা করবে না"। কিন্তু আমার এ ধারণা কিছুটা হ্রাস পেতে শুরু করে আমার মামা শশুরকে দেখে। তিনি একজন পুলিশ অফিসার। বেশ অমায়িক। সুন্দর করে কথা বলেন। বিভিন্ন সময় আন্তরিকতার স্বাক্ষরও রেখেছেন। আমার ধারণা কিছুটা পরিবর্তন হল। সব পুলিশ এক রকম হয় না। তিনি একটু আলাদা ধরণের। পারিবারিক ও বংশীয় প্রভাব রয়েছে তাঁর চলনে বলনে। আমি তাঁর প্রতি আলাদা ধরণের শ্রদ্ধা ও সমীহের অনুভূতি পোষন করতে লাগলাম।

একটি ঘটনা আমাকে যার পর নাই আহত করল। ঘটনার দিন ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫। আমার বড় শ্যালকের বিয়ে উপলক্ষে আমরা সবাই আমার শশুর বাড়িতে। চলনের পরদিন বউভাত অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার খানিক সময় পর আমি, আমার মামা শশুর, ঢাকা থেকে আগত আমার এক দুলাভাই (খালা শাশুরির মেয়ের জামাই) সহ অনেকে ডাইনিং টেবিলে বসে খোশ গল্পে রত। এমন সময় আমাদের এক খালা শাশুরির মেয়ে বাবলী সবার সামনেই হুট করে আমাকে লক্ষ্য করে একটি মন্তব্য ছুড়ে দিলেন। "আমার ভাই (বুলবুল) ই সঠিক, মিনু ভাই সঠিক না।" কথাটি তিনি হয়ত মজা করেই বলেছেন। আমিও মজা করেই পাল্টা কথা ছুড়ে দিয়ে বললাম, ''ধুর, আপনার ভাই তো ভণ্ড"। আমাদের মধ্যে এ ধরণের কথা, পাল্টা কথা নতুন কিছু নয়। যেমনটি শালা, শালী, দুলাভাই, যেটশদের মধ্যে হয়ে থাকে।

গায়ে হলুদের দিন থেকেই রানী, বাবলী এই দুই বোন আমাকে দেখলেই এ ধরনের মন্তব্য সহ একটা না একটা মন্তব্য করেছে। "মিনু ভাই, হুজুর মানুষ, আপনার তো এ ধরনের অনুষ্ঠানে আসার কথা না। আমার ভাই বুলবুলই সঠিক ইত্যাদি আরও অনেক মন্তব্য। আমি বুঝলাম যে ওনাদের সাথে সমানে সমানে পার্টিসিপেট করা সমীচিন নয়। আদর্শগত কারণেই আমি একটি স্পষ্ট বাউন্ডারি মেনে চলার চেষ্টা করি। শশুরের পরিবারের বড় জামাই হিসেবে সার্বিক ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন রকমের দায়িত্বানুভুতির কারণে শাশুরি মায়ের সাথে প্রায়ই কথা বলতে অন্দর মহলের আশে-পাশে যেতে হয়েছিল বিধায় বারবার এ্ই দুই কন্যার (বিশেষ করে বড় কন্যার ) বিভিন্ন মন্তব্যের তোপে পড়তে হয়েছিল। আমি মাঝে মধ্যে এই বলে পার পাওয়ার চেষ্টা করেছি, আপনি আমার বড় বোন, আপনি আমাকে বলতেই পারেন। আমি ধরে নিয়েছি, সবাই যখন মজা করছে তাই সবকিছু মজার ছলে নেয়াই ভাল। আমার মনে এই নিয়ে কোন ক্ষোভ কাজ করেনি।

কিন্তু ডাইনিং টেবিলে বাবলী আপার মন্তব্যের বিপরীতে আমার ফান বশত: কৃত মন্তব্যের সাথে সাথে সেই পুলিশ মামাশশুর স্বরূপে পুলিশি চেহারায় আবির্ভূত হলেন। বিয়ে উপলক্ষ্যে উপস্থিত ঘর ভরা সকল আত্মীয়-স্বজনের সামনে রাজনৈতিক নেতাদের কন্ঠে জোর আওয়াজে তিনি আমাকে সাংঘাতিকভাবে অপমান করার চেষ্টা করলেন। "আমি তোমার মামা শশুর। আমার সামনে তুমি আমার ভাগিনাকে এরূপ বললে। তুমি আমার কাছে মাফ চাও ইত্যাদি অনেক কড়া কথা... উনার হঠাৎ এই আচরণে আমি হতভম্ব হয়ে পড়ি। আত্মীয়-স্বজন সবাই হতভম্ব হয়ে পড়ে। একে তো এটি ভাই-বোনদের বিষয়। আবার এটি ওনাকে উদ্দেশ্য করে বলা কোন কথা নয়। এই সিম্পল কথাটি ওনার বুঝা উচিত ছিল। যা হোক দীর্ঘ একযুগ ধরে গড়া মান-সম্মান তিনি পাংচার করে দেয়ার চেষ্টা করলেন এত কদর্য ভঙ্গিতে যা ছিল অভাবনীয়। আমি উনার কথার প্রতি উত্তর দেই নি, শশুর-শাশুরি-মা ও নানা শশুর-নানী শাশুরির মান-সম্মানের দিকে তাকিয়ে। ওনারা আমাকে এতটা স্নেহ করেন যার অমর্যাদা হবে ভেবে আমি চুপ করে যাই। শাশুরি মা এত কষ্ট পেলেন যা দেখে আমি নিজেকে গুটিয়ে ফেলি।... আমার এবং আমার শশুর-শাশুরির দীর্ঘজীবনের মান-সম্মানকে কবর দিয়ে এই পুলিশ মামাশশুর বিজয় বেশে ওনার গর্বের ভাগিনিদেরকে নিয়ে প্রস্থান করলেন। আর কবর দিয়ে গেলেন ওনার অপছন্দের ভাগিনা-ভাগিনি-ছোট বোনের মান সম্মান!

আশ্চর্যের বিষয় হল, এখানে উপস্থিত বাবলী, বাবলীর বড় বোন কেউ এই কথাটা বলল না: মামা, আপনি এসব কি বলছেন? এটা তো আমাদের ভাই-বোনদের বিষয়। আপনার কাছে উনি ক্ষমা চাওয়ার প্রসঙ্গ আসছে কেন? আপনি হঠাৎ এভাবে চেচাচ্ছেন কেন? শালা-শালীদের মাঝে তো কত কথাই হয়। এখানে আপনি জড়াচ্ছেন কেন? বুলবুল আপনার ভাগিনা তাহলে এছুনি যেছুনি কি আপনার ভাগনি না? তাদের কি মান-সম্মান নাই? আশ্চর্য! তারা যেন একটা দলগত ভূমিকা নিল। তারা আত্মীয়তা সম্পর্ক, স্মৃতি সব ভুলে গেল।

আমার মা বেঁচে থাকলে সেদিন নিশ্চয় সেখানে উপস্থিত থাকতেন। এই পুলিশ বেয়াইকে হয়তো বলতেন, ভাই সাহেব, আপনি একটু শুনেন। আপনি কোন ইস্কুলে লেখা-পড়া করেছেন? আমরা তো জানতাম আপনি একজন শিক্ষিত মানুষ। ইউনিভার্সিটির আঙিনায় কখনো পা দিয়েছেন? আপনি মামাশশুর হয়েছেন বটে কিন্তু এর্ যোগ্যতা অর্জন করার জন্য আবার ইস্কুলে ভর্তি হন। আপনার ভাগ্নি জামাই যদি সত্যি সত্যি আপনার সাথে কোন ভুল করে থাকে তাহলে তাকে আলাদা নিয়ে বলতে পারতেন, মামা তুমি এমন করে কেন বললে বা তোমার এরূপ বলা উচিত হয়নি.... আপনার স্বার্থটা আসলে কি ছিল? যে মানুষ তার বোন-ভাগিনা-ভাগনি-বোনজামাইর মান-সম্মানকে এমন ঠুনকো বিষয় নিয়ে কবর দিতে পারে সে আবার মামাশশুর হওয়ার দাবী করে কিভাবে?

একজন পুলিশ মানুষ মাঝেমধ্যে কতটুকু বোকা ও অপরিণামদর্শী হয় তা আমি জীবন থেকে শিখলাম। সামান্য ক্ষমতার অহংকারটাও অনেকে হজম করতে পারে না।

ঘটনার আকিস্মকতায় দু'মাস পরও আমার শাশুরী মা স্বাভাবিক হতে পারেন নি। ওনি এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েন যা আমরা কল্পনাও করিনি। বহুদিন পর্যন্ত তিনি অস্বাভাবিক ছিলেন। ওনার প্রেশার কন্ট্রোল করা যাচ্ছে না ... শুধু একারণেই... ডাক্তার বুলবুলও মা'কে দেখে গেছেন কিন্তু ওনার প্রেশার অনবরত বেড়ে যাওয়ার কারণ ধরা যায়নি। আমরা জানতাম কি কারণে ওনার প্রেশার কন্ট্রোলে আসছিলনা।

পরে জেনেছি এই ঘটনার পেছনে ওই দুই কুচক্রী কন্যার অবদান বেশী। এই দুইজন পুলিশ মামাকে বিভিন্নভাবে আমার সম্পর্কে নেগেটিভ ধারণা দিয়ে ক্ষেপিয়ে রেখেছিল। আর সেই নির্বোধ মামা ওদের টুপ গিলেছে বোকার মত। আর একটু সুযোগ পেয়ে নিজের সবটা উজাড় করে সর্বনাশা কাণ্ড করে বসলেন। আমি আমার নানা শশুরের পরিবার ও মামা-খালাদের মধ্যকার ভাতৃত্ব-সৌহার্দ্য এতটাই পছন্দ করতাম যে আমি শত বার বিভিন্ন বক্তৃতায় তাদেরকে উদাহরন হিসেবে পেশ করেছি।

হাস্যকর বিষয় হল, পুলিশের সেদিনের সেই আচরণকে যুক্তিগ্রাহ্য করার জন্য আমার কিছু মন্তব্য/কর্মকে সামনে এনে এখনও আলোচনা/সমালোচনা করা হচ্ছে। যে কথা কোন দোষের মধ্যেই পড়ে না সেসব ছোট-খাট কথা-কর্মকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে প্রচার করা হচ্ছে কেবল সেদিনের বোকামি আচরণটিকে যুক্তিগ্রাহ্য করার জন্য। তারা বেমালুম ভুলে যাচ্ছে, আমরা যদি তাদের কথার দোষ ধরি এবং তারা যেভাবে লাগামহীন কথা বলে তাতে মাইন্ড করি তাহলে তাদের সাথে চলা অসম্ভব হত বহু্ আগেই। তারা বলে বেড়াচ্ছে, তারপরও মিনু মামার কাছে ক্ষমা চাইল না! উপরন্তু আমার ও বুলবুলের মধ্যে একটি দেয়াল টানার চেষ্টা করা হচ্ছে - যা হাস্যকর। যা আমি অনেক পরে এসে জেনেছি। এই নির্বোধদের জন্য করুণা হয়!

আমার বিরুদ্ধে যা ছাড়ানো হয়েছ তার দু-একটি উদাহরণ:
১. আমি নাকি মামাকে সম্মান না করে বরের (আমার বড় শালার) গাড়ি সামনে নিয়ে চলে এসেছি। বাস্তবতা হল, অভিযোগটি মিথ্যা ও কাল্পনিক। মামার গাড়ির সামনে যাওয়া যাবে না বলে গাড়ীর ড্রাইভারকে আমিই কড়াভাবে সতর্ক করেছি বার বার। আমার শালা এবং মামার ভাগনি জেছুনি এ বিষয়ের সাক্ষী। এই অভিযোগটি পরে জেনে আমরা আশ্চর্য হয়েছি। আবার এই মহান খবরটি সাথে সাথে কুমিল্লা পাস করে দেয়া হয়েছিল। ষড়যণ্ত্রের মাুত্রা বুঝতে বাকি রইলো না।
২. (পুলিশের বাসায়) বুলবুলের এফসিপিএস পাশ করা নিয়ে আমার বউ এছুনি জানতে চাইল, বুলবুল ভাই এফসিপিএস পাশ করেছে কি না। আমি বললাম, আরে এফসিপিএস সেকেণ্ড পার্ট পাশ করা এতটা সহজ না। অনেকে ১০/১৫ বার পরীক্ষা দিয়ে পাশ করে। এফসিপিএস পাশ করলে তোমার খবর নিতে হবে না। খালু তোমাদেরকে গরু জবাই করে খাওয়াবে। এই কথা বলে নাকি আমি বুলবলকে অপমান করেছি!!! আসলে এফসিপিএস এর বিষয়ে আমার কথাটা একান্তই বাস্তব। আমাদের দেশের উস্তাদ ডাক্তাররা ছাত্রদেরকে পাশ করাতে চান না। এফসিপিএস পাশ করার চেয়ে আন্তর্জাতিক মানের এমআরসিপি পাশ করাও এখন অনেক সহজ। কঠিনতার মাত্রা বুঝাতে আমার স্বভাবসূলভ মজা করাকে ওরা ব্যখ্যা করল ভিন্নভাবে।

আর বুলবুল, মাহদীর খবর আমি আমি কতটা রাখি, বুলবুলকে বিয়ে করানোর বিষয়ে (খালুর পরামর্শে) আমি কতটা চেষ্টা করেছি, আমি বুলবুলকে কতটুকু স্নেহ করি, পছন্দ করি, দোয়া করি তা আমার শশুর পরিবার আমার পরিবার খুব ভালই জানে। আমার খালা-খালুশশুর এবং বুলবুল নিজেও জানে। কতটা আপন ভেবেছি ওনাদেরকে, কত স্মৃতি... সব এই নির্বোধ আচরণে শেষ হয়ে গেল বুঝি। আর এই নির্বোধ আচরণটি সকল আত্মীয়-স্বজনের সামনে হওয়াতে আমার মনে যে ফাঁটল সৃষ্টি হয়েছে তা হয়তো কখনো মিলে যাবে না। আবারও মনে হয়েছে আসলে তিনি যে পরিবারের সন্তান তার পক্ষে এরূপ করা সম্ভব ছিল না। হয়তো পুলিশ হওয়ার কারণেই এমনটি ঘটেছে। পুলিশ সম্পর্কে আবারও ধারণা পুর্বের অবস্থায় ফিরে গেছে.... ।

যেই বুলবুলকে তারা পীর বলে মনে করছে ইনফেক্ট ওনারা তার আদর্শ থেকে যোজন যোজন দুরে বাস করে। যেমন:
বুলবুল ঘুষ খায় না...
বুলবুল বিবাহ বহিভূত প্রেম করে না...
বুলবুল বে-পর্দা হয়ে চলে না...
বুলবুল পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে..
বুলবুল মানুষকে অসম্মন ও অপমান করে না...
বুলবুল অভদ্র ও নির্বোধের মত আচরণ করে না... ইত্যাদি

ওনারা যদি বুলবুলের ত্বরিকার অনুসারি হতেন তাহলে তো বিয়ের অনুষ্ঠানে আসার কথা ছিল না। বুলবুল নারী-পুরুষের সংমিশ্রনে কোন বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নেয় না। তাই সে তাঁর নিজের বোনের অনুষ্ঠানেও অংশ নেয়নি (শুধু বিয়ে পড়ানোর সময় ছাড়া)।

সেদিনের দু:সহ স্মৃতিটা কেবল ভুলে যেতে চাই। গুটি কয়েক চতুর ও চৌকস মানুষের ভালবাসা না-ই পেলাম। গ্রামে-শহরে, দেশে-বিদেশে লাখো মানুষের ভালবাসায় আল্লাহ তা'আলা খুব ভাল রেখেছেন, আল-হামদু লিল্লাহ!

এখন চিন্তা একটাই, মা কখন সুস্থ হয়ে উঠবেন এবং এই দুঃসহ স্মৃতি যা তাঁকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে ফিরছে তা কখন সমাপ্ত হবে...
আমার মান-সম্মান লাগবে না। মা তুমি ভুলে যাও এই দু:সহ স্মৃতি, সুস্থ হয়ে ওঠ, কেবল দে'আ কর....!

পুনশ্চঃ
এর প্রায় এক-দেড় মাসের মধ্যে আমার অনেক শ্রদ্ধেয় বড় খালু শশুরের বাইপাস হল। দেখতে যেতে পারিনি। কেবলই রাতের অন্ধকারে নামাজ পড়ে পড়ে দোআ করেছি। অত্যন্ত খোলা মনের মানুষ তিনি। ওনাকে দেখলে খুব শ্রদ্ধা জাগে।

শিখলামঃ
আজ ২৮ মার্চ রাত ১২টায় যখন আবার লিখাটা নজরে আসে তখন আমার আর বুঝতে বাকী রইল না যে ২৬ ডিসেম্বরের ঘটনাটি ঘটা কতটা প্রয়োজন ছিল। এই ঘটনা একদল সুহৃদের আসল পরিচয় প্রকাশ করে দিয়েছিল যা হয়ত সারা জীবনেও আমরা বুঝতে পারতাম না। ওরা এই ঘটনার আগে পরে এমন কিছু স্বাক্ষর রেখেছে যা আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। তিনি আপন মামা হয়ে তাঁর এক বোনের মেয়েদেরকে নিয়ে অন্য এক বোনের ছেলে-মেয়ে-মেয়ের জামাইদের মধ্যে দ্বন্দ-বিভেদ সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন। আপন ভাই-বোন, শালা-দুলাভাই এর মাঝে অত্যন্ত সুকৌশলে মতবিরোধ- বিভেদ-দ্বন্দ সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন। যে ভাইটিকে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠিত করার জন্য পুরো পরিবার ভাই-বোন-দুলাভাই-মা-বাবা নিরন্তর বছরের পর বছর চেষ্টা-তদবির-সংগ্রামে নেমেছে। যাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সবাই এক কাতারে শত শত ঘন্টার আলোচনা-প্রশিক্ষণে ব্যস্ত। সেই ভাইটিকেই সবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করেছে এই চতুর লোকগুলো। তাছাড়াও তারা আরও কত গানা-বাজনা করেছে তা বলে শেষ করা যাবে না। এ যে কত ছোটলোকী! কতটা ঘৃন্য তারা তা বেমালুম ভুলে গিয়েছিল। তারা মনে করেছ, আমরা অন্য কারো করুণার ভিখারী! হাসি পায়, দুঃখও লাগে! তাদেরকে কে বলবে, "তোমরা একটু চুপ কর, নিজেকে নিয়ে ভাব, সেই আহত মা- টাকে আর কষ্ট দিও না, তোমাদের আসল পরিচয় আমরা পেয়ে গেছি......
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:২২
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×