সারাদিন শ্রম বেঁচে ক্লান্ত আমি ( ২৩-০৬-২০১৪ রাত ১০.৪০ )
ফিরোজ খাঁন তুষার
একরাত চাঁদহীন
ভারী মেঘের ভার নিয়ে একা রাস্তায়
হেটে ফিরি অনিশ্চিত কোনো গন্ত্যব্যে।
গোমড়ামুখো নিয়ন গুলো জানান দেয়
হাটু পানি ভেঙ্গে, উগরানো ময়লা কাটিয়ে
শহরের কোনো রাস্তায় আছি।
সারাদিন শ্রম বেঁচে , ক্লান্ত আমি।
শালা জমিদারের বাচ্চা রিকশাওয়ালা গুলো
ওম নিচ্ছে বিয়ে করা, না বিয়ে করা বউগুলোর।
সারাদিন শ্রম বেঁচে ক্লান্ত আমি।
ঐ যে ঐ বুঝি একটা গাধার বাচ্চা...
ঐ যাবি তমুক নগর এ, ধমক না দিলে শুনবে কেনো ?
আমি কি খাই না আমার বসের ?
“ মামা যামু, কয়টা টেকা বাড়ায়া দিয়েন”
টেকা কি তোর ঐটা দিয়া আসে রে
“মামা, সারাদিন ম্যাঘ, সারাডাদিন ভিজ্জা চুপচুপা, বাসাত পানি
চুলা জ্বলে নাই। মাইয়াডা না খায়া রইছে মামা। কাইল্কা থিকা জ্বর।“
বৃষ্টির পানি ই হবে বোধোয় , নয়তো ওদের আবার কষ্ট কিসের?
ওদের চোখে নোনা পানি আসবে কেনো ?
আমি বলতে চাই – কোনো এক্সকিউস আমি পছন্দ করবো না।
আই সেইড ডু ইট, সো ডু ইট।
কিন্তু বলা হয় না।
ঐ যে সারাদিন শ্রম বেঁচে ক্লান্ত আমি।
নিজেকে ওদের মাঝে দাড় করাই, শ্রম মাপি
হেরে যাই। ওর দামে বাড়ী ফিরি।
সারাদিন শ্রম বেঁচে ক্লান্ত আমি ভুনা খিচুড়ী, ইলিশ খাই
আর ঐ জমিদারের বাচ্চার মেয়েটা না খেয়ে জ্বড়ে ভোগে।
কারণ সারাদিন শ্রম আমি বেঁচি।