মাঝে মাঝে মানুষ নিজেও বোঝে না, সে কি লিখছে, কিন্তু লিখতে ইচ্ছা করে, সেরকম একটা চেষ্টা এটা........................
জানি, এভাবেই হারিয়ে যাবো চোখের অবহেলায়
নিছক খেলায়, ভেঙ্গে যাবে আমার জগতের তাস-ঘর
কেউ থাকবে না সময়ের পট চেয়ে, অপেক্ষার জট হবে চেয়ে
ফেরার পথে মেলে ধরে আচঁল অর্ধ চোখ ঢেকে, পথ চেয়ে, উৎকন্ঠার ঘন্টায় জানি হবে না কারো
আবেগের দরপতন, উত্তরন, জাগরন, কিংবা পলায়ন। তাতে কি?
ত্ইা বলে কি আমি খুজবো কেউ আছে যে চেয়ে রবে পথ আমার? রথে দাড়িয়ে হবে আমার উৎকন্ঠি
কেউ চেয়ে রবে না পথে, যখন সন্ধ্যা নামবে, ঠিক তখন, ফেরার পথে মেলে ধরে আচঁল অর্ধ চোখে, পথ চেয়ে আমার ? কখন পড়বে চরণ ফেরার পথে! হাহাহা ......হা , না, রবে না, কেউ..হাহা - হা
জানি, রবে না কোন বন্ধন, কারো সাথে কোন সন্ধি
জানি, মুছে যাবে আমার সাথে সাথে আমার ছায়া, আমার কায়া, আমার গন্ডি
যদি কেউ থাকতো, কেউ একজন থাকবে, কেউ চেয়ে রবে পথ-
সে তো স্বপ্ন, মানব অন্তরে, আমার যে নেই সেই অন্তর, আমি যে অন্তর হীন
এক যন্তর মাত্র। তোমায় বলিনি, না কখনও বলিনি, কেন বলবো ?
রবে তুমি পথ চেয়ে আমার রথে, আমার তরে, না হবে না আমার দ্বারা বলা
জানি শেষ হবে পথ-চলা তোমার আমার, ভিন্ন ভিন্ন উদ্দেশ, ভিন্ন ভিন্ন আবেগ নিয়ে
ভালবাসার অপেক্ষা, ওরে সেতো অনেক পরে! যখন হৃদয়েই ন্ইা জানাশোনা
যখন কোন দাবী নাই আবেগের একে-অপরে! তবে সে কথা কেন আসছে?
বলো, বলো কেন, আসছে? আমি তো বলিনি, আমি তো ঢালিনি স্রোতের শীতলতার মাত্রা
আমি তো বাসরের স্বপ্নে করিনি হিমালয়ের ব্রত-যাত্রা, আমি কি কখনও বলেছি সে শ্লোগন তোমার ব্যানার পানে তোমার দরজায় কি ছিল আমার কোন মিছিল? ভালবাসার অধিকার আদায়ে, কিংবা প্রতিষ্ঠায়? না ওরে না
সে আমার অন্তর নয়, আমি কেবলি এক জন্তর মাত্র, আমি কেবলি এক প্রান্তর মাত্র-
যেখানে আর পড়ে না কোন মানবের কদম, পুরাতন ছ্যাবলা পড়া আমার পথে কেবলি
কাটা মেলে অজানা ডায়নোশোর মুখে নিয়ে আগুন, নখিল হায়না, মুখে নিয়ে ক্ষুধা। যেখানে
ঝি ঝি ডেকে যায় অবিরাম। ঝি ঝি... নাম না জানা সর্প তার বিষাক্ত শরীর নিয়ে শিহরিত করে যায় মাঝে মাঝে, কিন্তু কোন সাপুরে আর আসে না, বীষের উপর আবারও বিষাক্ত কামড় দিয়ে যায় সময়েল ময়াল
যন্ত্রনার প্রান্তরে আঁতকে ওঠে আত্ব্যা, প্রেতাত্বারা ডাকে ভয়াল, কেউ আসে না, অবিরাম বর্ষনে ছেয়ে যায় আকাশ, কোন বসন্ত আর আসে না, অভিশপ্ত জাদুকরের মন্ত্রনার সেই প্রাচীন থেকে আজ অবধি কদমার্ক্ত শ্রাবনই কেবল
জেগে রয় আমাদের কান্নার পাহারায়, আমি জানি, কেউ বাড়াবে না হাত আমার শ্রাবনে, আমার প্লাবনে
প্রতি রাতের যে অবিরাম ক্রন্দন, যে সয়লাব, অশ্র“র জলে যে বাধ, কেউ দাগবে না তালাক সেই বাধনে, তাতে কি? আমিও তো ফরিয়াদ নিয়ে বসিনি, বিধাতার দরবারে,কিংবা লম্বা সুপারিশ নিয়ে পথ আগলে ধরিনি তোমার
আমি জানি, কেউ চেয়ে রবে না পথে, যখন সন্ধ্যা নামবে, ঠিক তখন, ফেরার পথে মেলে ধরে আচঁল অর্ধ চোখে, পথ চেয়ে আমার ? উৎক›ঠা নিয়ে, শংকা নিয়ে দরজার কোনায় দিয়ে সামান্য বের চোখ কিংবা জানালার পর্দা সরিয়ে আড়াল হতে চেয়ে পথ, আমি জানি এভাবেই গত হবো স্বপ্ন দেখে অযথাই, খামোখাই, হবে না কিছু, আমি সামনে যাবো কিন্তু থাকবে শূণ্য পিছু, বর্তমানের স্রোতে “কখনও কোন এক অজানা পথিক” শব্দটা ছাপা হবে আমার নামে, তারপর কোন এক জং-ধরা খামে, আসবে পরওয়ানা, বেওয়ারিশ লাশের আত্ব্যা শান্তি কামনায় আঞ্জুমানে মফিদুল হয়ে খোদার শানে। চেহালাম, কিংবা দোয়া মাহফিলের বার্তা তোমার দরবাওে বেরং কোন খামে, যা এককোন হবে সামান্য ছেড়া, শোকবার্তার পাতা ভরা অজানা পথিক নামে। জানি।
কেউ চেয়ে থাকে না পথ, এখনকার পথে, বাড়ির ফেরার কাজল সময়ে আলো দিয়ে পথের কৃষ্ণতায়
বাড়িয়ে দিতে ভালবাসার রেখা পানে, মনের টানে। জানি, কেউ থাকে না, জানি কেউ থাকবে না।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




