আমরা যারা নিজেদেরকে মুসলিম বলে দাবি করি (বিশেষ করে বাংলাদেশে) তাদের মধ্যে শতকরা কতজন লোক কুরআন তেলাওয়াত করতে জানি ? আর যারা তেলাওয়াত করতে জানি তাদের মধ্যে শতকরা কতজন লোক কুরআন এর অর্থ বুঝি ?? ১ম প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে মনে হয়, "খুবই কম"। আর দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর আপনাদের উপর ছেড়ে দিলাম।
একটি উদাহরণ দেখা যাক, "যদি কোন কোম্পানি কোন যন্ত্র বাজারে ছাড়ে তাহলে সেটির নিরাপদভাবে ব্যবহারের জন্য সেই কোম্পানির পক্ষ থেকে User Guide ও দেয়া হয়ে থাকে। সেটি যথাযতভাবে বুঝে শুনে পাঠ করে যন্ত্রটি ব্যবহার করলে তা নিরাপদে ব্যবহার করা যাবে।আর যদি কেউ User Guide অনুসরণ না করে নিজের মন মত ব্যবহার করতে যায় তাহলে যে যেকোন বিপর্যয় ঘটতে পারে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।"
ঠিক তেমনিভাবে আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সৃষ্টি করে আমাদের চলার নিয়ম কানুন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নবী রাসুলদের মাধ্যমে শিক্ষা দিয়েছেন। তেমনি একটি User Guide হলো আল কুরআন, যা সর্বশেষ রাসুল মুহাম্মদ (সঃ) এর উপর অবতীর্ন হয়েছে।তাই এটিকে ভালভাবে বুঝে শুনে পাঠ করতে হবে এবং সেই আলোকে জীবন পরিচালনা করতে হবে।তা না হলে বিপর্যয় আসবেই।
অনেকেই আবার কোরআন শুধু পাঠ করতে জানি কিন্তু এর অর্থ জানতে আগ্রহী না বা অর্থ জানাটাকে অর্থহীন করি।আল্লাহ পৃথিবীতে মানুষকে তার প্রতিনিধি হিসেবে পাঠিয়েছেন।আর তার কর্তব্য কি হবে তা একটি চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছেন।চিঠির আরবী শব্দ হল রিসালাত আর যিনি তার বাহক তাকে রাসুল বলা হয়।তাই আল কোরআন হল তেমনি একটি রিসালাত বা চিঠি যার বাহক হলো মুহাম্মদ (সঃ)। এখন আমার প্রশ্ন হলঃ যদি কারো কোন বন্ধু কোন গুরুত্ত্বপুর্ণ চিঠি আরবীতে লিখে পাঠায় তাহলে সে কি করবে? শুধু অর্থ না বুঝে প্রতিদিন পাঠ করবে আর চুমু খেয়ে যত্ন করে রেখে দেবে?? যদি কেউ এমন করে তাহলে আমরা তাকে কি বলব ??? তাই আল্লাহ তায়ালার এত গুরুত্ত্বপুর্ণ চিঠি খানা এভাবে দিনের পর দিন না বুঝে পাঠ করা তেমনি বোকামী নয় কি?
তাই আসুন সকল ভাই বোনেরা আমরা যারা কোরআন পড়তে জানিনা তারা কোরআন পড়া শিখি আর যারা পড়তে জানি তারা এর অর্থ জানার চেষ্টা করি।এখন বাজারে, Internet এ অসংখ্য তাফসীর পাওয়া যায় তা থেকে একটু জানার চেষ্টা করি আমাদের সৃষ্টিকর্তা তার চিঠিতে আমাদের জন্য কি নির্দশনা দিলেন?
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে হেদায়েত দান করুন...........
আমীন.............।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




